স্টাফ রিপোর্টার ॥ একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা ও গাইবান্ধার সাবেক সংসদ সদস্য আবু সালেহ মুহাম্মদ আব্দুল আজিজ মিয়া ওরফে ঘোড়ামারা আজিজসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে রায় যেকোন দিন ঘোষণা করা হবে। আসামি ও রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে সোমবার রায় ঘোষণার জন্য দ্বিতীয়বারের মতো অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখেন ট্রাইব্যুনাল। চেয়ারম্যান বিচারপতি মোঃ শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যবিশিষ্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ সোমবার এ আদেশ প্রদান করেছে। এটি হবে ট্রাইব্যুনালের ২৯তম রায়। মামলায় আব্দুল আজিজ ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন- মোঃ রুহুল আমিন ওরফে মঞ্জু (৬১), মোঃ আব্দুল লতিফ (৬১), আবু মুসলিম মোহাম্মদ আলী (৫৯), মোঃ নাজমুল হুদা (৬০) ও মোঃ আব্দুর রহিম মিঞা (৬২)। ছয় আসামির মধ্যে মোঃ আব্দুল লতিফ কারাগারে। অপর পাঁচ আসামি পলাতক। প্রসিকিউশন পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন ও শেখ মোশফেক কবির। আসামি পক্ষে উপস্থিত ছিলেন লতিফের পক্ষে আইনজীবী খন্দকার রেজাউল এবং পলাতক আসামিদের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী গাজী এমএইচ তামিম ও মোঃ শাহিনুর ইসলাম। গত ১৬ এপ্রিল মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউশনের আনা সব সাক্ষীর জবানবন্দী ও জেরার কার্যক্রম শেষ করার পর যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য ৮ মে দিন নির্ধারণ করেছিলেন ট্রাইব্যুনাল। ওই দিন ট্রাইব্যুনালের নির্ধারিত দিনে ঘোড়ামারা আজিজসহ আসামিদের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগের বিষয়ে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করেন রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউশন। পরে ৯ মে আসামিপক্ষের আইনজীবী গাজী এমএইচ তামিম পাল্টা যুক্তিতর্ক শেষ করেন। উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হওয়ায় পর রায় ঘোষণার জন্য মামলাটি অপেক্ষমাণ রাখে আদালত। বিচারপতি আনোয়ারুল হক মৃত্যুবরণ করায় ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। নবগঠিত ট্রাইব্যুনাল মামলাটি পুনরায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য দিন ধার্য করে আদেশ দিলে রবিবার থেকে প্রসিকিউশন যুক্তিতর্ক শুরু করে। পরে সোমবার যুক্তিতর্ক শেষে দ্বিতীয়বারের মতো সিএভি রাখে ট্রাইব্যুনাল।