ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে সাইকেল রফতানি করতে জিএসপি সুবিধা চায় ব্যবসায়ীরা

প্রকাশিত: ০৫:৩২, ২২ অক্টোবর ২০১৭

যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে সাইকেল রফতানি করতে জিএসপি সুবিধা চায় ব্যবসায়ীরা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ এক সময়ের শতভাগ আমদানিনির্ভর শিল্প বাইসাইকেল বর্তমানে দেশের ৬০ ভাগ চাহিদা মিটিয়ে ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশে রফতানি হচ্ছে। অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে এ শিল্পের জন্য জায়গা বরাদ্দ দেয়ার দাবি জানিয়েছে ব্যবসায়ীরা। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে জিএসপি সুবিধা ফিরে পেতে কার্যকর উদ্যোগ নেয়ারও দাবি তাদের। তবে রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো-ইপিবি বলছে, এ খাতে ব্যবসায়ীদের মধ্যে আছে নানা সমন্বয়হীনতার। শুধু তরুণ নয়, সব বয়সী মানুষের কাছেই প্রিয় বাহন বাইসাইকেল। স্বাস্থ্যসম্মত, নিরাপদ, সময় সাশ্রয়ী এবং যানজট নিরসনের জন্য সাইকেলের বিকল্প শুধু সাইকেলই। শুধু দেশে নয়, বিশ্ববাজারেও সমান সমাদৃত বাংলাদেশের তৈরি বাইসাইকেল। ইউরোপের বাজারে বাইসাইকেল রফতানিতে তৃতীয় অবস্থানে বাংলাদেশ। কারখানা ঘুরে দেখা যায়, উন্নত কাঁচামাল ও যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয় সাইকেল তৈরিতে। আরএফএল বাইসাইকেলের (রফতানি) হেড অব অপারেশন দেবাশীষ চন্দ্র দেবনাথ বলেন, ‘যেহেতু সাইকেল রফতানি করছি তাই একটা আন্তর্জাতিক মান নিয়ন্ত্রণ করি। এ জন্য আমার এখানে মেকানিক্যাল হাইটেক ল্যাবরেটরি আছে। পাশাপাশি কেমিক্যাল ল্যাবরেটরিও আছে।’ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে এ শিল্পের জন্য আলাদা জায়গা বরাদ্দ চান ব্যবসায়ীরা। সরকারের দ্রুত পদক্ষেপ চান যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে জিএসপি সুবিধা ফিরে পেতে। প্রাণ আরএফএল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরএন পাল বলেন, ‘আমেরিকার বাজারে আমাদের জিএসপি সুবিধা এখন নাই। সেটা যেন আবার অর্জন করতে পারি। ইকোনমিক জোনে ইন্ডাস্ট্রি করার যত সুবিধা আছে সেগুলো যদি সরকার দেয় তাহলে ইন্ডাস্ট্রি গড়ে উঠবে।’ রফতানি বাড়াতে ব্যবসায়ীদের অসহযোগিতাকে দায়ী করল রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো-ইপিবি। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান বিজয় ভট্টাচার্য্য বলেন, ‘বিভিন্ন পর্যায়ে জিএসপি ফিরে পাবার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন ইতিবাচক সাড়া পাইনি। বাইসাইকেল যারা রফতানি করেন তারা যদি নির্দিষ্টভাবে আমাদের সমস্যাগুলো জানান তবে আমরা সেটার সমাধান করতে পারব। কিন্তু তেমন কোন যোগাযোগ নেই। ২০১০ সালে যেখানে শতভাগ আমদানিনির্ভর ছিল এই বাইসাইকেল এখন দেশে প্রতিবছর দেড় মিলিয়ন পিসের ষাট শতাংশ চাহিদা মেটে স্থানীয় বাজার থেকে। এমনকি বিশ্বের প্রায় বিশটি দেশে রফতানি হয় আমাদের এই বাইসাইকেল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন উদ্যোক্তাদের উৎসাহী করতে এই খাতে সহায়তা দিলে বিশ্বের বাজারে বাইসাইকেল রফতানিতে বাংলাদেশ হবে রোল মডেল।
×