ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

রাজশাহীতে বলাৎকারের অভিযোগে মাদ্রাসা সুপার গ্রেফতার

প্রকাশিত: ২৩:৫৬, ২৫ অক্টোবর ২০১৭

রাজশাহীতে বলাৎকারের অভিযোগে মাদ্রাসা সুপার গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ রাজশাহীতে ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে মাদ্রাসার সুপারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার গভীর রাতে বোয়ালিয়া থানা পুলিশ ওই মাদ্রাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় বুধবার দুপুরে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানান বোয়ালিয়া থানার ওসি আমান উল্লাহ। গ্রেফতার ওই মাদ্রাসা সুপারের নাম আব্দুল জব্বার মাহমুদ জিহাদী (৫৫)। তিনি নগরের বোয়ালিয়া থানার ছোটবনগ্রাম এলাকার জামিয়া রহমানিয়া মাদ্রাসার সুপারেন্টেন্ড। আব্দুল জব্বার পরিবার নিয়ে ওই মাদ্রাসার ভিতরে বসবাস করেন। আব্দুল জব্বার হেফাজতে ইসলামের রাজশাহী শাখার অর্থ সম্পাদক। এছাড়াও কাওয়ামি মাদ্রাসা স্বীকৃতি বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য। ওসি জানান, মঙ্গলবার রাতে ওই মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ১৪ বছরের এক ছাত্র থানায় এসে তাকে বলাৎকারের অভিযোগ করে। তার বাড়ি রাজশাহীর তানোর উপজেলার তালন্দ উত্তরপাড়া গ্রামে। সে ওই মাদ্রাসার আবাসিক ছাত্র। তার অভিযোগের ভিত্তিতে রাতেই অভিযান চালিয়ে ওই মাদ্রাসা থেকে জব্বারকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় আব্দুল জব্বার অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করা হয়। তবে তার শারীরিক কোন সমস্যা না থাকায় বুধবার সকালে তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেয়। পরে তাকে থানায় নিয়ে আনা হয়। পরে তার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন ওই ছাত্রের বাবা। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, গত শুক্রবার দুপুরে মাদ্রাসা সুপার আব্দুল জব্বার তার নিজের চেম্বারের বাথ রুমে ওই ছাত্রকে বলাৎকার করে। ওই মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে চালান দেয়া হয় বলে জানান ওসি আমান উল্লাহ। বলাৎকারের শিকার ওই ছাত্র জানায়, সে মাদ্রাসার আবাসিক মেসে থেকে বসবাস করে। শুক্রবার দুপুরে তাকে ডেকে নিয়ে গিয়ে মাদ্রসার সুপার তার বাথ রুমে কাপড় পরিস্কারের কাজে লাগায়। এসময় সুপার বাথ রুমে গোসল করতে ঢুকে। গোসল করার এক পর্যায়ে তাকে ধরে বলাৎকার করে। এসময় বিষয়টি কাউকে বললে মাদ্রাসা থেকে বের করে দেয়ার হুমকি দেয়। ওই ছাত্র আরও বলেন, গত মঙ্গলবার তিনি বিষয়টি তার এক শিক্ষককে প্রথমে জানান। পরে ওই শিক্ষক তার পরিবারের সদস্যদের বিষয়টি জানালে বিকেলে তার বাবা রাজশাহীতে আসেন। এর পর রাতে তারা থানায় গিয়ে বিষয়টি পুলিশকে জানান বলে জানান ওই ছাত্র। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই মাদ্রাসার একজন শিক্ষক বলেন, অনেক ছাত্রের সঙ্গে মাদ্রাসা সুপার এ ধরণের আচরণ করেছেন। তারা লজ্জায় বিষয়টি প্রকাশ করেন নি। সম্প্রতি বিষয়টি তার স্ত্রী জেনে প্রতিবাদ করলে তাকেও নির্যাতন ও জখম করে মাদ্রাসার সুপার। পরে তারা সুপারের স্ত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করেছিলেন বলেও জানান ওই শিক্ষক।
×