ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ওয়ানডে সিরিজে পাকিস্তান ৫-০তে জয়ী

প্রকাশিত: ০৪:১৭, ২৪ অক্টোবর ২০১৭

ওয়ানডে সিরিজে পাকিস্তান ৫-০তে জয়ী

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ টেস্ট হারের বদলাটা কি দারুণ ভাবেই না নিল পাকিস্তান। পাঁচ ওয়ানডের দীর্ঘ সিরিজে শ্রীলঙ্কাকে ৫-০তে ‘হোয়াইটওয়াশ’ করল সরফরাজ আহমেদের দল! সোমবার শারজায় ৫ম ও শেষ ওয়ানডতে তাদের জয় ৯ উইকেটে। প্রতিপক্ষকে মাত্র ১০৩ রানে অল আউট করে বোলাররাই জয়ের ভিত তৈরি করে দেন। লঙ্কানদের ভরাডুবির মাঝে লাহিরু থিরিমান্নে ১৯ ও থিসারা পেরেরা করেন সর্বোচ্চ ২৫ রান। ক্যারিয়ারে দ্বিতীয় ম্যাচে পেসার উসমান খান একাই নিয়েছেন ৫ উইকেট। হাসান আলী ও শাদাব খানের শিকার দুটি করে। এরপর মনে হচ্ছিল, পাকিস্তান ১০ উইকেটেই জয়ী হতে যাচ্ছে। ইমাম-উল-হক এবং ফকর জামান দলকে সেই দিকেই নিয়ে যাচ্ছিলেন। তবে ফকর ৪৮ রানে আউট হন। ইমাম এবং ফাহিম আশরাফ (৫*) বাকি কাজটুকো সম্পন্ন করেন। অভিষেকে সেঞ্চুরি হাঁকানো ইমাম অপরাজিত থাকেন ৪৫ রান নিয়ে। মূলত শুরুতেই শ্রীলঙ্কাকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেন উসমান। এই সিরিজেই পাঠানের ওয়ানডে অভিষেক। উসমান তার প্রথম ২১ বলের মধ্যেই ওই ৫ উইকেট নিয়ে খেলাটিকে একতরফায় পরিণত করেন। উসমান খানের তা বের সময় মনে হচ্ছিল একদিনের ক্রিকেটে সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড সৃষ্টি হতে যাচ্ছে। ওয়ানডেতে সর্বনিম্ন ইনিংসের মালিক জিম্বাবুইয়ে। ২০০৪ সালে ৩৫ রানে অলআউট হয়েছিল তারা। হারারেতে সেদিন স্বাগতিকদের এ লজ্জা দিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। এর আগের বছরই কানাডাকে ৩৬ রানে অলআউট করেছিল ভাস-মুরালির দল। এ তালিকায় তিনে থাকা ঘটনাটি ২০০১ সালের। কলম্বোতে ৩৮ রানে অলআউট হয়েছিল জিম্বাবুইয়ে। সেদিন মুত্তিয়া মুরালিধরন বাগড়া না দিলে (শেষ ২ উইকেট পেয়েছিলেন) কে জানে একটা অবিস্মরণীয় ঘটনাও ঘটে যেত পারত। আগের ৮ উইকেটই যে পেয়েছিলেন চামিন্দা ভাস। ১০ উইকেট পাওয়ার অনন্য ঘটনা ঘটাতে না পারলেও, ওয়ানডের সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড (৮/১৯) এখনো এই বাঁহাতি পেসারের। ইনিংসের পঞ্চম বলে সাদিরা সামারাবিক্রমকে বোল্ড করে শুর, উসমান খান থামলেন সপ্তম ওভারের তৃতীয় বলে মিলিন্দা সিরিবর্দনাকে ক্যাচ বানিয়ে। এই ১৭ বলের মাঝেই শ্রীলঙ্কার প্রথম পাঁচ উইকেট তুলে নিয়েছেন এই পেসার। ২০০১ সালের পর এমন বিধ্বংসী স্পেল মাত্র দুবার দেখা গেছে। ২০০৩ বিশ্বকাপে চামিন্দা ভাস ১৬ বলের মধ্যে বাংলাদেশের প্রথম পাঁচ ব্যাটসম্যানকে আউট করেছিলেন। আর ২০১৩ সালে হল্যান্ডের ফন ডার গুগটেন কানাডার পাঁচ ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়েছেন ১৯ বলের মধ্যেই। কাল গুগটেনকেও ছাড়িয়ে গেছেন উসমান। এক বছরে ওয়ানডেতে শ্রীলঙ্কার এটি তৃতীয় হোয়াইটওয়াশ-লজ্জা। টানা ১২ ম্যাচে হার! স্কোর কার্ড শ্রীলঙ্কা : ২৬.২ ওভারে ১০৩/১০ (থারাঙ্গা ৮, সামারাবিক্রমা ০, চান্দিমাল ০, থিরিমান্নে ১৯, ডিকভেলা ০, সিরিবর্দনা ৬, প্রসন্ন ১৬, থিসারা ২৫, ভ্যান্ডারসে ২, চামিরা ১১, বিশ্ব ৭*; উসমান ৫/৩৪, আশরাফ ০/১২, ইমাদ ০/১২, হাসান ২/১৯, শাদাব ২/২৪, হাফিজ ০/১)। পাকিস্তান : ২০.২ ওভারে ১০৫/১ (ইমাম ৪৫*, ফখর ৪৮, আশরাফ ৫*; চামিরা ০/১৩, বিশ্ব ০/২১, ভ্যান্ডারসে ১/৩০, পেরেরা ০/১৮, প্রসন্ন ০/২১)। ফল : পাকিস্তান ৯ উইকেটে জয়ী সিরিজ : পাঁচ ওয়ানডের সিরিজ পাকিস্তান ৫-০তে জয়ী ম্যান অব দ্য ম্যাচ : উসমান খান (পাকিস্তান)। ম্যান অব দ্য সিরিজ : হাসান আলী (পাকিস্তান)।
×