ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা তৃতীয় ওয়ানডে আজ

প্রকাশিত: ০৫:২৮, ২২ অক্টোবর ২০১৭

বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা তৃতীয় ওয়ানডে আজ

মিথুন আশরাফ ॥ বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার তৃতীয় ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হবে আজ। ইস্ট লন্ডনের বুফালো পার্কে বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টায় ম্যাচটি শুরু হবে। এ ম্যাচটিই হচ্ছে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের শেষ ওয়ানডে। ম্যাচটি হারলে হোয়াইটওয়াশ হবে বাংলাদেশ। এর আগে প্রথম ওয়ানডেতে ১০ উইকেটে হেরেছে। এরপর দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ১০৪ রানের বড় ব্যবধানে হার হয়েছে। এক ম্যাচ হাতে থাকতেই সিরিজ হার হয়ে গেছে। আজকের ম্যাচটিতে কোনভাবে জেতা গেলে হোয়াইটওয়াশ এড়ানো যাবে। না হলে বরাবরের মতো এবারও দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ইতিহাস অপরিবর্তিতই থাকবে। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে কখনই জিততে পারেনি বাংলাদেশ। সেটি ম্যাচ হোক কিংবা সিরিজ, বরাবরই হার হয়েছে। এমনকি প্রতিটি সিরিজেই হোয়াইটওয়াশ হয়েছে। এবারও বাংলাদেশ দল সেই গোলকধাঁধাতেই আটকে গেছে। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলা যে কতটা কঠিন তা সবদলই বুঝেছে। বাংলাদেশও এর আগে বুঝেছে। কিন্তু এবার যেন একটু বেশিই খারাপ অবস্থা হচ্ছে। ২০০৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সর্বশেষ সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ। সেবার বাংলাদেশ দল জিতবে এমন আশা কারোর মধ্যেই ছিল না। কিন্তু এবার ছিল। ম্যাচ জেতা না গেলেও বাংলাদেশ দল ভাল করবে, চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেবে; সেই প্রত্যাশা ছিলই। বাংলাদেশ দল যে সাফল্যের মধ্যে ছিল। কিন্তু জয় তো দূরে থাক দক্ষিণ আফ্রিকাকে বিপদেও ফেলতে পারছে না বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকা এ পর্যন্ত একটি ম্যাচেও কষ্ট করে জিতেনি। প্রতিটি ম্যাচেই সহজ জয় তুলে নিয়েছে। যা বর্তমান বাংলাদেশ দলের হিসেবে কোনভাবেই মেনে নেয়ার মতো নয়। আজ তৃতীয় ওয়ানডে আছে। এ ম্যাচটিতে অন্তত দল ঘুরে দাঁড়াবে এখন সেই প্রত্যাশাই করা হচ্ছে। দল হিসেবে যে বাংলাদেশ দল খেলতে পারছে না, আজ তা মিলবে; সেই আশাও করা হচ্ছে। ম্যাচটি বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার জন্য মাইলফলক ম্যাচ। বাংলাদেশ দলের হয়ে সবচেয়ে বেশি (১৭৯ ম্যাচ) ম্যাচ খেলা ক্রিকেটার মাশরাফি। আবার আজ অধিনায়ক হিসেবে যখন টস করতে নামবেন তখন তার অধিনায়ক হিসেবে ৫০তম ম্যাচ খেলা হবে। হাবিবুল বাশার সুমন (৬৯ ম্যাচ) ও সাকিব আল হাসানের (৫০ ম্যাচ) পর মাশরাফি এ মাইলফলক স্পর্শ করবেন। এমন ম্যাচে মাশরাফিও চান দল ভাল কিছু করুক। কিন্তু তা সম্ভব কিভাবে? ম্যাচটিতে খেলবেন না ওপেনার তামিম ইকবাল। তিনি ইনজুরির জন্য সফর থেকেই ছিটকে পড়েছেন। দেশেও এসে পড়ছেন। আর আগেই তো নেই ‘কাটার মাস্টার’ মুস্তাফিজুর রহমান। তাই একাদশে পরিবর্তন হচ্ছে নিশ্চিত। শুরুতেই যদি সেরা ব্যাটসম্যান এবং বোলারকে না পাওয়া যায় তাহলে দল তো আগেই দুর্বল হয়ে পড়ছে। তবে আশা আছে। ম্যাচটি ওয়ানডে বলে। আর ম্যাচটি হবে ইস্ট লন্ডনের বুফালো পার্কে। যে স্টেডিয়ামে এর আগে ২০০৮ সালে খেলার সুযোগ পেয়েও বৃষ্টিতে ম্যাচটি পরিত্যক্ত হয়ে যায়। তবে এ স্টেডিয়ামের ইতিহাস ঘেঁটে যা বোঝা গেল খুব বেশি রান হয় না। তিন ’শ রানের কমই সবসময় হয়। আর এ স্টেডিয়ামে খুব বেশি ম্যাচও হয় না। এক, দুই বছর পরপর ম্যাচ হয়। বাংলাদেশকে তাই আগে ফিল্ডিং করলে দক্ষিণ আফ্রিকাকে অল্পতে আটকে রাখতে হবে। যাতে টার্গেট অতিক্রম করার মতো স্কোর থাকে। আর আগে ব্যাটিং করলে এমন স্কোর গড়তে হবে যেন দক্ষিণ আফ্রিকা বিপদে পড়ে। কিন্তু তাও যে কতটা কঠিন তা আগেই বোঝা গেছে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বেশি রান করেও জেতা কঠিন। আবার কম রানে দক্ষিণ আফ্রিকাকে আটকে রাখবে বাংলাদেশ সেটিও যেন সম্ভব হচ্ছে না। সব হিসেব মিলিয়ে দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশ এই ম্যাচটিতে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে পারলেই যেন প্রাপ্তির খাতায় কিছু যোগ হয়। কিন্তু সেটিও কী সম্ভব? আশা সবখানেই থাকে। সেই আশা নিয়েই পথ চলতে হয়। আজ বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা তৃতীয় ওয়ানডেতেও সেই আশাই থাকছে।
×