ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

শেখ হাসিনার নামে সর্ববৃহৎ তাঁত পল্লী হচ্ছে

প্রকাশিত: ০৩:৫৯, ২৪ অক্টোবর ২০১৭

শেখ হাসিনার নামে সর্ববৃহৎ তাঁত পল্লী হচ্ছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ তাঁত শিল্প এবং তাঁত শিল্প সংশ্লিষ্টদের জন্য প্রয়োজনীয় অকাঠামো উন্নয়নে বড় প্রকল্প হাতে নেয়া হচ্ছে। ১২০ একর এলাকাজুড়ে স্থাপন করা হবে তাঁত শিল্পনগরী। এখানে থাকবে তাঁত শিল্প সংশ্লিষ্টদের জন্য স্কুল, কলেজ, মসজিদ, রাস্তা, খেলার মাঠ ও পুনর্বাসনের জন্য আবাসিক ফ্ল্যাটনহ বিভিন্ন স্থাপনা। পদ্মা সেতুর পাশে মাদারীপুর ও শরীয়তপুর জেলায় শেখ হাসিনা তাঁতপল্লী নামে এই প্রকল্প স্থাপনের উদ্যোগ নেয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। পরিকল্পনা কমিশন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। জানা গেছে, বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড এ সংক্রান্ত এক প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে পাঠিয়েছে। যা শীঘ্রই জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (একনেক) সভায় অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হতে পারে। অনুমোদন পেলে চলতি অর্থবছরেরই এই বৃহৎ প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। বাংলাদেশ তাঁত বোর্ডের চেয়ারম্যান ও অতিরিক্ত সচিব জসীম উদ্দিন এ প্রসঙ্গে বলেন, নিয়ম ও বিধি অনুযায়ী শেখ হাসিনা তাঁতপল্লী স্থাপন প্রকল্প গ্রহণের কাজ এগিয়ে চলছে। আমরা প্রস্তাব পাঠিয়েছি, একনেক সভায় প্রকল্পটি অনুমোদন হলে চলতি অর্থবছরেই বৃহৎ এই প্রকল্পের কাজ শুরু করা যাবে। প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০২১ সাল পর্যন্ত। এর ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৯১১ কোটি টাকা। তিনি জানান, এ প্রকল্পের মধ্যে তাঁতশিল্প এবং তাঁতশিল্প সংশ্লিষ্টদের জন্য প্রয়োজনীয় অকাঠামো উন্নয়ন, স্কুল, কলেজ, মসজিদ, রাস্তা, খেলার মাঠ ও পুনর্বাসনের জন্য আবাসিক ফ্ল্যাটসহ বিভিন্ন কর্মকা- বাস্তবায়িত হবে। জানা গেছে, বৃহৎ এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে তাঁতশিল্পের জন্য নতুন এক দিগন্তের উন্মোচন হবে এবং প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ১০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী বিশ্বখ্যাত ‘মসলিন’ কাপড় তৈরির প্রযুক্তি পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড কর্তৃক ১২ কোটি ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। তাঁত বোর্ডের ভবিষ্যত পরিকল্পনা সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড কর্তৃক প্রণয়নকৃত প্রকল্পসমূহ অনুমোদন ও যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা গেলে তাঁত বস্ত্রের উৎপাদন বছরে ৬৮ কোটি মিটার (বিবিএস) থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ১০০ কোটি মিটারে উন্নীত হবে। ফলে উৎপাদিত তাঁত বস্ত্র দ্বারা দেশের বর্তমান অভ্যন্তরীণ বস্ত্র চাহিদাপূরণ ৪০ থেকে ৫৫ শতাংশে উন্নীত হবে। এছাড়া তাঁত বস্ত্রের রফতানিতে বছরে ১৫০ কোটি মার্কিন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা আয় হবে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা আশা প্রকাশ করেছেন। তাঁত বোর্ড সূত্র জানিয়েছে, জাতীয় অর্থনীতিতে তাঁত বস্ত্রের মূল্য সংযোজনের পরিমাণ বছরে ১ হাজার ২২৭ কোটি টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকায় উন্নীত হবে। ফলে ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করার লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
×