ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

উত্তর কোরিয়াকে শক্ত হাতে মোকাবিলা করা হবে

প্রকাশিত: ১৭:৫৫, ২৩ অক্টোবর ২০১৭

উত্তর কোরিয়াকে শক্ত হাতে মোকাবিলা করা হবে

অনলাইন ডেস্ক ॥ বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে উত্তর কোরিয়াকে শক্ত হাতে মোকাবিলা করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। রবিবার জাপানে অনুষ্ঠিত আগাম নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষে কেন্দ্রফেরত জরিপ অনুযায়ী বিপুল ব্যবধানে বিজয়ী হওয়ার পূর্বাভাস পাওয়ার পর এ প্রত্যয় ব্যক্ত করলেন তিনি। শিনজো আবে বলেছেন, একগুচ্ছ সংকটের মধ্যে থাকা জাপানের জনগণের ওপর শক্তিশালী ম্যান্ডেট পাওয়ার আশায় এক বছর আগেই নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। এসব সংকটের মধ্যে জাপানের বিরুদ্ধে উত্তর কোরিয়ার হুমকি অন্যতম। জাপানকে সাগরে ডুবিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। এ ছাড়া সম্প্রতি দুইবার জাপানের ওপর দিয়ে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে তারা। এ অবস্থায় উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন শিনজো আবে। কেন্দ্রফেরত জরিপ অনুযায়ী, নির্বাচনে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার পথে রয়েছেন শিনজো আবের দল। জাপানের প্রতিরক্ষা বাহিনীকে ঢেলে সাজাতে সংবিধান পরিবর্তন করার প্রয়োজন হবে। এ জন্য পার্লামেন্টে (ডায়েট) দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা দরকার এবং এ কারণেই আগাম নির্বাচন নিয়ে সেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী আবে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে পরাজিত হওয়ার পর ১৯৪৭ সালে জাপান অধিগ্রহণকারী আমেরিকানদের হাতে দেশটির জন্য ‘শান্তিবাদী সংবিধান’ তৈরি হয়েছিল, যার ৯ অনুচ্ছেদে যেকোনো ধরনের যুদ্ধে না জড়ানোর প্রতিশ্রুতি রয়েছে। সেই সংবিধান পরিবর্তন করে জাপানকে যুগোপযোগী করতে চান শিনজো আবে, যাতে উত্তর কোরিয়ার মতো দেশের হুমকি মোকাবিলা করা যায়। জাপানের সামরিক বাহিনী শুধু আত্মরক্ষায় কাজ করে থাকে। শিনজো আবে চাইছেন, প্রয়োজনে তারা যেন যুদ্ধ করতে পারে- সাংবিধানিকভাবে এমন ব্যবস্থা করতে। এ জন্য দেশের বেশির ভাগ জনগণের সমর্থন চাইছেন তিনি। জরিপ অনুযায়ী, এবারের নির্বাচনে শিনজো আবের দল লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির নেতৃত্বাধীন জোট ৩১২ আসন পেতে যাচ্ছে। ডায়েটের নিম্নকক্ষ বা প্রতিনিধি পরিষদে ৪৭৫ আসন রয়েছে। এর দুই-তৃতীয়াংশ আসন নিশ্চিত হলে ১৯৪৭ সালের সংবিধান পরিবর্তন করতে পারবেন শিনজো আবে। নির্বাচনে জয়ের মাধ্যমে শিনজো আবে দলীয় প্রধান হিসেবেও আরো তিন বছরের জন্য ক্ষমতা পাওয়ার সুযোগ পেতে চলেছেন। নভেম্বর মাসে দলীয় নির্বাচন। আর আগামী চার বছর প্রধানমন্ত্রী পদে বহাল থাকলে তিনি হবেন জাপানের সবচেয়ে বেশি সময়ের প্রধানমন্ত্রী। সূত্র : বিবিসি অনলাইন।
×