ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারে ভারতীয় প্রকৌশল পণ্য প্রদর্শনী শুরু ২ নবেম্বর

প্রকাশিত: ০৪:১৫, ২২ অক্টোবর ২০১৭

বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারে ভারতীয় প্রকৌশল পণ্য প্রদর্শনী শুরু ২ নবেম্বর

স্টাফ রিপোর্টার ॥ প্রকৌশল খাতে বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রথমবারের মতো প্রদর্শনীর আয়োজন করতে যাচ্ছে ভারতের একটি সংগঠন। রাজধানীর বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে এ প্রদর্শনী শুরু হবে আগামী ২ নবেম্বর। ‘ইন্ডি-বাংলাদেশ ২০১৭’ শীর্ষক তিন দিনের এ প্রদর্শনী শেষ হবে ৪ নবেম্বর। প্রদর্শনীতে ভারতের শীর্ষ প্রকৌশল পণ্য ও প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো অংশগ্রহণ করবে। ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সমর্থনপুষ্ট ইঞ্জিনিয়ারিং এক্সপোর্ট প্রমোশন কাউন্সিল (ইইপিসি) ইন্ডিয়া এ প্রদর্শনীর আয়োজক। শনিবার বিকেলে সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রদর্শনী সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন ইইপিসি ইন্ডিয়ার নির্বাহী পরিচালক ও সচিব ভাস্কর সরকার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের ডেপুটি সিনিয়র ডিরেক্টর পল্লবী সাহা এবং ঢাকার ভারতীয় হাই কমিশনের কর্মকর্তা জি সুধাকরণ। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২ নবেম্বর সকাল দশটায় শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু প্রধান অতিথি হিসেবে প্রদর্শনীর উদ্বোধন করবেন। আরও জানানো হয়, ভারত সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় এবং ঢাকার ভারতীয় দূতাবাস এই মেলা আয়োজনে সহযোগিতা করছে। এতে সরকারী ও বেসরকারী খাতের ১০০ শীর্ষস্থানীয় ভারতীয় প্রতিষ্ঠান তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছে। বাংলাদেশে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই, ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি, বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প মালিক সমিতি এবং বাংলাদেশ ইলেকট্রিক্যাল পণ্য ব্যবসায়ী সমিতিও এই প্রদর্শনী আয়োজনে সহায়তা করছে। প্রদর্শনীর অন্যতম অংশগ্রহণকারী হচ্ছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সরকার। ভাস্কর সরকার জানান, প্রদর্শনীতে প্রায় ১০ হাজার ব্যবসায়ী প্রতিনিধি অংশ নেবেন এবং এতে অর্ডার বুকিং, প্রযুক্তি হস্তান্তর এবং যৌথ শিল্প স্থাপন সংক্রান্ত উদ্যোগ ও তথ্য বিনিময়ের সুযোগ থাকবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভারত সবচেয়ে বেশি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি পণ্য রফতানি করে যুক্তরাষ্ট্র ও আরব আমিরাতে। কিন্তু নিকটতম প্রতিবেশী হিসেবে বাংলাদেশ কম খরচে এসব পণ্য ও প্রযুক্তি আমদানি করতে পারে। এগুলো ব্যবহার করে বাংলাদেশ তৃতীয় কোন দেশে তাদের রফতানি বাড়াতে পারবে। দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ছাড়াও প্রদর্শনীর অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে হাই-টেক জয়েন্ট ভেঞ্চারে বিনিয়োগ বৃদ্ধি, যার মধ্যে প্রযুক্তি হস্তান্তরও থাকবে। তিনি জানান, ইইপিসি ইন্ডিয়া বিশ্বের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শহরে এ ধরনের প্রদর্শনীর আয়োজন করে আসছে। ঢাকার প্রদর্শনীটি হবে ৩৭ তম। প্রদর্শনীতে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত কয়েকটি সেমিনারও অনুষ্ঠিত হবে। এতে ভারত সরকারের বেশ কয়েকজন প্রতিনিধি অংশ নেবেন। প্রদর্শনীর প্রচারে সমন্বয় করছে ইন্ডিয়া ব্র্যান্ড ইক্যুইটি ফাউন্ডেশন (আইবিইএফ)।
×