ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ইটিভির দুই সাংবাদিকও আসামি

রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় তারেকের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট

প্রকাশিত: ০৫:৩০, ২৪ অক্টোবর ২০১৭

রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় তারেকের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট

কোর্ট রিপোর্টার ॥ রাষ্ট্রদ্রোহের একটি মামলায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। সোমবার মামলাটির চার্জশীট দাখিলের পর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোঃ কামরুল হোসেন মোল্লা এই পরোয়ানা জারি করেন। অন্য ২ আসামি হলেন- একুশে টিভি (ইটিভি) চ্যানেলের সাংবাদিক কনক সারোয়ার ও মাহতির ফারুকী খান। এই মামলারই আসামি একুশে টেলিভিশনের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুস সালাম জামিনে আছেন। এ মামলায় জামিনে থাকা একমাত্র আসামি বেসরকারী টেলিভিশন একুশে টিভির (ইটিভি) সাবেক চেয়ারম্যান আবদুস সালাম আদালতে হাজির ছিলেন। তার পক্ষে শুনানি করেন এ্যাডভোকেট শাহাবুদ্দিন শেখ। সংশ্লিষ্ট আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত পিপি তাপস কুমার পাল জানিয়েছেন, মামলাটিতে আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশীট দাখিলের পর বিচারের জন্য বদলি মূলে এ আদালতে আসে। সোমবার অভিযোগপত্র আমলে নেয়ার দিন ধার্য ছিল। পরোয়ানা জারি করা আসামিরা বিনা পদক্ষেপে গড়হাজির ছিলেন। চার্জশীটভুক্ত সব আসামির বিরদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়ে বিচারক পরোয়ানা জারি করেছেন। ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি লন্ডনে একটি অনুষ্ঠানে তারেক রহমানের দেয়া বক্তব্য ইটিভিতে সরাসরি প্রচারিত হয়। ওই বক্তব্যে রাষ্ট্রদ্রোহিতার উপাদান রয়েছে বলে অভিযোগপত্রে দাবি করা হয়। মামলায় পরস্পর যোগসাজশে রাষ্ট্রের বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যদের উস্কানি দেয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। ওই বছরের ৬ জানুয়ারি তেজগাঁও থানার পুলিশ তারেক রহমান ও আবদুস সালামের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করে। মন্ত্রণালয়ের অনুমতি পাওয়ার পর ৮ জানুয়ারি, ২০১৫ সালের বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও ইটিভির তৎকালীন চেয়ারম্যান আবদুস সালামের বিরুদ্ধে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় রাষ্ট্রদ্রোহের মামলাটি করেন তেজগাঁও থানার (অপারেশন অফিসার) উপপরিদর্শক বোরহান উদ্দিন। গত বছরের ৬ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পরিদর্শক এমদাদ হোসেন তারেক রহমানসহ চারজনের বিরুদ্ধে দ-বিধির ১২৪(এ) ও পুলিশ ইনসাইটমেন্ট অব ডিস এ্যাফেকশনের ১৯২২-এর ৩ ধারায় অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এজাহারে বলা হয়, বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডনে এক অনুষ্ঠানে মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও উস্কানিমূলক এবং বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য দেন। তার ওই বক্তব্যের মাধ্যমে দেশের স্বাধীন বিচার বিভাগ, দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং পুলিশ বাহিনীর মধ্যে অসন্তোষ ও বিদ্বেষ সৃষ্টির জন্য তিনি অপচেষ্টা চালিয়েছেন। তারেকের দেয়া ওই বক্তব্য এ আসামি তার মালিকানাধীন টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করেন। যা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকিস্বরূপ। এ মামলায় ইটিভির তৎকালীন চেয়ারম্যান আবদুস সালাম ফৌজাদরি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন।
×