ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সরকারী কলেজ শিক্ষকদের দাবি ১৬ নবেম্বরের মধ্যে মানতে হবে

প্রকাশিত: ০৮:৩৬, ২৩ অক্টোবর ২০১৭

সরকারী কলেজ শিক্ষকদের দাবি ১৬ নবেম্বরের মধ্যে মানতে হবে

জনকণ্ঠ রিপোর্ট ॥ বেসরকারী থেকে সরকারী হওয়া কলেজ শিক্ষকদের ‘বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারে’ অন্তর্ভুক্ত করার ঘটনা নিয়ে অস্থিরতার দিকে যাচ্ছে শিক্ষাঙ্গন। ওই শিক্ষকদের নন-ক্যাডার করা ও তাদের চাকরি স্ব স্ব কলেজে সীমাবদ্ধ রাখার দাবিতে রবিবার দেশজুড়ে একযোগে ডাকা সংবাদ সম্মেলন ও মতবিনিময় থেকে বৃহত্তর কর্মসূচীর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সরকারী কলেজ শিক্ষকরা। সারাদেশের সরকারী কলেজ শিক্ষকরা আগামী ১৬ নবেম্বরের মধ্যে দাবি পূরণে আল্টিমেটাম দিয়ে বলেছেন, বেসরকারী থেকে সরকারী হওয়া শিক্ষকদের নন-ক্যাডার করে নতুন বিধি জারি না করলে ১৭ নবেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশ করে বৃহত্তর কর্মসূচী দেয়া হবে। পূর্ব ঘোষণা অনুসারে রবিবার দেশের ৬৪ জেলায় একযোগে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির ডাকে ব্যতিক্রমী এ কর্মসূচী পালিত হয়েছে। কর্মসূচী সফল করায় বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির সভাপতি অধ্যাপক আইকে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার ও মহাসচিব শাহেদুল খবীর চৌধুরী বিসিএস ক্যাডারভুক্ত সারাদেশের সরকারী কলেজ শিক্ষকদের অভিনন্দন জানিয়েছেন। তারা বলেছেন, আমরা কলেজ জাতীয়করণের বিপক্ষে নই। কিন্তু জাতীয়করণ করা কলেজ শিক্ষকদের বিসিএস পরীক্ষায় উর্ত্তীণ না হলে তাদের ক্যাডারভুক্ত করা যাবে না। শিক্ষানীতি ২০১০ অনুযায়ী কলেজ জাতীয়করণের পর নিয়োগ করা শিক্ষকদের জন্য নতুন বিধিমালা করতে হবে। জাতীয়করণের এই সমস্যার ফলে কলেজ কর্তৃপক্ষ এবং শিক্ষকদের মধ্যে দ্বন্দ সৃষ্টি হচ্ছে, শিক্ষা কার্যক্রম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আমরা চাই নতুন নিয়োগকৃত শিক্ষকদের জন্য নতুন নীতিমালা প্রণয়ন করা হোক। জাতীয়করণ করা কলেজের নন-ক্যাডার শিক্ষকদের নিজ নিজ কলেজ থেকে অন্যত্র বদলি না করার আহ্বানও জানান নেতারা।। শিক্ষক নেতারা বলেন, বেসরকারী থেকে জাতীয়করণ হওয়া কলেজগুলোতে কর্মরত শিক্ষকদের জন্য পৃথক নিয়োগ, পদায়ন, জ্যেষ্ঠতা, পদোন্নতি ও পরিচালনাসহ চাকরির শর্ত নির্ধারণ করে নীতিমালা প্রণয়ন করা দরকার, যাতে বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে মেধার ভিত্তিতে যোগদান করা কর্মকর্তাদের স্বার্থ ও মর্যাদা কোনভাবেই ক্ষুন্ন না হয়। কিন্তু বেসরকারী কলেজের শিক্ষকদের ক্যাডারভুক্ত করার পাঁয়তারা চলছে। এখন জাতীয়করণ হওয়া শিক্ষকরা যদি সরাসরি ক্যাডারে অন্তর্ভুক্ত হন, তাহলে বিদ্যমান বিসিএস শিক্ষক ক্যাডারের কর্মকর্তারা জ্যেষ্ঠতা হারাবেন। এর ফলে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের মেধাবী শিক্ষকরাও মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। এদিকে সারাদেশের কর্মসূচীতেই বিসিএস শিক্ষক নেতারা বলেছেন, আমরা কলেজ জাতীয়করণের বিপক্ষে নই। কিন্তু জাতীয়করণ করা কলেজ শিক্ষকদের বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হলে তাদের ক্যাডারভুক্ত করা যাবে না। শিক্ষানীতি অনুযায়ী কলেজ জাতীয়করণের পর ওই কলেজের শিক্ষকদের জন্য নতুন বিধিমালা করতে হবে।
×