ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

পরিবেশবান্ধব ইট উৎপাদনে নেই সুনির্দিষ্ট কোন নীতিমালা

প্রকাশিত: ০৫:৩২, ২২ অক্টোবর ২০১৭

পরিবেশবান্ধব ইট উৎপাদনে নেই সুনির্দিষ্ট কোন নীতিমালা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দেশে পরিবেশবান্ধব ইট উৎপাদনের ক্ষেত্রে এখনও নেই সুনির্দিষ্ট কোন নীতিমালা। এ কারণে উৎপাদন প্রক্রিয়ায় সনাতনী ভাটার জন্য প্রযোজ্য বিধিনিষেধ মানতে হলেও ইট বিপণনে উদ্যোক্তাদের গুনতে হচ্ছে বাড়তি কর, এতে ক্রমেই বাড়ছে ইটের দাম। ব্যবসায়ীরা বলছেন, কয়েক হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ সুরক্ষায় নীতি সহায়তার পাশাপাশি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে সনাতনী ভাটার কার্যক্রমও। সঙ্কট সমাধানে কঠোরভাবে আইন প্রয়োগের সঙ্গে সরকারী অবকাঠামো নির্মাণেও আধুনিক পদ্ধতিতে তৈরি ইটের ব্যবহার বাড়ানোর পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। অবকাঠামো নির্মাণে অপরিহার্য উপাদান হলেও, পরিবেশের ওপর সনাতনী ভাটাগুলোর বিরূপ প্রভাবের কারণে বরাবরই বিতর্কিত ইট প্রস্তুত খাত। অপেক্ষাকৃত কম কয়লা ব্যবহার করে কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে আনলেও জনপ্রিয় হচ্ছে না পরিবেশবান্ধব ইট উৎপাদনও। এতে বছরজুড়ে কারখানা চালু থাকলেও ইট বিক্রি আশানুরূপ না হওয়ায় ঝুঁকির মুখে পড়ছে বিনিয়োগ। বিনিয়োগকারীদের উৎসাহিত করলেও এসব কারখানার জন্য আলাদা কোন নীতিমালা গ্রহণ করেনি সরকার। ফলে মাটি আহরণ, ইট উৎপাদনের ক্ষেত্রে সনাতনী ভাটার ওপর আরোপিত বিধিনিষেধ মানতে হলেও ইট বিক্রির ক্ষেত্রে ভ্যাট পরিশোধ করতে হয় আলাদা নিয়মে। সরাসরি যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে ইটের দামের ওপর, এ খাতে আসছে না নতুন বিনিয়োগও। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুল্ক ও কর প্রণোদনার সঙ্গে নীতি সহায়তার অভাবে জনপ্রিয় হচ্ছে না ইট প্রস্তুতে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার। যার ফলে আইনগত বিধিনিষেধ থাকলেও ক্রমেই বাড়ছে সনাতনী ইটভাটার সংখ্যা। দেশে বর্তমানে প্রতিবছর দেড় হাজার কোটি পিস ইটের চাহিদা রয়েছে, কার্বন নিঃসরণে সাশ্রয়ী হাইব্রিড হপম্যান পদ্ধতিতে দেশের অর্ধশতাধিক প্রতিষ্ঠান সেখানে উৎপাদন করছে মাত্র চার শ’ কোটি পিস ইট।
×