ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

জাপানে সাধারণ নির্বাচন আজ শিনজো আবে এগিয়ে

প্রকাশিত: ০৫:১৬, ২২ অক্টোবর ২০১৭

জাপানে সাধারণ নির্বাচন আজ শিনজো আবে এগিয়ে

জাপানের জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে প্রার্থীরা শনিবার প্রচারে নেমে তাদের পক্ষে রায় দিতে ভোটারদের কাছে শেষ মুহূর্তের আহ্বান জানিয়েছেন। যদিও সন্তোষজনক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে ফের ক্ষমতায় আসবেন বলে অনেকটা নিশ্চিত হয়ে আছে। জরিপে দেখা গেছে, রবিবারের নির্বাচনে জনপ্রিয়তায় শিনজো আবে ও তার রক্ষণশীল উদার গণতান্ত্রিক দল (এলডিপি) স্পষ্টভাবে এগিয়ে রয়েছে। উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে কট্টর অবস্থান ও এ্যাবেনোমিকস বা আবের অথনৈতিক কৌশল বাস্তবায়নে নতুন করে ক্ষমতা পেতে যাচ্ছেন তিনি। খবর এএফপির। জাপানী দৈনিক নিক্কেই পরিচালিত এক জরিপে আভাস দিয়েছে, পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের ৪৬৫টি আসনের তিন শ’টিতেই জয়ের পথে শিনজো আবের জোট। যদি জরিপ সত্য প্রমাণিত হয়, তবে ৬৪ বছর বয়সী আবে হবেন জাপানের দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধপরবর্তী সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদী প্রধানমন্ত্রী। জাপান বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি ও এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ মিত্র। টোকিওর গবর্নর ও গণমাধ্যম বোদ্ধা ইউরিকো কোইকিনের পার্টি অব হোপ এবং নতুন প্রতিষ্ঠিত মধ্যবামপন্থী শাসনতান্ত্রিক গণতান্ত্রিক দল (সিডিপি) ৫০টি করে আসন জিততে চলেছে। বিরোধী দলে ভাঙ্গন ও দুর্বল হয়ে পড়া-ই নির্বাচনে আবের উজ্জ্বল সম্ভাবনার পেছনে অনুঘটকের ভূমিকা রাখছে। কাজেই শিনজো আবে উষ্ণ জনসমর্থন উপভোগ করতেই পারেন। শনিবার এক ভাষণে মেয়র কোইকি বলেছেন, এই টলোমলো রাজনৈতিক অবস্থার প্রতি আপনি সন্তুষ্ট থাকতে পারেন না। এতে একটি স্বচ্ছ ও জরুরী রাজনৈতিক সংস্কারের পথ রুদ্ধ হয়ে যাবে। তিনি বলেন, শিনজো আবেকে ক্ষমতাচ্যুত করতে যদি এ সুযোগ আপনি কাজে লাগাতে না পারেন, তবে বড় ধরনের সংস্কারগুলো অসম্ভব হয়ে পড়বে। অথচ এটাই এখন আমাদের বেশি প্রয়োজন। শত্রুভাবাপন্ন উত্তর কোরিয়া ও বয়স্ক জনসংখ্যা চলতি মাসে এ দুটিকে জাতীয় সঙ্কট হিসেবে উল্লেখ করে নির্ধারিত সময়ের এক বছরের বেশি আগে নির্বাচনের ডাক দিয়ে আবে জাপানকে প্রচন্ড ধাক্কা দিয়েছেন। পিয়ংইয়ং জাপানকে সমুদ্রে ডুবিয়ে দেয়ার হুমকি দিয়েছে। মাত্র এক মাসের মধ্যে জাপানের উত্তরাঞ্চলীয় হোক্কাইদো দ্বীপের ওপর দিয়ে দুটি ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে। শিনজো আবে উত্তর কোরিয়ার বিষয়ে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। তিনি পিয়ংইয়ংকে সর্বোচ্চ চাপে রাখার ওপর জোর দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ‘সমাধনের সব পথ খোলা রয়েছে’ নীতির প্রতি সমর্থনের কথা জানান। মাত্র বারো দিনের সংক্ষিপ্ত প্রচারে তিনি উত্তর কোরিয়ার নিন্দা করে গেছেন। সম্প্রতি এক সমাবেশে তিনি বলেন, এমন একটি সময়ে আমরা দোদুল্যমান থাকতে পারি না। উত্তর কোরিয়ার হুমকিকে আমরা থোড়াই কেয়ার করি। কিন্তু অধিকাংশ ভোটার অর্থনীতি ও ব্যয়বহুল সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে উদ্বিগ্ন। পাঁচ বছরের ক্ষমতায় থাকাকালে আবে এক সময়ের বিশ্বের সেরা অর্থনীতিকে পুরোপুরি টিকিয়ে রাখতে পারেননি।
×