ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

হুমকির মুখে দেড় শ’ একর রাবার বাগান , নো-ম্যান্স ল্যান্ডে আশ্রিতরা কুতুপালং ক্যাম্পে

স্বজনদের আহ্বানে রোহিঙ্গারা এদেশে পাড়ি জমাচ্ছে

প্রকাশিত: ০৪:৪৫, ২১ অক্টোবর ২০১৭

স্বজনদের আহ্বানে রোহিঙ্গারা এদেশে পাড়ি জমাচ্ছে

হাসান নাসির/এইচএম এরশাদ ॥ সীমান্তের ওপারের নিরাপত্তাহীনতার বিপরীতে এপারে খাদ্য, চিকিৎসা ও বাসস্থানসহ নানা সুবিধা। স্বজনদের মাঝে যারা নাফ নদী অতিক্রম করেছে তাদের কাছ থেকে রাখাইন প্রদেশে যাচ্ছে এই বার্তা। ফলে রাখাইনে থাকা রোহিঙ্গারা এপারে আসতে উদ্বুদ্ধ হচ্ছে। মাঝে সীমান্তে কড়াকড়ি আরোপের কারণে খানিকটা থমকে গেলেও ফের পুরনো চিত্র। বাংলাদেশ অভিমুখে দীর্ঘ লাইন রোহিঙ্গাদের। নির্দিষ্ট একটি কিংবা দুটি পয়েন্ট দিয়ে নয়, তারা আসছে যে যার সুবিধা মতো বিভিন্ন পয়েন্টে। বাধা পেলে জিরো লাইনে অবস্থান করলেও একপর্যায়ে প্রবেশের সুযোগ মিলছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, নিপীড়নের শিকার রাখাইন প্রদেশের রোহিঙ্গারা আর সেখানে থাকতে চায় না। সহিংসতার মুখে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা লাখ লাখ রোহিঙ্গার কারণে উখিয়া-টেকনাফে এখন বাড়তি চাপ। ফলে এখন স্থানীয়দের জন্যও কল্যাণমূলক কিছু পদক্ষেপ গ্রহণের প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। গত ২৫ আগস্ট থেকে এখানে ঢল নামে রোহিঙ্গাদের। আর রোহিঙ্গারা বন পাহাড় কেটে যেভাবে পেরেছে ঘর-বাড়ি তৈরি করায় অনেক জায়গায় বনাঞ্চলের অস্তিত্ব নেই। পাহাড় ছাড়াও বিপন্ন হওয়ার পথে জীববৈচিত্র্য। হুমকির মুখে প্রায় দেড়শ একর রাবার বাগান। এতে মারাত্মক পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন পরিবেশকর্মীরা। রোহিঙ্গাদের কারণে যে ক্ষতি হয়েছে, তা কাটিয়ে উঠা অনেক কঠিন ও সময়সাপেক্ষ হবে বলে মানছেন পরিবেশবাদীরা। কেননা, বর্তমানে যারা অনুপ্রবেশকারী হিসেবে আশ্রয় নিয়েছে তাদের অবস্থানকাল হতে পারে দীর্ঘস্থায়ী। বাংলাদেশে অবস্থানকালে তাদের সংখ্যাবৃদ্ধিও ঘটতে থাকবে। বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি দীপক শর্মা দিপু জানান, বন বিভাগ, পরিবেশ অধিদফতর ও পরিবেশের বিভিন্ন সংগঠনের সহযোগিতায় কক্সবাজারের উখিয়া এলাকার পরিবেশ আগের অবস্থানে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা নিশ্চয়ই থাকবে। বন বিভাগ জানিয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পুনরায় বৃক্ষরোপণ করা হবে। কক্সবাজারের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ আলী কবির জানান, রোহিঙ্গাদের জন্য বালুখালী ও কুতুপালং এলাকার তিন হাজার একর জায়গাজুড়ে অস্থায়ী ক্যাম্প করা হচ্ছে। আর ওখান থেকে তাদের সরিয়ে নেয়ার পর সেখানে বনায়ন করা হবে। হুমকির মুখে দেড়শ একর রাবার বাগান রোহিঙ্গারা সীমান্তের যে এলাকা ও পাহাড় মাড়িয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে সেখানে রয়েছে রাবার বাগান। অস্থায়ী আবাসন গড়তে এরমধ্যে কাটা গেছে অনেক রাবার গাছ। রাবার বাগানের বেশি ক্ষতি হয়েছে বান্দরবান এলাকায়। প্রথমদিকে স্রোত আসে ওই পয়েন্ট