ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

পিডিবির সাবেক প্রধান প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

প্রকাশিত: ০৬:০২, ২৬ অক্টোবর ২০১৭

পিডিবির সাবেক প্রধান প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি টাকা পাচার এবং অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বাংলাদেশ বিদ্যুত উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী মু. শহীদুল আলমের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার রাজধানীর কলাবাগান ও রমনা থানায় দুদকের উপ-পরিচালক এসএমএম আখতার হামিদ ভূঞা বাদী হয়ে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা দুটি দায়ের করেন। সংস্থাটির জনসংযোগ কর্মকর্তা (উপপরিচালক) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য জনকণ্ঠকে নিশ্চিত করেছেন। কলাবাগান থানায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ১৩(১),(২) ধারায় করা মামলায় পাঁচ কোটি ৫৪ লাখ চার হাজার ৪৫০ টাকা অস্বাভাবিক লেনেদেন এবং স্থানান্তরের অভিযোগ আনা হয়েছে। দুদকের অনুসন্ধানে ওই টাকার কোন বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি, যা পরবর্তীতে তিনটি ব্যাংকে জমা করে উত্তোলন করেন। এমনকি বর্তমানে ওই টাকার কোন হদিস মিলেনি। ধারণা করা হচ্ছে, ওই টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে। অন্যদিকে রমনা থানায় দায়ের করা মামলায় আসামি শহীদুলের বিরুদ্ধে ২৪ লাখ ৪২ হাজার ৪৯৫ টাকা সম্পদের তথ্য গোপন ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলার এজাহারে বলা হয়, শহীদুল আলম বিদ্যুত উন্নয়ন বোর্ডে সহকারী প্রকৌশলী থেকে প্রধান প্রকৌশলী পর্যন্ত বিভিন্ন পদে কর্মরত ছিলেন। ওই সময়ের মধ্যে ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে তিনি কয়েক কোটি টাকা অর্জন করেছেন বলে অনুসন্ধানে প্রমাণ পাওয়া গেছে। অভিযোগে বলা হয়, শহীদুল আলম অবৈধ টাকার উৎস গোপন করতে ঢাকায় স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকে তার নামে সঞ্চয়ী হিসাব খুলে ২০০২ সালের ৯ জুলাই থেকে ২০০৫ সালের ২০ মার্চ সময়ের মধ্যে এক কোটি পাঁচ লাখ ৩৮ হাজার টাকা জমা করে পরে তুলে নেন। এ ছাড়া যমুনা ব্যাংকের সোনারগাঁ রোড শাখায় সঞ্চয়ী হিসাবে ২০০৪ সালের ২৩ মার্চ থেকে ২০০৪ সালের ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত এক কোটি ৪৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা জমা করেন এবং একই শাখাতে এসটিডি হিসাবে ২০০৪ সালের ১৯ অক্টোবর থেকে ২০০৭ সালের ১৭ জুন পর্যন্ত এক কোটি ২০ লাখ টাকা ভুয়া ব্যক্তি সাজিয়ে ব্যাংকিং চ্যানেলে ১৪টি এফডিআরের মাধ্যমে ওই অর্থ কৌশলে পাচার করেন। অন্যদিকে সাউথ ইস্ট ব্যাংকের নিউ ইস্কাটন শাখায় শহীদুল আলম নিজের সরকারী পরিচয় গোপন করে প্রাইভেট ইঞ্জিনিয়ার পরিচয়ে সঞ্চয়ী হিসাব খুলে ২০০৪ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে ২০০৫ সালের ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এক কোটি ৭৯ লাখ ১৬ হাজার ৪৫০ টাকা জমা করেন। পরবর্তীতে এক কোটি ৭০ লাখ টাকা নগদ উত্তোলন করেন। নিজ নামে এবং ভুয়া ব্যক্তি সাজিয়ে ব্যাংকিং চ্যানেলে ১২টি এফডিআরের মাধ্যমে ওই অর্থ স্থানান্তর করেছেন তিনি। এছাড়া ২০১০ সালের ১৪ জানুয়ারি কমিশনে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ২৪ লাখ ৪২ হাজার ৪৯৫ টাকার সম্পদ গোপন করেছেন শহীদুল আলম, যা তার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত অবৈধ সম্পদ বলে দুদকের অনুসন্ধানে প্রমাণিত হওয়ায় মামলাটি দায়ের করা হয়।
×