ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ব্যারিস্টার আলী আসিফ খান

শান্তির প্রতীক শেখ হাসিনা

প্রকাশিত: ০৩:৩১, ২৩ অক্টোবর ২০১৭

শান্তির প্রতীক শেখ হাসিনা

রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ শান্তি আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বিশ্ব মানবাধিকার এবং শান্তি প্রতিষ্ঠায় গণতন্ত্রের মানস কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যে অবদান রেখেছেন তা সারা বিশ্বের কাছে প্রশংসার সঙ্গে শান্তির প্রতীক হয়ে উঠেছেন। ব্রিটিশ-ভারতের সরকার ১৮৬০ সালে চট্টগ্রামের পূর্বের এলাকা পার্বত্য অঞ্চলকে আলাদা প্রশাসনিক কাঠামোর আওতায় আনার জন্য নতুন একটি জেলার নাম ঘোষণা করে। যার নাম দেয়া হয় পার্বত্য চট্টগ্রাম। দেশ ভাগ তথা ১৯৪৭ সালে ভারত এবং পাকিস্তান নামে দুটি আলাদা রাষ্ট্র সৃিষ্ট হলে ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে পার্বত্য চট্টগ্রাম পূর্ব পাকিস্তানের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হয়। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ১৯৭১ সালের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে পশ্চিম পাকিস্তান থেকে পূর্ব পাকিস্তান স্বাধীন বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রে রূপান্তরিত হয় । নব্য স্বাধীন রাষ্ট্র যখন দ্রুত পুনর্গঠনে সবাই এগিয়ে এসেছিল তখন অতি দুর্ভাগ্যজনকভাবে পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর ছোট্ট একটি অংশ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে না থেকে তারা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। তারা বিচ্ছিন্নবাদী চেতনায় শান্তি বাহিনী নামে সশস্ত্র সংগঠন তৈরি করে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে বাংলার ইতিহাসের কলঙ্কময় অধ্যায়ের সূচিত হয়। তখন অদূরদর্শী সামরিক জান্তাদের সিদ্ধান্তের ফলে পার্বত্য চট্টগ্রাম একটি নিষিদ্ধ ভূখ-ে পরিণত হয়। সে পরিস্থিতিতে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়ে পড়ে বিশ বছর ধরে। সেখানে ১০ লক্ষাধিক মানুষ প্রতি মুহূর্তে চরম উৎকণ্ঠা, অস্থিরতা ও নিরাপত্তার ঝুঁকিতে বসবাস করে আসছিল। ১৯৯৬ সালে প্রথমবার জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নির্বাচনে জয় লাভ করে সরকার গঠন করে। ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নজর দেন রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ শান্তি প্রতিষ্ঠায়। বিশেষ করে পার্বত্য চট্টগ্রামকে রাষ্ট্রের অন্যান্য অঞ্চলের মতো নিরাপদ এলাকা বিনির্মাণে। শান্তিবাদী নেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যান এবং তারই আহ্বানে সাড়া দিয়ে রক্তের হোলি খেলার উৎসব ফেলে বিচ্ছিন্নবাদীরা অস্ত্র ছেড়ে দিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার শপথ নেন। জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ভারতে পালিয়ে যাওয়া ১২ হাজার ২২৩টি পাহাড়ী পরিবারের মোট ৬৪ হাজার ৬১২ জনকে পুনর্বাসন করা হয়। তাদের জীবন মান উন্নয়নে সব ধরনের সহযোগিতা করতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের বিভাগ বান্দরবন, খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের