ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

প্রীতিলতা সাংস্কৃতিক ভবন উদ্বোধন করলেন আসাদুজ্জামান নূর

প্রকাশিত: ০৩:১৭, ২১ অক্টোবর ২০১৭

প্রীতিলতা সাংস্কৃতিক ভবন উদ্বোধন করলেন আসাদুজ্জামান নূর

বিকাশ চৌধুরী, পটিয়া ॥ চট্টগ্রামের পটিয়ায় প্রীতিলতা সাংস্কৃতিক ভবন উদ্বোধন করলেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। শুক্রবার সকালে তিনি এ ভবনের উদ্বোধন করেন। এ উপলক্ষে বীরকন্যা প্রীতিলতা ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি পংকজ চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদ, পটিয়ার এমপি সামশুল হক চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান, ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার (চট্টগ্রাম) অনিন্দ্য ব্যানার্জি, বীরকন্যা প্রীতিলতা ট্রাস্টের প্রধান উপদেষ্টা এ্যাডভোকেট রানাদাশ গুপ্ত, কবি ও সাংবাদিক অধ্যাপক আবুল মোমেন, দৈনিক ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ চৌধুরী টিপু, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন, এসিল্যান্ড মিল্টন রায়, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, জেলা পরিষদ সদস্য দেবব্রত দাশ দেবু, উপজেলা আওয়ামী লীগ সাবেক সভাপতি আ ক ম শামসুজ্জামান, ধলঘাট ইউপি চেয়ারম্যান রণবীর ঘোষ টুটুন, প্রকৌশলী পুলক বড়ুয়া, ধলঘাট ইউপি আওয়ামী লীগ সভাপতি শফিকুল ইসলাম বাবুল। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ধলঘাট ইউপি আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক প্রবোধ রায় চন্দন। এর আগে প্রধান অতিথি আসাদুজ্জামান নূর ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত প্রীতিলতা সাংস্কৃতিক ভবন উদ্বোধন করেন। দ্বিতীয় অধিবেশনে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন। বিশেষ ছিলেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. সুলতানা কামাল। অনুষ্ঠানে সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এমপি বলেন, সংস্কৃতি চর্চা জঙ্গীবাদ দমনে কাজ করবে। ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের একমাত্র নারী প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার আমাদের জন্য প্রেরণার উৎস। তার আত্মত্যাগ চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। একইভাবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এদেশের স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখেছিলেন এবং মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন করেন। তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। বর্তমানে শিক্ষা, সাংস্কৃতিক, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ ও বিদ্যুতের ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন কাজ হয়েছে। যারা এ উন্নয়ন চায় না তারা ধ্বংসাত্মক কাজ চালিয়ে বাসে সাধারণ মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে। বোমার আঘাতে শিশুর হাত উড়িয়ে দিয়েছে। হলি আর্টিজানে ৫ জঙ্গী, ২০ নিরীহ মানুষকে হত্যা করেছে। শুধু তাই নয় এসব জঙ্গীরা লাশের ওপর বসে কফি খেয়ে উল্লাস করেছে। এ ধরনের নির্মম জঙ্গীবাদ থেকে দেশকে মুক্ত করতে হলে সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে উজ্জীবিত করতে হবে। আমরা দানবের সমাজ চাই না, মানবের সমাজ চাই।
×