ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে হাসিনা মানবতার নব দ্বারোন্মোচন করেছেন ॥ স্পীকার

প্রকাশিত: ০৫:৪২, ২৫ অক্টোবর ২০১৭

রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে হাসিনা মানবতার নব দ্বারোন্মোচন করেছেন ॥ স্পীকার

সংসদ রিপোর্টার ॥ স্পীকার ও সিপিএ চেয়ারপার্সন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, মানবিক সঙ্কটকালে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবতার নব দ্বারোন্মোচন করেছেন। তাঁর এ সাহসী পদক্ষেপ গোটা বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে। এ জন্য পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলো শেখ হাসিনাকে ‘মানবতার মা’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। মঙ্গলবার তাঁর কার্যালয়ে জাতীয় সংসদ ও ইউএনডিপির মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ সহশব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) অর্জনে সাফল্যের ধারাবাহিকতায় টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জনেও সক্ষম হবে। এ লক্ষ্যার্জনে উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে ইউএনডিপি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোঃ আবদুর রব হাওলাদার ও ইউএনডিপির পক্ষে আবাসিক প্রতিনিধি মি. সুদীপ্ত মুখার্জী সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন। স্পীকার ৬৩তম কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি এ্যাসোসিয়েশনের সম্মেলনের প্রস্তুতি সম্পর্কে ইউএনডিপির প্রতিনিধিকে অবহিত করেন। তিনি বলেন, আগামী ১ থেকে ৮ নবেম্বর ২০১৭ ঢাকায় এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। রোহিঙ্গা সঙ্কট প্রসঙ্গে স্পীকার বলেন, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র সফরকালে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস, সাবেক মহাসচিব ও এ্যাডভাইজরি কমিটি অন রাখাইন স্টেট কোফি আনান এবং জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা ও জরুরী ত্রাণবিষয়ক সমন্বয়কারী মার্ক লোকক আয়োজিত ব্রিফিংয়ে রোহিঙ্গা ইস্যুতে তাঁর ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। এ সময় সুদীপ্ত মুখার্জী আসন্ন ৬৩তম কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি কনফারেন্সের সার্বিক সফলতা কামনা করেন। ইউএনডিপি সমঝোতা স্মারকের আওতায় গবেষণা সক্ষমতা বৃদ্ধি, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যার্জনে বাস্তবায়ন ও পর্যবেক্ষণ দক্ষতা বৃদ্ধি এবং নেতৃত্ব বিকাশে সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধির প্রশিক্ষণ প্রদানে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সঙ্গে কাজ করবে। এ সময় সংসদ সচিবালয়ের পরিকল্পনা উন্নয়ন উইংয়ের অতিরিক্ত সচিব এ ওয়াই এম গোলাম কিবরিয়াসহ সংসদ সচিবালয় এবং ইউএনডিপির কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পার্বত্যাঞ্চলে সকল আইন তৈরির সুপারিশ ॥ পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভায় পার্বত্য শান্তি চুক্তির ওপর ভিত্তি করে পার্বত্যাঞ্চলে সকল আইন তৈরির সুপারিশ করা হয়েছে। কমিটি সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর সভাপতিত্বে মঙ্গলবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সভায় এ সুপারিশ করা হয়। কমিটির সদস্য পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উ শৈ সিং, কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, ঊষাতন তালুকদার এবং এমএ আউয়াল সভায় অংশগ্রহণ করেন। পার্বত্য খাগড়াছড়ি জেলায় বিভিন্ন দফতর বা সংস্থার চলমান উন্নয়ন প্রকল্পসমূহের বিষয়ে সভায় আলোচনা করা হয়। তিন পার্বত্য জেলায় আঞ্চলিক পরিষদ অথবা জেলা পরিষদের মাধ্যমে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিয়োগের জন্য কমিটি সুপারিশ করে। এছাড়াও সভায় উল্লেখ করা হয়, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন খাগড়াছড়ি জেলার উপজেলা সদর হতে প্রত্যন্ত অঞ্চলে সংযোগ সড়ক নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্পের জন্য ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে মোট বরাদ্দ ছিল ৫ কোটি টাকা। এ বরাদ্দ দিয়ে দীঘিনালা ও মানিকছড়ি এলাকায় ইতোমধ্যে সংযোগ সড়কের প্রায় ৫ কিলোমিটার মাটির কাজ, ৮ কিলোমিটার এইচবিবিকরণ, ২শ’ মিটার এলডি এবং ৩২৭ মি. রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণ করা হয়েছে। ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরের এডিপিতে প্রকল্পের অনুকূলে ১৯ কোটি ৯৮ লাখ টাকা বরাদ্দ রয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ মন্ত্রণালয় ও সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
×