ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

তত্ত্বাবধায়ক নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার আর সুযোগ নেই ॥ নাসিম

প্রকাশিত: ০৬:০১, ২৬ অক্টোবর ২০১৭

তত্ত্বাবধায়ক নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার আর সুযোগ নেই ॥ নাসিম

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নির্বাচন সময়ের সরকার বা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার আর কোন সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। তিনি বলেন, আমাদের দেশের নির্বাচন নিয়ে অন্য দেশের কাছ থেকে প্রেসক্রিপশন নেয়ার প্রশ্নই উঠে না। অথচ বিএনপি প্রতিনিয়ত তা করার চেষ্টা করা যাচ্ছে। দেশে বিদ্যমান সংবিধান অনুযায়ীই নির্বাচন হবে। বিএনপির জানা উচিত যে, কীভাবে নির্বাচন হবে তা সাংবিধানিকভাবেই সমাধান হয়ে আছে। এটা নিয়ে কথা বলে কোন লাভ নেই। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নিয়ে অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়েছে, আর সুযোগ নেই। বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী স্বাস্থ্য ক্যাম্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ‘নভো নরডিক্সের’ সহযোগিতায় এ ক্যাম্পে প্রথম দিন ডায়াবেটিস চিকিৎসা প্রদান করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার চোখের চিকিৎসা দেয়া হবে। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি শাখাওয়াত হোসেন বাদশার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ডাঃ এ কে আজাদ, কমিউনিটি ক্লিনিকের প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক ডাঃ আবুল হাসেম খান, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক মুরসালিন নোমানী, ন্যাশনাল হেলথ কেয়ার নেটওয়ার্কের সিইও ডাঃ এম এ সামাদ, বারডেম হাসপাতালের এ্যান্ডোক্রিনোলোজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডাঃ ফারুক পাঠান, নভো নরডিক্সের ম্যানেজিং ডিরেক্টর আনন্দ শেঠি প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সংগঠনের কার্যকরী সদস্য নুরুল ইসলাম হাসিব। বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, সংবিধানের বাহিরে আমরা যাব না। নির্বাচন নিয়ে ইচ্ছে মতো আবদার করে কোন লাভ নেই। এজন্য অহেতুক মাঠ গরম করবেন না। ১০ বছর আগে যা হয়েছে, এখন আর তা হবে না। বিএনপিকে আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য বলেন, নির্বাচন সময়ের সরকার বা তত্ত্ববাধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন করে কোন লাভ নেই। জনগণের প্রতি বিশ্বাস রাখুন। জনগণ যাদের যোগ্য মনে করবে তাদের ভোট দিয়ে বিজয়ী করবে। ভোটে হেরে গেলে আমরা মেনে নেব। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ডায়াবেটিস আজকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে। এ থেকে বাঁচতে হলে আমাদের সচেতন হতে হবে। নিয়মিত হাঁটতে হবে, ফাস্ট ফুড বর্জন করতে হবে। জীবনযাপনের পদ্ধতিতে আমূল পরিবর্তন আনতে হবে। রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গাদের মায়ের মমতায় আশ্রয় দিয়েছেন। এজন্য তিনি ইতোমধ্যে ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’ উপাধি পেয়েছেন। আরাকানে কোন স্কুল নেই, চিকিৎসা কেন্দ্র নেই। শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগ নিয়ে তারা আমাদের দেশে ঢুকছে। আমরা স্বাস্থ্য ক্যাম্প স্থাপনের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের চিকিৎসা দিচ্ছি। বিভিন্ন রোগের টিকা দিচ্ছি, যা তারা আগে পায়নি। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে নতুন ১২টি শয্যা যোগ হচ্ছে ॥ আগামী সপ্তাহে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে নতুন ১২টি শয্যা যোগ হচ্ছে। বর্তমানে এখানে শয্যা আছে ২০টি। এছাড়া আগামী দুই মাসের মধ্যে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নতুন চারটি অপারেশন থিয়েটার চালুর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এছাড়া এখানে ১টি পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ড, ১৬ শয্যার সার্জিক্যাল এইচডিইউ এবং ৬ শয্যার রিকভারি কক্ষসহ একটি পূর্ণাঙ্গ জরুরী বিভাগ চালু করা হবে শীঘ্রই। বুধবার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত ঢামেক, সলিমুল্লাহ্ মেডিক্যাল কলেজ, কুর্মিটোলা জেনারেল এবং উত্তরার বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল উন্নয়ন সংক্রান্ত সভায় এ তথ্য জানানো হয়। স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম এতে সভাপতিত্ব করেন। সভায় জানানো হয়, সারা দেশের জেলা হাসপাতালগুলোতে পূর্ণাঙ্গ জরুরী বিভাগ চালু করার জন্য সুপারিশ প্রণয়ন কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। শীঘ্রই তা চূড়ান্ত করে জেলা ও মেডিক্যাল কলেজ এবং বিভিন্ন বিশেষায়িত হাসপাতালে পূর্ণাঙ্গ জরুরী বিভাগ চালুর কাজ শুরু করা হবে। উত্তরার বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে দ্রুত প্রয়োজনীয় শয্যা বরাদ্দ করে অভ্যন্তরীণ চিকিৎসা চালু করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এ সময় পর্যাপ্ত জনবল নিয়োগের জন্যেও তিনি নির্দেশ দেন। কুর্মিটোলা হাসপাতালে দ্রুত আইসিইউ, সিসিইউ চালুসহ ডায়ালাইসিস ইউনিটের উন্নয়নেও অতিরিক্ত অর্থ বরাদ্দের প্রস্তাব এ সময় মন্ত্রী অনুমোদন করেন।
×