ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

কবি মোহাম্মদ রফিকের ৭৫তম জন্মদিন

প্রকাশিত: ০৫:২৮, ২৪ অক্টোবর ২০১৭

কবি মোহাম্মদ রফিকের ৭৫তম জন্মদিন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দেশের বরেণ্য কবি মোহাম্মদ রফিকের ৭৫তম জন্মদিন ছিল ২৩ অক্টোবর। ১৯৪৩ সালের ওই দিন তিনি বাগেরহাট জেলার বৈটপুর গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। শিক্ষক পিতার আট সন্তানের মধ্যে সবার বড় মোহাম্মদ রফিক। ভিন্নমাত্রার বৈচিত্র্যপূর্ণ জীবনটা চলে অনেকটাই দুঃসাহসিক অভিযাত্রায়। বর্ণাঢ্য ছাত্রজীবনের রাজনীতি তাঁর সময়ের এক যুগান্তকারী অধ্যায়। আইয়ুব খানের গাড়িবহরে ঢিল ছোড়া থেকে শুরু করে কারাবরণের মতো ঘটনা তৎকালীন রাজনৈতিক চেতনার এক বিশুদ্ধ প্রয়াস। স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ ও দেশমাতৃকার শৃঙ্খল মোচনের এক বলিষ্ঠ প্রত্যয় ছিল তার। বিষয় এবং শিক্ষকতায় ইংরেজী সাহিত্য হলেও মাতৃভাষার প্রতি আত্মনিমগ্ন কবি তাঁর সৃজন-ভা-ার নিজের ভাষাতেই পরিপূর্ণ করেন। ২০০৮ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজী বিভাগ থেকে তিনি অবসর নেন। ১৯৭০ সালে প্রকাশিত ‘বৈশাখী পূর্ণিমা’ কাব্যগ্রন্থের মধ্য দিয়েই তাঁর কাব্য প্রতিভার স্ফূরণ ঘটে। এর পরে আর পেছন ফিরে তাকাননি তিনি। লিখে গেছেন একের পর এক কবিতার সারিবদ্ধ মালা যা ছুঁয়ে যায় বাংলার মানুষ, মাটি, জল, আর জীবনবোধের মতো নানামাত্রিক অনুভব ও অনুভূতিকে। পরিশ্রমী এবং নিবেদিত পাঠক কবি মোহাম্মদ রফিক শুধুমাত্র কবিতার জগৎকেই একমাত্র আঙ্গিনা হিসেবে বিবেচনায় আনেননি, চিন্তাশীলতার শুদ্ধমতাদর্শও তাঁর মননকে নানাভাবে তাড়িত করেছে। ‘আত্মরক্ষার প্রতিবেদন’ কিংবা ‘ওগো বন্ধু, ওগো পরবাসী’র মতো পরিশুদ্ধ বিশ্লেষণধর্মী লেখাও তাঁর জীবন ও সাহিত্যকে ভরে তোলে। তাঁর ‘অশ্রুময়ীর শব’, ‘পূর্বাহ্ণে সামগান’, ‘দুটি গাঁথা কাব্য এ কোন বেহুলা, সে ছিল বেদেনি’ কাব্যসম্ভার বাংলা সাহিত্যে এক অপূর্ব সংযোজন। আর ১৯৮৩ সালের সেই খোলা কবিতা ‘সবশালা কবি হবে’ আজও সবাইকে মন্ত্রমুগ্ধের মতো আবিষ্ট করে। ‘বাংলা একাডেমি’, ‘আলাওল পুরস্কার’, ‘একুশে পদক’, ‘বাংলা একাডেমির বিশেষ পুরস্কার’সহ তাঁকে বিভিন্ন পদকে ভূষিত হয়েছেন। জন্মদিন উপলক্ষে শুভেচ্ছা ও ভালবাসয় সিক্ত হয়েছেন করি। তার আরও অনেক সৃষ্টি সম্পদে বাংলা সাহিত্য সমৃদ্ধ হোক। পাশাপাশি ৭৫তম জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষে কবির সুস্বাস্থ্য এবং দীর্ঘায়ু কামনা করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
×