ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

পিরোজপুরে ভেঙ্গে যাওয়া দুই সেতু মেরামত কবে?

প্রকাশিত: ০৫:৩৪, ২০ অক্টোবর ২০১৭

পিরোজপুরে ভেঙ্গে যাওয়া দুই সেতু মেরামত কবে?

নিজস্ব সংবাদদাতা, পিরোজপুর, ১৯ অক্টোবর ॥ সদর উপজেলার কদমতলা ইউনিয়নের খানাকুনিয়ারি-পোরগোলাসংলগ্ন লোহার নির্মিত দু’টি সেতু ভেঙ্গে খালে পড়ে গেছে। পোরগোলা-ভোরা গ্রামে যাওয়ার সেতুটি এক বছর আর একপাই জুজখোলা গ্রামে যাওয়ার সেতুটি আট বছর অগে ভেঙ্গে পড়ায় দুর্ভোগে আছেন ছয় গ্রামের প্রায় ২৫ হাজার মানুষ। জেলা সদর থেকে মাত্র চার কিলোমিটার দূরত্বে এ ভেঙ্গে পড়া সেতু দুটি পুনঃনির্মাণ না হওয়ায় ভোরা, পোরগোলা, পশ্চিম কদমতলা, রাজারকাঠী, একপাই জুজখোলা, ও বাগমারা গ্রামের হাজার, হাজার মানুষ জেলা সদর ও কদমতলা ইউনিয়ন পরিষদে যাতায়াতের জন্য দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। এ গ্রামের শত শত শিক্ষার্থী পিরোজপুর শহরে অবস্থিত সরকারী সোহরাওয়ার্দী কলেজ, সরকারী মহিলা কলেজ, সরকারী বালক উচ্চ বিদ্যালয়, সরকারী বালিকা বিদ্যালয়, আফতাব উদ্দিন ডিগ্রী কলেজ, পিরোজপুর ফাযিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসা, কদমতলা জর্জ হাই স্কুল, খানাকুনিয়ারী পি.ই, আর সি ফাযিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসা ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাতায়াত করতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। কদমতলা ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ড সাবেক আওয়ামী লীগ সভাপতি আঃ হালিম সরদার ও ৯ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার মাওলানা দ্বীন ইসলাম বলেছেন, খানাকুনিয়ারি মূল খারের গুদিঘাটার লোহার নির্মিত সেতুটির পশ্চিম প্রান্তের ৭০ ফুট ২০১৬ সালের ২৮ অক্টোবর বিকেলে ভেঙ্গে পড়ে। এ সেতুটি ২০০১ সালে ১২ লাখ টাকা ব্যয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর নির্মাণ করেছিল। ভেঙ্গে পড়ার পর কিছুদিন নৌকায় খাল পারাপারের পর সুপারি গাছ ও বাঁশ দিয়ে সাঁকো তৈরি করা হয়েছে। অপরদিকে খানাকুনিয়ারি মাদ্রাসার সামনের খালের লোহার সেতুটি আট বছর আগে ভেঙ্গে পড়েছে। বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলা ফেরা করতে হচ্ছে। খানাকুনিয়ারি মাদ্রাসার শিশু শিক্ষার্থী ইনতিয়াজ, নূরে জান্নাত, আমিনা, শিমা ও ফাহিমার সঙ্গে আলাপ করলে তারা জানায়, সাঁকো পার হতে তাদের ভয় হয়। খর¯্রােতা খালে শিশু শ্রেণী থেকে নবম-দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা সাঁকো পারাপারে ভয় পায়। বিশেষ করে ছাত্রীরা থাকে আতঙ্কে। সেতু ভেঙ্গে খালে পড়ে থাকার ব্যাপারে ২ নম্বর কদমতলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ হানিফ খানের সঙ্গে আলাপ করলে তিনি জানান, ভেঙ্গে পড়া সেতু নির্মাণ আমাদের পরিষদের আওতায় নয়। তবে আমি উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় সভায় এ বিষয়ে আলোচনা করেছি। এলজিইডি ইঞ্জিনিয়ারকে বলেছি। বিষয়টি আমাদের এমপিকেও জানিয়েছি। তিনি আরও জানান, শুধু এ দুটি সেতু নয়, গত আট/নয় মাস আগে একই এলাকার জুজখোলা নতুন হাটের খালের ওপরের লোহার ফ্রেমে ঢালাই সেতুটিও ভেঙ্গে পড়েছে। তবে আমি যতদূর জানি নির্মাণের একটি প্রক্রিয়া চলছে। পিরোজপুর সদর উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী (এলজিইডি) অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ঝুঁকিপূর্ণ লোহার সেতুগুলোর একটি তালিকা এলজিইডির প্রধান কার্যালয়ে অনেক আগেই পাঠানো হয়েছে। সে তালিকায় কদমতলা ইউনিয়নের সেতুগুলোর নাম রয়েছে। শরীয়তপুর নিজস্ব সংবাদদাতা শরীয়তপুর থেকে জানান, শরীয়তপুর-জাজিরা সড়কের সