ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বগুড়ায় প্রাইভেট পড়ানো নিয়ে উত্তেজনা

প্রকাশিত: ০৫:৩৭, ২০ অক্টোবর ২০১৭

বগুড়ায় প্রাইভেট পড়ানো নিয়ে উত্তেজনা

স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া অফিস ॥ বগুড়ার জবানী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়তে বাধ্য করা ও মারধরের ঘটনা নিয়ে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক এ বিষয়গুলো উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে জানিয়েছেন। এদিকে ওই স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির (এসএমসি) মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার পর নতুন কমিটি গঠন হয়নি। বগুড়া নগরীর মধ্যে ঠনঠনিয়া এলাকার এই স্কুলের অবস্থান। দুই শিফটের শিক্ষার্থী ৩শ’৫০ জন ও শিক্ষক ৫ জন। ক’বছর ধরেই এই স্কুলের সহকারী শিক্ষক শফিকুর রহমান তার কাছে শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়াতে চাপ দেন। বর্তমানে তার ছেলের নামে কোচিং সেন্টার খুলেছেন। এ নিয়ে প্রধান শিক্ষক নূরজাহান খাতুন ওই শিক্ষককে সতর্ক করার পরও সতর্ক না হয়ে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। প্রধান শিক্ষক বিষয়গুলো উপজেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুল জব্বারকে জানালে সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার আকরাম হোসেন ওই স্কুল পরিদর্শন করেন। সহকারী শিক্ষক শফিকুর রহমানের প্রভাব বেশি। তার কাছে প্রাইভেট না পড়লে শিক্ষার্থীদের ওপর খড়গ নেমে আসে। শিক্ষার্থীদের পাঠগ্রহণে বিঘœ ঘটে। বুধবার সকালে সহকারী শিক্ষক শফিকুর রহমান প্রধান শিক্ষককে গালিগালাজ করেন। প্রধান শিক্ষক তাকে শান্ত হয়ে কথা বলতে বলেন। গত সোমবার কয়েকজন অভিভাবক কিছু শিক্ষার্থী নিয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে গিয়ে শফিকুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন। এ সময় সহকারী শিক্ষক তামান্না মাহবুবও সেখানে যান। এদিকে গত বছর জুন মাসে এসএমসির মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার পর নতুন কমিটি গঠিত হয়নি। একটি প্রভাবশালী শ্রেণী আত্মীয়দের নিয়ে এসএমসি গঠনের পাঁয়তারা করছে। এসএমসির ফাইল কাগজপত্র চুরি হয়ে যায়। বিষয়টিও থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। ওই স্কুলের সাবেক প্রধান শিক্ষক রঞ্জু আরা ২০১৫ সালের ৬ এপ্রিল স্কুল ভবনেই আত্মহনন করেন। এ ঘটনার প্রকৃত তদন্ত আজও হয়নি। এক সূত্র জানায় এই প্রকৃত তদন্ত হলে অনেক রহস্য উদঘাটিত হবে। এ বিষয়ে সহকারী শিক্ষক শফিকুর রহমানের সঙ্গে ফোনে কথা বললে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি আগে প্রাইভেট পড়াতেন এখন তার ছেলে প্রাইভেট পড়ায়। তিনি ওই স্কুলের সহকারী শিক্ষক তামান্না মাহবুবের বিরুদ্ধে কোচিং সেন্টার খুলে প্রাইভেট পড়ানোর অভিযোগ করেন। এ বিষয়ে তামান্না মাহবুবের সঙ্গে ফোনে কথা বললে প্রাইভেট পড়ানোর সকল দোষ শফিকুর রহমানকে দেন। তবে তিনি বলেন, তার স্বামী কোচিং সেন্টার পরিচালনা করেন। উপজেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুল জব্বারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়গুলো অবগত বলে জানান। ওপর মহলের সঙ্গে কথা বলে তিনি ব্যবস্থা নেবেন।
×