ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

লন্ডনে ২০১৭ সালের ফিফা বর্ষসেরার পুরস্কার ঘোষণা আজ, সেরা কোচের দৌড়ে এগিয়ে জিদান

সেরার দৌড়ে রোনাল্ডো, মেসি ও নেইমার

প্রকাশিত: ০৫:৪৬, ২৩ অক্টোবর ২০১৭

সেরার দৌড়ে রোনাল্ডো, মেসি ও নেইমার

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ অবশেষে সেই ক্ষণ দুয়ারে। আজ ইংল্যান্ডের লন্ডনে ঘোষণা করা হবে ২০১৭ সালের ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলারের নাম। জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানে আরও বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে সেরাদের হাতে এ্যাওয়ার্ড তুলে দেয়া হবে। ফিফার অন্তর্ভুক্ত জাতীয় দলের কোচ, অধিনায়ক ও প্রতিটি দেশের একজন করে সাংবাদিক এবং ফিফা ডটকমে নিবন্ধন করা ফুটবলপ্রেমীদের ভোটে বিজয়ী নির্বাচন করা হবে। সেরা নির্বাচনের জন্য গত সেপ্টেম্বরে তিনজনের সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রকাশ করে ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা। তালিকায় ঠাঁই পেয়েছেন পিএসজির ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমার, রিয়াল মাদ্রিদের পর্তুগীজ সুপারস্টার ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো ও বার্সিলোনার আর্জেন্টাইন মহানায়ক লিওনেল মেসি। গত আগস্টে ২৪ জনের সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রকাশ করেছিল ফিফা। সেখান থেকে সংখ্যাটা তিনজনে নামিয়ে এনেছে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। ২০১৫ সালের বর্ষসেরার লড়াইয়েও তিনজনের সংক্ষিপ্ত তালিকায় ছিলেন মেসি-রোনাল্ডো-নেইমার। সেবার পঞ্চমবারের মতো পুরস্কারটি জেতেন মেসি। গত নয় বছরে বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কার মেসি ও রোনাল্ডো ছাড়া জিততে পারেনি আর কেউ। বার্সিলোনা তারকা পাঁচবার ও রিয়াল মাদ্রিদ ফরোয়ার্ড চারবার জিতেছেন। এবার ‘বেস্ট ফিফা মেনস প্লেয়ার’ জিতলে সবচেয়ে বেশিবার বর্ষসেরা হওয়া মেসির রেকর্ড স্পর্শ করবেন রোনাল্ডো। বছরজুড়ে অসাধারণ সাফল্যের কারণে তার সম্ভাবনাই বেশি বলে মনে করছেন ফুটবল কর্তারা। ২০১৬ সালের ২০ নবেম্বর থেকে ২০১৭ সালের ২ জুলাই পর্যন্ত খেলোয়াড়দের অর্জন বিবেচনায় পুরস্কারটি দেয়া হবে। ধারণা করা হচ্ছে চলতি বছরটা নিজের করে নিতে চলেছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো ও জিনেদিন জিদান। সে আলামত ইতোমধ্যে মিলেছে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এবারও ইউরোপ সেরার পাশাপাশি ফিফা সেরা হবেন রিয়াল মাদ্রিদের পর্তুগীজ সুপারস্টার। ফুটবলার হিসেবে রোনাল্ডোর পাশাপাশি কোচ হিসেবে রিয়ালের জিনেদিন জিদানও বাজিমাত করতে চলেছেন। সেরা কোচের দৌড়ে আছেন ফরাসী এ গ্রেট। ধারণা করা হচ্ছে, এবার জিদানের হাতেই উঠবে শ্রেষ্ঠত্বের স্মারক। জিদানের সঙ্গে সেরা কোচের দৌড়ে আছেন জুভেন্টাসের ম্যাসিমিলিয়ানো এ্যালেগ্রি ও চেলসির এ্যান্টোনিও কন্টে। সেরা গোলরক্ষকের দৌড়ে আছেন জুভেন্টাসের জিয়ানলুইজি বুফন, রিয়াল মাদ্রিদের কেইলর নাভাস ও বেয়ার্ন মিউনিখের ম্যানুয়েল নিউয়ের। গত মৌসুমে রিয়ালের লা লিগা ও চ্যাম্পিয়ন্স লীগ জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন রোনাল্ডো। চ্যাম্পিয়ন্স লীগের ইতিহাসে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে নকআউট পর্বে ৫০ গোলের মাইলফলক স্পর্শ করার পাশাপাশি নকআউট পর্বে টানা দুই ম্যাচে হ্যাটট্রিক করার কীর্তি গড়েন সি আর সেভেন। ইউরোপ সেরার আসরে ইতিহাসে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে মৌসুমে ১০০ গোলের মাইলফলকও স্পর্শ করেন। অবশ্য দিনকয়েক আগে এই ক্লাবে ঢুকেছেন মেসিও। এছাড়া চ্যাম্পিয়ন্স লীগের গত আসরে ফাইনালে দুটিসহ সর্বোচ্চ ১২টি গোল করেন রোনাল্ডো। রোনাল্ডোর চেয়ে দলগত সাফল্য মেসির কম হলেও ব্যক্তিগতভাবে এবারও মৌসুমটা দারুণ কেটেছে আর্জেন্টাইন অধিনায়কের। ক্লাব ফুটবল ক্যারিয়ারে ৫০০ গোলের মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি। কাতালান ক্লাবটির সর্বোচ্চ গোলদাতা ছিলেন। পরিসংখ্যানের বিচারে মেসি-রোনাল্ডোর মতো নেইমারের প্রাপ্তি অত বেশি না হলেও বার্সিলোনার হয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচগুলোয় তার পারফর্মেন্স ছিল দুর্দান্ত। অবশ্য বার্সা ছেড়ে নেইমার এখন পিএসজিতে। বরাবরের মতো এবারও দুর্দান্ত কেটেছে বুফনের। জুভেন্টাসকে টানা তৃতীয়বার ঘরোয়া ডাবল সিরি’এ ও কোপা ইতালিয়া জেতাতে বড় অবদান রাখেন ইতালির এই গোলরক্ষক। চ্যাম্পিয়ন্স লীগে ফাইনালের আগ পর্যন্ত মাত্র তিনটি গোল হজম করেছিল তার দল জুভেন্টাস। ফিফা বর্ষসেরা ও ব্যালন ডি’অর আলাদাই ছিল। তবে প্রতি বছর দু’টি এ্যাওয়ার্ড একই ব্যক্তি পাওয়ায় ২০১০ সাল থেকে দুটিকে একীভূত করা হয়। যে কারণে শুরু হয় ফিফা ব্যালন ডি’অর এ্যাওয়ার্ড। এভাবে চলেছে পাঁচ বছর, অর্থাৎ ২০১৫ সাল পর্যন্ত। কিন্তু দু’পক্ষের চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ায় গতবার ফের আলাদা হয়ে গেছে পুরস্কার দু’টি। তাই তো ২০১৬ সালে ভিন্নভাবে দেয়া হয়েছে ব্যালন ডি’অর ও ফিফা সেরা পুরস্কার। গতবার দু’টি ট্রফিই জেতেন রোনাল্ডো। এবারও এগিয়ে সুদর্শন এই সুপারস্টার।
×