দিয়ে। একসঙ্গে লাখ লাখ রোহিঙ্গার সাময়িক অবস্থানে হুমকির মুখে পড়ে রাবার বাগান। পরে তাদের উখিয়ার কুতুপালং এবং বালুখালীতে সরিয়ে নিলেও রাবার বাগান এলাকায় এখনও ক্ষতির চিহ্ন রয়ে গেছে। বাংলাদেশ রাবার গার্ডেন ওনার্স এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোঃ কামাল উদ্দিন জনকণ্ঠকে জানান, শুধু বান্দরবানের সীমান্ত এলাকায়ই নয়, বর্তমানে যে এলাকায় লাখ লাখ রোহিঙ্গার আশ্রয়ণ সেখানেও রয়েছে রাবারসহ বিভিন্ন ধরনের বাগান। এসব জমি ব্যক্তি মালিকানা কিংবা ইজারার না হলেও সরকারী খাস জায়গায় অনেকেই বাগান সৃজন করেছেন। রোহিঙ্গাদের ব্যাপক আগমনে তা বিনষ্ট হয়ে গেছে। অনুপ্রবেশকারীদের অবস্থানকাল দীর্ঘায়িত হলে সে ক্ষতিও হবে সুদূরপ্রসারী। কেননা, ৫ লক্ষাধিক লোকের দৈনিক রান্নাবান্নার কাজে প্রয়োজন হবে অনেক লাকড়ির। সেক্ষেত্রে বনাঞ্চলের গাছগুলো কাটা পড়ে সাবাড় হয়ে যেতে পারে। বায়োমেট্রিক নিবন্ধন শেষ হবে এক মাসের মধ্যে নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় শুরুতে ধীরগতি থাকলেও এখন এসেছে গতি। ৬টি কেন্দ্রের ১শ’টি বুথে প্রতিদিনই চলছে ১২ থেকে ১৩ হাজার রোহিঙ্গার বায়োমেট্রিক নিবন্ধন। শুক্রবার পর্যন্ত নিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে আড়াই লাখের বেশি রোহিঙ্গার। এ গতিতে চলতে থাকলে আগামী একমাসের মধ্যেই সকল রোহিঙ্গা নিবন্ধন কার্যক্রম শেষ করা সম্ভব হবে বলে আশা করছে পাসপোর্ট অধিদফতর। তবে নতুন করে রোহিঙ্গার আগমন অব্যাহত থাকায় নিবন্ধন কার্যক্রমও চলমান রাখতে হতে পারে। কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং এবং বালুখালীতে স্থাপন করা হয়েছে নিবন্ধন বুথগুলো। সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে সুশৃঙ্খলভাবে এ কার্যক্রম চলছে। বায়োমেট্রিক নিবন্ধনে রাখা হচ্ছে তাদের ছবি, ফিঙ্গারপ্রিন্ট, মিয়ানমারের ঠিকানা। সরকার বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মনে করছে। কেননা, ফিঙ্গারপ্রিন্টসহ যাবতীয় তথ্য সংরক্ষিত হলে পরবর্তী সময়ে রোহিঙ্গারা যদি এদেশের পরিচয়পত্র, ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং পাসপোর্টের মতো গুরুত্বপূর্ণ কোন কার্ড তৈরি করার চেষ্টা করে তবে তা শনাক্ত করা যাবে। এদিকে, এমন অনেক রোহিঙ্গাও রয়েছে যারা বাংলাদেশে মিশে যাওয়ার মতলবে নিবন্ধিত হতে অনাগ্রহী। পাসপোর্ট অধিদফতরের সহকারী প্রকৌশলী মাহমুদুল হাসান গণমাধ্যমকে জানান, শুরুতে আরম্ভ হয়েছিল মাত্র কয়েকটি বুথের মাধ্যমে পরীক্ষামূলকভাবে। পরে রোহিঙ্গাদের ব্যাপক অনুপ্রবেশ বিবেচনা করে বুথসংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। কাজের গতিও এতে অনেক বেড়ে গেছে। রেজিস্ট্রেশন কেন্দ্রগুলোতে লাইন ধরে রোহিঙ্গারা নিবন্ধিত হচ্ছে। নিবন্ধিত না হলে কোন রোহিঙ্গা খাদ্য, চিকিৎসা তথা ত্রাণ সুবিধা পাবে না এ বিষয়টি বোঝানোর পর তারাও এর গুরুত্ব অনুধাবন করছে। নোম্যান্স ল্যান্ডের রোহিঙ্গারা কুতুপালং ক্যাম্পে সীমান্তের নোম্যান্স ল্যান্ডে আটকে রাখা রোহিঙ্গাদের অবশেষে প্রবেশাধিকার দিয়েছে বিজিবি। দিনের পর দিন না খেয়ে থাকা এই মানুষগুলোর করুণ আর্তির কাছে