ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

মীরসরাইয়ে স্বামীকে খুন করল সাবেক স্ত্রী ও শ্যালিকা

প্রকাশিত: ০৬:১৯, ২১ অক্টোবর ২০১৭

মীরসরাইয়ে স্বামীকে খুন করল সাবেক স্ত্রী ও শ্যালিকা

সংবাদদাতা, মীরসরাই, চট্টগ্রাম ॥ মীরসরাইয়ে স্বামীকে খুন করল তার সাবেক স্ত্রী ও শ্যালিকা। নিহতের লাশ উদ্ধার করেছে জোরারগঞ্জ থানা পুলিশ। শুক্রবার সকাল ১০টায় থানা পুলিশ লাশটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সোনাপাহাড় এলাকার মঈন উদ্দিন পেট্টোল পাম্পের পার্শ্বের মহাসড়কের পশ্চিম পাশ থেকে উদ্ধার করে। নিহত যুবক জোরারগঞ্জ থানার ২নং হিঙ্গুলী ইউনিয়নের মেহেদীনগর গ্রামের কালাম মিয়া বাড়ির সুজাউল হক মিয়ার ছেলে ফারুক (৩২)। পুলিশ জানায়, নিহত যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করার পরই তাদের নিকটাত্মীয়দের দেয়া তথ্যে দ্রুত বেরিয়ে আসে খুনের রহস্য। নিহত ফারুকের সাবেক স্ত্রী জেসমিন সুলতানা, শ্যালিকা আবিদা সুলতানা ও স্ত্রীর বর্তমান স্বামী নুরুল আবছার রুবেল মিলে উক্ত যুবককে শ্বাসরোধে হত্যা করে, যা হত্যাকারীদের প্রদান করা জবানবন্দীতে স্বীকারোক্তি প্রদান করে। প্রাপ্ত তথ্যমতে নিহত ফারুক পূর্বের স্ত্রী জেসমিনকে পুনরায় বিয়ে করতে উত্ত্যক্ত করতে থাকে। আবার শ্যালিকা আবিদাকেও বিয়ের প্রস্তাব দেয়। এমতাবস্থায় সাবেক স্ত্রী, শ্যালিকা ও স্ত্রীর বর্তমান স্বামী একত্রিত হয়ে রাতে তাকে পরিকল্পিতভাবে পার্শ্ববর্তী এলাকার জেসমিনের বাড়ি নিয়ে যায়। সেখানে তিনজন মিলে গভীর রাতে তাকে পরিকল্পিতভাবে শ্বাসরোধে হত্যা করে। পুলিশ সাবেক স্ত্রী জেসমিন সুলতানা, শ্যালিকা আবিদা সুলতানা ও সাবেক স্ত্রীর বর্তমান স্বামী নুরুল আবছার রুবেলকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করে। যশোরে তরুণীর গলাকাটা লাশ যশোর থেকে স্টাফ রিপোর্টার জানান, সদর উপজেলায় পতেঙ্গালি-মালঞ্চি গ্রামের মধ্যবর্তী রাস্তার ওপর থেকে এক তরুণীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত পার্বতী রায় (২৪) বৃহস্পতিবার রাতে দীপাবলিতে পূজা দেখতে বের হয়েছিলেন। শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। পার্বতী রায় যশোরের মনিরামপুরের শ্যামকুড় গ্রামের অধীর রায়ের মেয়ে। তার মা যমুনা রায় শহরের বেসরকারী কুইন্স হাসপাতালে চাকরি করেন। তার পিতা-মাতা যশোর শহরের আরএন রোড এলাকায় নতুন বাজারের মরহমানের বাভাড়াটিয়া। অভিজিৎ নামে সাত বছরের একটি ছেলে রয়েছে পাবর্তীর। স্বামী মতোষ ভারতে থাকায় তিনি পিতা-মাতার সঙ্গে থাকতেন। অধীর রায় জানান, বৃহস্পরাত সাড়ে ৮টার দিকে নিরব ওরফে রাŸ নামে একজন দীপাবলিতে পূদেখার কথা বলে শহরের সুবাবুর কাঠগোলার মোড় থেকে মোটরসাইকেলে তাকে তুলে নিয়ে যায়।
×