ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

জাতিসংঘের অপ্রকাশিত রিপোর্ট

চীনের উচিত মানবাধিকার কর্মীদের মুক্তি দেয়া

প্রকাশিত: ০৫:২৫, ২১ অক্টোবর ২০১৭

চীনের উচিত মানবাধিকার কর্মীদের মুক্তি দেয়া

জাতিসংঘ চীনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যে, দেশটির উচিত শীঘ্রই বিশিষ্ট মানবাধিকারকর্মীদের কারাগার থেকে ক্ষতিপূরণসহ মুক্তি দেয়া। জাতিসংঘের অপ্রকাশিত দলিল অনুযায়ী গার্ডিয়ানের এক খবরে এ কথা বলা হয়েছে। প্রকাশিত প্রতিবেদনটিতে দেখা গেছে, জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদ জানিয়েছে, ওই তিন ব্যক্তির মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে এবং বলা হয়েছে চীনের আইন আন্তর্জাতিক আদর্শের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ। খবর গার্ডিয়ানের। ২০১৫ সালের জুলাইয়ে চীনে দেশব্যাপী নজিরবিহীন দমন-পীড়নের অংশ হিসেবে মানবাধিকারকর্মী খ্রীস্টান চার্চ নেতা হু শিজেন, আইনজীবী জাও শিফেং এবং শি ইয়াংকে আটক করা হয়। অভিযানে অন্তত দুই শ’ ৫০ জনকে আটক ও পুলিশী জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হয়। বিচারে ধ্বংসাত্মক কাজের অভিযোগে হু শিজেনকে সাড়ে সাত বছরের জন্য, জাও শিফেংকে সাত বছরের জন্য কারাদ- দেয়া হয় ও শি ইয়াংকের বিচার এখনও শুরু হয়নি। চীনকে আগামী ছয় মাসের মধ্যে পদক্ষেপ নিতে হবে উল্লেখ করে জাতিসংঘের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘সঠিক সমাধানের জন্য হু শিজেন, জাও শিফেং ও শি ইয়াংকে শীঘ্রই মুক্তি দিতে হবে এবং তাদের যুক্তিসঙ্গত ক্ষতিপূরণ দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।’ অভিযানের সময় ‘নির্বিচারে আটক বিষয়ক জাতিসংঘের কার্যকর গ্রুপটি’ চীনা সরকারের দাবিকে প্রত্যাখ্যান করেছে। চীন দাবি করেছে, বিচারে ওই তিন ব্যক্তি স্বেচ্ছায় নিজেদের দোষ স্বীকার করেছেন এবং বলেছেন, আন্তর্জাতিক আদর্শের লঙ্ঘন না করে ন্যায্য বিচারাধিকারের সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই তাদের পুরোপুরি বা আংশিক বিচার করা হয়েছে।’ পাঁচ সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ দল নিয়ে গঠিত প্যানেলটি জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের অধীনে কাজ করে, চীনও যেখানে সদস্য হিসেবে রয়েছে। ওই তিন মানবাধিকারকর্মীর বিচার যখন পুরোপুরি বৈধভাবে করা হয়নি, তখন তাদের অধিকার লঙ্ঘন ও ক্ষতিপূরণ দাবি করা হচ্ছে। ২০১৬ সালের আগস্টে গ্রুপটি যখন সঠিক বিচারের জন্য জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের নিকট ধরনা দেয়, চীন তখন ওই গ্রুপটির সঙ্গে সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি দেয়। আটক চীনা কর্মীদের বিষয়ে গ্রুপটির প্রতিবেদনে বলা হয়, আটককৃতদের আইনী সহায়তায় বাধা দেয়া, বন্দী করে রাখা ও কয়েক মাস তাদের নিজ নিজ পরিবারকে তাদের বিষয়ে ওয়াকিফহাল না করার মতো মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হয়। জাতিসংঘ দেখেছে, যে কারণে তাদের আটক করা হয়েছিল, আসলে সেটি ছিল মানবাধিকার বিষেয়ে তাদের উৎসাহ প্রদান ও বিক্ষোভ প্রদর্শন। শির স্ত্রী চেন গুইকুই জানান, যদিও তার স্বামী গত মে মাসে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন, তবে সত্যিকারার্থে এখনও তিনি মুক্ত হননি। চেন আরও জানান, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তাকর্মীদের ভাড়া করা একটি ফ্ল্যাটে শিকে ১২ নিরাপত্তাকর্মী ২৪ ঘণ্টা পাহারা দিয়ে রাখে। পুলিশ সব সময় তাকে পাহারা দিয়ে রাখে।
×