কাছে হস্তান্তর করে। যাতে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সদস্যরা স্থানীয়ভাবে সরকারী বিভিন্ন সেবা পায় এবং বিভিন্ন সামরিক ও বেসামরিক পদে তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়। অনেক স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল ও শিল্প প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আলোর পথে ধাবমান হতে থাকে পিছিয়ে পড়া গোষ্ঠীটি। ১৯৭০ সালে তাদের শিক্ষার হার ছিল মাত্র ২%। বর্তমানে চাকমা জনগোষ্ঠীর শিক্ষার হার ৭৩ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। শান্তি ও মানবধিকার সুরক্ষায় জননেত্রী শেখ হাসিনার আর একটি অবদান হচ্ছে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যকার অমীমাংসিত ছিটমহল চুক্তি। ৬৮ বছর দেশহীন থাকা অর্ধ লক্ষ মানুষ দেশের পরিচয় পেয়েছে। নামহীন, গোত্রহীন মানুষরা কখনই নিজেদের কোন দেশের নাগরিক পরিচয় দিতে পারত না। সকল নাগরিক অধিকারবঞ্চিত মানুষগুলো নিজ মাটিতে শরণার্থীর মতো জীবন কাটাত। হতভাগ্য মানুষগুলো নিজেদের পরিচয় পেয়েছে। একটি নির্দিষ্ট পতাকা হাতে পেয়েছে, পেয়েছে বেঁচে থাকার মৌলিক অধিকার। তাদের মানবধিকার প্রতিষ্ঠায় সম্ভব হয়েছে একমাত্র শেখ হাসিনার দক্ষ কূটনৈতিক কৌশলে। এ ছাড়াও তার সরকারের আমলে গৃহীত সকল উন্নয়নমূলক কর্মকা- যা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সাফল্য এনে দিয়েছে। বিশেষ করে নারী শিক্ষা এবং তাদের ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায় প্রশিক্ষণপরবর্তী এসএমই ঋণ প্রদান। একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প, গার্মেন্টস শিল্প প্রতিষ্ঠান বৃদ্ধি পাশাপাশি নারীদের কর্মসৃষ্টি ও বেতন-ভাতা বৃদ্ধির মাধ্যমে পিছিয়ে পড়া নারীদের অর্থনৈতিক মুক্তি এনে দিয়েছে। তাই জিডিপিতে নারীরা ৩৫% অবদান রেখেছেন। আজ দারিদ্র্য বিমোচন, অর্থনৈতিক, সামাজিক নিরাপত্তা জোরদার করায় বাংলাদেশের মানুষের সার্বিক জীবনমান উন্নত হয়েছে। ফলে দেশের অভ্যন্তরীণ শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, যার মূলে প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকা অনস্বীকার্য। সাম্প্রতিক মিয়ানমার সরকার ও সেনাবাহিনী বিচ্ছিন্ন ঘটনার ইস্যু তৈরি করে নিরীহ মুসলিম রোহিঙ্গাদের ওপর যে জাতিগত নিধন চালিয়ে যাচ্ছে তা স্মরণকালের ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়। রাখাইন প্রদেশে শুধু মুসলিম হওয়ার জন্য তাদের ওপর চালানো হচ্ছে পৈশাচিক বর্বরতা। সেনাবাহিনী ও উগ্র বৌদ্ধরা রোহিঙ্গা নারীদের গণধর্ষণ, ধর্ষণের পরে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কেটে কেটে মারাত্মক কষ্ট দিয়ে হত্যা, অবুঝ শিশুদের আগুনে নিক্ষেপ করে হত্যা, হাজার হাজার ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে রোহিঙ্গাদের বাস্তুচ্যুত করাসহ সব নিরস্ত্র মানুষের ওপর যে গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে তা ভয়াবহ মানবতাবিরোধী অপরাধ। মিয়ানমার সরকার মূলত সাম্প্রদায়িক চেতনায় মুসলিমমুক্ত দেশ গড়তে এবং রাখাইন প্রদেশে অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়তেই রোহিঙ্গাদের দেশ ছাড়তে বাধ্য