হার মেনেছে মানবিক বাংলাদেশ। চারদিনেরও বেশি সময় ধরে তারা অনাহারে অর্ধাহারে অবস্থান করছিল উখিয়ার সীমান্তবর্তী আঞ্জুমানপাড়া এলাকায়। কিন্তু বৃহস্পতিবার রাতের মধ্যে তারা আশ্রয় পায় কুতুপালং এবং বালুখালী ক্যাম্পে। প্রায় ৩০ হাজার রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশ ঘটে বাংলাদেশে। দুবেলা খেয়ে প্রাণ বাঁচাতে পারবে, এতেই তারা খুশি। নতুন করে আসা এই রোহিঙ্গারা জানান, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অত্যাচার আগের মতো না হলেও খাদ্যের বড়ই অভাব। কোন রকমে একবেলা খাওয়া যোগাড় করাও তাদের পক্ষে কঠিন হচ্ছিল। বাংলাদেশে আসা স্বজন এবং পরিচিতরা খবর দিয়েছে যে, এখানে খাদ্য, চিকিৎসা, আশ্রয় এবং দেশী-বিদেশী নানা ধরনের ত্রাণ সহায়তা রয়েছে। এ খবরে রাখাইনের রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে চলে আসতে ইচ্ছুক। আরও প্রায় দুই লাখ রোহিঙ্গা আছে মিয়ানমারে। তারাও বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করবে। তবে এদিকে আসার জন্য প্রয়োজন অনুযায়ী নৌকার অভাব রয়েছে। অনুপ্রবেশ ঘটছে সাবরাং ও আঞ্জুমানপাড়া পয়েন্টে রাখাইন এবং বাংলাদেশের বিভাজ রেখা নাফ নদী। আঞ্জুমানপাড়া পয়েন্ট এলাকায় নাফ নদী অনেকটাই সরু। ফলে রোহিঙ্গারা এখন সেই পথকেই বেছে নিয়েছে। তাছাড়া টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের জাদিমুড়া, নাইট্যংপাড়া লম্বাবিল ও খারাংখালি এলাকা দিয়েও রোহিঙ্গা আসছে নৌকাযোগে। শাহপরীরদ্বীপের ওপারে মিয়ানমারের ডংখালি চরে তাঁবু টানিয়ে অবস্থান করছে হাজার হাজার রোহিঙ্গা। তারাও রয়েছে নৌকাযোগে বাংলাদেশে পাড়ি দেয়ার অপেক্ষায়। মাঝে সীমান্তে একটু কড়াকড়ি এবং বাড়তি সতর্কতা আরোপিত হওয়ায় ঢলও স্তিমিত হয়েছিল। কিন্তু এখন মানবিক কারণে আবারও সীমান্তে শৈথিল্য রোহিঙ্গাদের এপারে আসায় উদ্বুদ্ধ করছে। ইতোমধ্যে প্রবেশ করা রোহিঙ্গারা যে আভাস দিচ্ছে, তাতে ধারণা করা যায় যে, সকল রোহিঙ্গাই বাংলাদেশে চলে আসার চেষ্টায় রয়েছে। কেননা, রাখাইনে যেখানে অনিরাপদ জীবন, বাংলাদেশে তার উল্টোচিত্র। নিরাপত্তা ঝুঁকির আশঙ্কা একসঙ্গে প্রায় ৬ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসে পড়ায় নিরাপত্তা ঝুঁকির আশঙ্কা করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাগুলো। জীবিকাহীন এ রোহিঙ্গারা এখন ত্রাণনির্ভর জীবন কাটালেও একপর্যায়ে কিছু আয়ের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করবে। সেক্ষেত্রে তারা নানা অসামাজিক এবং অপরাধমূলক কর্মকা-ে জড়িয়ে পড়তে পারে এমন শঙ্কা অমূলক নয়। একই জায়গায় এতবেশি বহিরাগতের কারণে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে স্থানীয় বাসিন্দারা। তাছাড়া তাদের ফসলের জমি এবং গাছ গাছালিরও ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। সংখ্যায় রোহিঙ্গারা বেশি হওয়ায় প্রতিবাদ কিংবা বাধা প্রদানের সাহসও নেই স্থানীয়দের। রোহিঙ্গা শিশুদের সুরক্ষায় শিশুপল্লী নির্মাণ রাখাইন থেকে আসা রোহিঙ্গাদের মধ্যে অনেক শিশু তাদের বাবা-মা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এদের