ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

রোহিঙ্গাদের জন্য ৩৪ কোটি ডলারের প্রতিশ্রতি

প্রকাশিত: ০৭:৫৭, ২৪ অক্টোবর ২০১৭

রোহিঙ্গাদের জন্য ৩৪ কোটি ডলারের প্রতিশ্রতি

বিডিনিউজ ॥ জেনেভায় এক সম্মেলনে মিলিত হয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের পাশে থাকার অঙ্গীকার জানানোর পাশাপাশি তাদের জন্য জরুরী সহায়তা হিসেবে ৩৪ কোটি ডলার সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা বিষয়ক তিনটি সংস্থা ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও কুয়েতের উদ্যোগে আয়োজিত এক আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রুতি সম্মেলন শেষে আন্তর্জাতিক মানবিক সহায়তা বিষয়ক প্রধান মার্ক লুকক সাংবাদিকদের জানান, সম্মেলনে আমরা প্রায় ৩৪০ মিলিয়ন ডলার সহযোগিতার আশ্বাস পেয়েছি। জাতিসংঘ জানিয়েছে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের জন্য প্রায় ৩৪ কোটি ৪০ লাখ ডলার প্রয়োজন। লুকক বলেন, রোহিঙ্গাদের জরুরী সহায়তা দিতে আমাদের আরও অর্থের প্রয়োজন। ইউরোপীয় ইউনিয়ন সম্মেলনে আরও সাড়ে তিন কোটি ডলার সহযোগিতা দেয়ার ঘোষণা দেয়। তুরস্ক বলেছে রোহিঙ্গাদের সহায়তায় তারা ৫০ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করবে। সম্মেলনে তারা ১৫ মিলিয়ন ডলার সহযোগিতার ঘোষণা দেয়। এছাড়াও যুক্তরাজ্য ১২ মিলিয়ন পাউন্ড, অস্ট্রেলিয়া ১০ মিলিয়ন অস্ট্রেলীয় ডলার ও ডেনমার্ক ১০ মিলিয়ন ডলার সহযোগিতার ঘোষণা দেয়। জাতিসংঘের ঢাকা অফিস জানিয়েছে, কুয়েত ও জাতিসংঘ সংস্থাগুলোকে সঙ্গে নিয়ে ইইউ সোমবার রোহিঙ্গাদের জন্য তহবিল সংগ্রহের এই সম্মেলনের আয়োজন করে। ইউরোপের ২৮ দেশের এই জোট আলাদা বিবৃতিতে বলেছে, মিয়ানমারে দমন-পীড়নের মুখে দুর্দশায় পড়া রোহিঙ্গাদের জন্য আগেই তিন কোটি ইউরো সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তারা। এর বাইরে মিয়ানমার ও বাংলাদেশে থাকা রোহিঙ্গাদের জন্য দুই কোটি ১০ লাখ ইউরো ইতোমধ্যে বরাদ্দ দিয়েছে ইইউ। সব মিলিয়ে এ বছর রোহিঙ্গাদের জন্য ইইউর প্রতিশ্রুত সাহায্যের পরিমাণ ৫ কোটি ১০ লাখ ইউরোতে দাঁড়িয়েছে। জেনেভায় সম্মেলনের আগে জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধির অফিস থেকে জানানো হয়েছিল, চাহিদার মাত্র ২৭ শতাংশ অর্থের প্রতিশ্রুতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে পাওয়া গেছে। ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক রবার্ট ওয়াটকিনস জেনেভায় তহবিল সংগ্রহ সম্মেলনে বলেন, বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে যা ঘটছে তা এই মুহূর্তে বিশ্বে সবচেয়ে দ্রুত বাড়তে থাকা শরণার্থী সঙ্কট। ফলে ত্রাণ তৎপরতার গতি বাড়াতে আরও দ্রুত তহবিল ছাড় করা প্রয়োজন। বাংলাদেশ সরকারকে আমরা ধন্যবাদ জানাই, কারণ তারা সীমান্ত খোলা রেখেছে, মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে। যে উদারতার সঙ্গে তাদের সহায়তা করা হয়েছে, সেজন্য স্থানীয় বাসিন্দাদেরও আমরা ধন্যবাদ জানাই। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যেভাবে রোহিঙ্গাদের প্রতি সংহতি জানিয়েছে এবং তাদের জন্য জরুরী সহায়তার প্রতিশ্রুতি নিয়ে এগিয়ে এসেছে, সেজন্যও আমরা ধন্যবাদ জানাই। রবার্ট ওয়াটকিনস জানান, আগস্টের শেষ দিকে রোহিঙ্গা সঙ্কটের শুরু থেকে এ পর্যন্ত ১১ কোটি ৬০ লাখ ডলারের যোগান দিয়েছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। তার সঙ্গে এই ৩৪ কোটি ডলারের নতুন প্রতিশ্রুতি যুক্ত হলো।
×