করছে। নির্যাতিত বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন¯্রােত যখন বাংলাদেশ অভিমুখী, তখন মানবতার নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের সীমান্ত মজলুম রোহিঙ্গাদের জন্য খুলে দেয়ার নির্দেশ দেন। নতুন করে প্রায় ৫ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা জীবন বাঁচাতে আশ্রয় নেয় বাংলাদেশের টেকনাফ, উখিয়াসহ বিভিন্ন এলাকায়। জননেত্রী শেখ হাসিনা এগিয়ে যান আর্তমানবতার সেবায় এবং তাদের পাশে দাঁড়ান, তাদের দুঃখ-কষ্ট দেখে কাঁদেন। যেখানে ইউরোপের মতো বড় বড় রাষ্ট্র তথা জার্মানিতে সিরিয়ান ১ লাখ শরণার্থী আশ্রয় দিতে হিমশিম খেয়েছে, সেখানে আমাদের মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশে প্রায় ৬ লাখ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়াটা বড় চ্যালেঞ্জের বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় নতুন করে আসা রোহিঙ্গাদের জন্য ৩ হাজার একর জমি বরাদ্দ, ১৪ হাজার অতিরিক্ত আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ এবং চিকিৎসা সেবা দেয়ার নিশ্চিত করতে ১ লাখ ৫০ হাজার শিশুকে টিকাদান কর্মসূচী, ২০টি অতিরিক্ত চিকিৎসা কেন্দ্র নির্মাণ ও ১৩০০ এর অধিক অনাথ শিশুকে বিশেষভাবে দেখাশোনার নির্দেশ দেন। এ ছাড়াও ১২টি অস্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্রে রাস্তা নির্মাণে ৪০ কোটি টাকা বরাদ্দ এবং বিদ্যুত সুবিধার আওতায় আনা হচ্ছে। তা ছাড়াও ১২০০টি স্যানিটারি ল্যাট্রিন, ১২০০টি নলকূপ বসানো হচ্ছে । তিনি ঘোষণা দেন; ‘আমরা রোহিঙ্গা ভাইবোনদের সঙ্গে খাবার ভাগাভাগি করে খাব।’ রাষ্ট্রের অভ্যন্তরে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের মানবধিকার লঙ্ঘন যাতে না হয় সে বিষয়ে সরকারী আমলাদের সমন্বয়ে উচ্চ পর্যয়ের কমিটি করা হয়েছে। ত্রাণ বিতরণে সেনাবাহিনী নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭২তম অধিবেশন এবং ওআইসি কন্ট্যাক্ট গ্রুপের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গা সঙ্কট নিরসনে ছয়টি পদক্ষেপ নেয়ার প্রস্তাব তুলে ধরেন; ১. রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর থেকে এই মুহূর্তে সব ধরনের নিপীড়ন বন্ধ করতে হবে। ২. নিরাপরাধ বেসামরিক জনগোষ্ঠী, বিশেষ করে নারী, শিশু ও বৃদ্ধদের জন্য মিয়ানমারের অভ্যন্তরে নিরাপদ এলাকা (সেফ জোন) তৈরি করা যেতে পারে, যেখানে তাদের সুরক্ষা দেয়া হবে। ৩. বল প্রয়োগের মাধ্যমে বাস্তুচ্যুত সব রোহিঙ্গারা যেন নিরাপদে এবং মর্যাদার সঙ্গে মিয়ানমারে তাদের বাড়িতে ফিরতে পারে, সেই ব্যবস্থা করতে হবে। ৪. রোহিঙ্গা সঙ্কট নিরসনে কফি আনান কমিশনের পূর্ণাঙ্গ সুপারিশ নিঃশর্তভাবে অবিলম্বে বাস্তবায়ন করতে হবে। ৫. রোহিঙ্গাদের বাঙালী হিসেবে চিহ্নিত করার যে রাষ্ট্রীয় প্রপাগান্ডা মিয়ানমার চালাচ্ছে তা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। ৬. রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে না ফেরা পর্যন্ত তাদের জরুরী মানবিক সহয়তা দেয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে হবে। মানবতাবিরোধী মিয়ানমারের সেনাবাহিনী বাংলাদেশকে যুদ্ধে জড়াতে অনেক বার উস্কানি দেয়। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার স্বার্থে নিজ বিচক্ষণতায় যুদ্ধ ছাড়াই বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশকে শান্তি, উদার ও মানবিকতার রাষ্ট্রে অধিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছেন। বিপর্যস্ত রোহিঙ্গারা প্রধানমন্ত্রীর কাছে মাতৃ আশ্রয় খুঁজে পাওয়ায় ব্রিটিশ মিডিয়া শেখ হাসিনাকে ‘মাদার অব হিউমেনিটি’ উপাধিতে ভূষিত করে। জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক হাই কমিশনার ফিলিপপো গ্রান্ডি বলেন; বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গাদের জন্য সীমান্ত খুলে দিয়ে যে মহানুভবতার পরিচয় দিয়েছেন আমি সুস্পষ্টভাবে এবং জনসম্মুখে তার স্বীকৃতি দিয়ে তাঁকে এবং বাংলাদেশের জনগণকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রভাবশালী পত্রিকা খালিজ টাইমস শেখ হাসিনাকে উচ্ছ্বসিত প্রশংসার করে তাঁকে প্রাচ্যের নতুন তারকা হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। প্রধানমন্ত্রীর জননেত্রী শেখ হাসিনার জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে শান্তি ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার অবদান হিসেবে প্রশংসার সঙ্গে ‘চ্যাম্পিয়ন অব দি আর্থ’, ‘সাউথ-সাউথ’, ‘প্লানেট ফিফটি ফিফটি’, ‘এজেন্ট অব চেঞ্চ’ এবং ‘আইসিটি’ এ্যাওয়ার্ড লাভ করেন। তা ছাড়া তিনি ২০০৯ সালে এশিয়ার নোবেল হিসেবে পরিচিত ‘ইন্দিরা গান্ধী পদক’-এ ভূষিত হন। দারিদ্র্য বিমোচনের ক্ষেত্রে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার অতীতে দেয়া হয়েছে। কিন্তু জননেত্রী শেখ হাসিনার দক্ষতায় যেখানে ইউরোপের মতো বড় বড় রাষ্ট্র বিশ্ব মন্দায় বিপর্যস্ত, সেখানে বাংলাদেশের ওপরে তার কোন প্রভাব পড়েনি। বর্তমানে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় ৩য় বিশ্বের দেশ হওয়া সত্ত্বেও জিডিপিতে পাকিস্তানকে পিছনে ফেলে দিয়েছে। শেখ হাসিনা ১৯৯৮ সালে একটি নিবন্ধে লিখেছেন ‘দারিদ্র্য হচ্ছে অশান্তির মূল’। দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে তাঁর এই যুদ্ধ আজ দেশের জন্য ঈর্ষান্বিত সাফল্য এনে দিয়েছে। সম্প্রতি তা প্রমাণ করেছে বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট প্রতিবেদনে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘বাংলাদেশে অতিদরিদ্র মানুষের সংখ্যা ১২.৯ শতাংশে নেমে এসেছে। এ অর্জন ভুটান, ভারত ও পাকিস্তানের চেয়েও প্রশংসনীয়। জননেত্রী শেখ হাসিনার দক্ষতায় বাংলাদেশ নিম্ন আয়ের দেশ থেকে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। জননেত্রী শেখ হাসিনা পার্বত্য শান্তি চুক্তির, ছিটমহল চুক্তির মাধ্যমে সেখানকার বসবাসকারী মানুষদের মৌলিক ও মানবধিকার প্রতিষ্ঠা, জঙ্গীবাদ দমন, দারিদ্র্য বিমোচন, জনগণের ক্ষমতায়ন এবং রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে শান্তির প্রতীক হয়ে উঠেছেন। তাই সার্বিকভাবে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় মানবিকতার মা জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার অচিরেই আসবে, যা বিশ্ব মানবিকতা ও সময়ের জোরালো দাবি। লেখক : আইনজীবী শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাতের দৌহিত্র
×