ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

দুর্নীতির দায়ে দুদকের সহকারী পরিচালক বহিষ্কার

প্রকাশিত: ০৫:৩৪, ২৪ অক্টোবর ২০১৭

দুর্নীতির দায়ে দুদকের সহকারী পরিচালক বহিষ্কার

স্টাফ রিপোর্টার ॥ জ্ঞাত আয় বহির্ভূত প্রায় ২ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ ও তথ্য গোপনের দায়ে এবার ফাঁসলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক আমিরুল ইসলাম। তিনি দুদকের রাজশাহী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। দুদক কর্মচারী বিধিমালা ভঙ্গ করায় তাকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে দুদক। সোমবার দুদকের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান (কমিশনার) ড. নাসিরউদ্দীন আহমেদ স্বাক্ষরিত অফিস আদেশ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। অফিস আদেশে বলা হয়েছে, দুদক কর্মকর্তা আমিরুল ইসলামের এ কার্যক্রম দুদক কর্মচারী বিধিমালা-২০০৮ অনুসারে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তাই দুদক মনে করে তাকে চাকরিতে রাখা জনস্বার্থেও জন্য ক্ষতিকর। এ বিবেচনায় উক্ত বিধিমালার ৪৩ (১) বিধি অনুযায়ী দুদকের চাকরি হতে ২৩ অক্টোবর এ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে বরখাস্ত থাকাকালীন তিনি খোরাকি ভাতা প্রাপ্য হবেন। জানা গেছে, দুদকের ওই কর্মকর্তা তার আয়কর বিবরণীতে কোন ব্যাংক হিসাবে গচ্ছিত অর্থের পরিমাণ শূন্য দেখিয়েছেন। অথচ দুদকের অনুসন্ধানে সোনালী ব্যাংকের সেগুনবাগিচা শাখায় ১২ লাখ ৮৬ হাজার ৮৪৫ টাকা পাওয়া যায়, যা আয়কর নথিতে গোপন রেখেছিলেন। অন্যদিকে অনুসন্ধানে পাওয়া গাজীপুর ও টাঙ্গাইল জেলায় তার স্ত্রীর নামে ১ কোটি ৭৫ লাখ টাকার ১.৩০ একর জমিরও তিনি কোন বৈধ আয়ের উৎস দেখাতে ব্যর্থ হয়েছেন। আর এই সম্পদও তিনি গোপন রেখেছিলেন। যা পরবর্তীকালে অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে। এ বিষয়ে দুদক মহাপরিচালক মুনীর চৌধুরী বলেন, শুধু সাময়িক বরখাস্ত নয়। স্বাভাবিক নাগারিক দুর্নীতির দায়ে যেভাবে আইনের মুখোমুখি হয়ে থাকে এক্ষেত্রে এর ব্যত্যয় হবে না।
×