ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ

ময়মনসিংহে সড়ক বেহাল

প্রকাশিত: ০৩:৫১, ২৩ অক্টোবর ২০১৭

ময়মনসিংহে সড়ক বেহাল

স্টাফ রিপোর্টার, ময়মনসিংহ ॥ নিম্নচাপের প্রভাবে গত ৩ দিনের টানা বৃষ্টিতে ময়মনসিংহ শহরের সবকটি সড়কের বেহাল দশায় নগরবাসীর ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে। এমনিতেই বৃষ্টিতে পানিবন্দী হয়ে পড়েছিল লক্ষাধিক নগরবাসী। ময়লাযুক্ত নোংরা পানি সরে যাওয়ার পর জেগে উঠেছে নগরের বিধ্বস্ত সব সড়ক। অভিযোগ উঠেছে নিম্নমানের কাজ ও নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের কারণেই এক বর্ষা না যেতেই মুছে গেছে উন্নয়নের সব নিশানা। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ ও হতাশ নগরবাসী। রবিবার সকালে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ময়মনসিংহ নগরের সবকটি সড়ক থেকে পানি সরে যাওয়ার পর জেগে উঠা বিধ্বস্ত চেহারার সড়কের সিলকোট উঠে ইট সুরকি বের হয়ে রয়েছে।বেশিরভাগ সড়ক জুড়ে ছোট বড় গর্ত, খানাখন্দে ভরা। এসব গর্তে পানি জমে থাকায় পথচারীসহ রিক্সাচালকদের চলতে হচ্ছে আন্দাজের ওপর। এরকম অবস্থায় অনেক রিক্সা আরোহীসহ উল্টে কাদাজলের গর্তে পড়ে যেতে দেখা গেছে। অটোরিক্সাও চলাচলের সময় দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। শহরের ব্রাহ্মণপল্লী সড়কের চরপাড়া মোড় থেকে ডাঃ নজরুল ইসলামের বাসা পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার সড়কের পুরোটাই ভাঙ্গাচোরা, খান্দাখন্দে ভরা। সামান্য বৃষ্টি হলেই এই সড়কটিতে কোমর সমান পানি জমে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। পাশের বাঘমারা সড়কটিও গত ৩ দিনের বৃষ্টিতে সিলকোট উঠে পুরো সড়কজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে ছোট বড় খানাখন্দের। শহরের চরপাড়া মোড় থেকে পাদ্রী মিশন হয়ে পাটগুদাম ব্রহ্মপুত্র ব্রিজ পর্যন্ত সড়কে বড় বড় খানাখন্দের কারণে এই পথে কোন হালকা যানবাহন যেতে চায় না। শহরের বাউন্ডারি রোডের অবস্থা আরও নাজুক। শহরের দুর্গাবাড়ি রোড, ছোট বাজার, বড় বাজার, রাজা রোড, ওল্ড পুলিশ ক্লাব রোড, স্টেশন রোড, কৃষ্টপুর, চরপাড়া মোড়, র‌্যালি মোড় থেকে পাটগুদাম ব্রিজ মোড়, সানকিপাড়া গোহাইলকান্দি সড়কসহ শহরের প্রায় সবকটি সড়কই সর্বশেষ গত ৩ দিনের বৃষ্টিতে বেহাল হয়ে পড়েছে। ময়মনসিংহ শহরে পৌরসভা ও সড়ক বিভাগের এসব সড়ক উন্নয়নে বছরজুড়ে কাজ করতে দেখা যায়। অথচ এক বর্ষা না যেতেই সড়ক বেহাল হয়ে পড়ায় কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। ময়মনসিংহ নাগরিক আন্দোলনের সভাপতি এ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান খান অভিযোগ করে বলেন, নিম্নমানের কাজ ও সামগ্রী ব্যবহারের কারণেই সড়কের এই বেহাল দশা। পটিয়ায় যেন খাল নিজস্ব সংবাদদাতা পটিয়া থেকে জানান,‘এটি পুকুর কিংবা জোয়ার-ভাটার খাল নয়।’ মহাসড়কের পটিয়া পৌর সদরের ডাকবাংলোর মোড়। শনিবার রাতের বৃষ্টির পানি এভাবে জমে খালে পরিণত হয়েছে। হাঁটু পরিমাণ পানির কারণে রবিবার সকাল থেকে যানবাহন ছাড়াও ওই এলাকায় হাজারো মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে এবং তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। এ জন্য সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) পটিয়া পৌর কর্তৃপক্ষকে দায়ী করছে। কারণ ডাকবাংলোর মোড় এলাকায় মসজিদ ও ড্রেন নির্মাণ কাজে পৌর কর্তৃপক্ষের ধীরগতির কারণে রাস্তার পানি নিষ্কাশন হতে না পেরে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। সেখানে পানি জমে থাকার কারণে বেশ কয়েকটি দোকানের ব্যবসা-বাণিজ্যও যেন বন্ধ হয়ে পড়েছে। অনেকে দোকানের সামনে থেকে পানি নিষ্কাশন করতে দেখা গেছে। সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার আরকান মহাসড়কের পটিয়া পৌর সদরের ডাকবাংলার মোড় এলাকাজুড়ে হাঁটু পরিমাণ পানি জমে রয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, পৌর কর্তৃপক্ষ পৌর সদরে রাস্তার দুই পাশে ড্রেন নির্মাণের কাজ করছে। এ ড্রেন নির্মাণ করতে গিয়ে পানি নিষ্কাশনের বিকল্প কোন ব্যবস্থা না রাখায় ডাকবাংলোর মোড়সহ কয়েকটি স্পটে বৃষ্টির পানি জমে রয়েছে। এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) পটিয়ার উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী শাখাওয়াত হোসেন বলেন, পৌর কর্তৃপক্ষ মহাসড়কের দুই পাশে যে ড্রেনেজ সিস্টেমের কাজ শুরু করেছে তা সওজের সঙ্গে সমন্বয় না করার কারণে ডাকবাংলোর মোড়সহ অনন্ত ৪-৫টি স্পটে সব সময় পানি জমে থাকবে।
×