অনেকেরই অভিভাবক নির্যাতনে প্রাণ হারিয়েছে। এমন এতিম এবং একা হয়ে পড়া শিশুদের একটি তালিকা প্রস্তুত করেছে, যার সংখ্যা ১৫ হাজার ৭৯৯। তবে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে, যেহেতু রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ অব্যাহত রয়েছে। রোহিঙ্গা এতিম শিশুদের সুরক্ষায় বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। অনাথ রোহিঙ্গা শিশুদের সুরক্ষার জন্য করা হচ্ছে শিশু পল্লী। মা-বাবা হারা ওই শিশুদের জন্য শিশু পল্লী নির্মাণ করতে উখিয়ার কুতুপালং মধুছড়া এলাকায় দুশো একর জমিও নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামী মাসে শুরু তে পারে ওই শিশু পল্লীর কার্যক্রম। টেকনাফ স্থলবন্দরে প্রাণ ফিরছে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সহিংসতার কারণে ৪৪ দিন ধরে সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল সীমান্ত বাণিজ্য। এরপর চালু হলেও কার্যক্রম ছিল অনেকটা নিষ্প্র্রাণ। কিন্তু ধীরে ধীরে প্রাণ ফিরে আসতে শুরু করেছে টেকনাফ স্থলবন্দরে। তাই এমন অবস্থার মধ্যেও চলতি অক্টোবর মাসে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন টেকনাফ স্থলবন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তারা। অস্থিতিশীল অবস্থায় বন্ধ হয়ে যাওয়া এই সীমান্ত বাণিজ্য সচল হয় গত ১৪ অক্টোবর। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মংডু থেকে ৫টি ট্রলারে ৮০ টন চাল ও ৯ টন আদা টেকনাফ স্থলবন্দরে আসে। কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, মিয়ানমারে সহিংসতা শুরুর আগে জুলাই মাসে ৮ কোটি ৮৪ লাখ ৪৮ হাজার টাকা এবং আগস্ট মাসে ১০ কোটি ৭ লাখ ৬২ হাজার টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছিল। এই দুইমাসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২ কোটি ৭৯ লাখ টাকা বেশি রাজস্ব আয় হয়। কিন্তু রাখাইনে সহিংসতার ফলে সেপ্টেম্বর মাসে এসে রাজস্ব আদায়ে ধস নামে। ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা রোহিঙ্গাদের এক জায়গায় রাখার দাবি রাখাইন থেকে গত ২৫ আগস্ট যে রোহিঙ্গা স্রোত শুরু হয়েছিল তা অব্যাহত আছে। বর্তমানে রোহিঙ্গার সংখ্যা ৬ লাখের কাছাকাছি। কিন্তু তাদের এক জায়গায় সীমাবদ্ধ করে রাখা যায়নি। তারা ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছে পর্যটন শহর কক্সবাজারসহ জেলার বিভিন্ন এলাকায়। ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সকল রোহিঙ্গাকে চিহ্নিত করে নির্ধারিত ক্যাম্পে নিয়ে আসার দাবি উঠেছে। কেননা, এই জনগোষ্ঠীর অবাধ বিচরণে এলাকার লোকজন শঙ্কা অনুভব করছেন। ওসব রোহিঙ্গাদের নানা ধরনের অপরাধমূলক কর্মকান্ডে অতিষ্ঠ স্থানীয়রা। এছাড়াও দেশী-বিদেশী পর্যটকরা রোহিঙ্গাদের কবলে পড়ছেন বলে তথ্য বেরিয়ে আসছে। এতে উদ্বিগ্ন পর্যটন শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী এবং পেশাজীবীরা। অনেক রোহিঙ্গা নারী ও তরুণীকে কক্সবাজার শহরের কলাতলী হোটেল-মোটেল জোনে চলাফেরা করতে দেখা যাচ্ছে। জীবিকার প্রয়োজনে এরা অসামাজিক কার্যক্রমে জড়িয়ে পড়তে পারে এমন আশঙ্কা বাড়ছে।
×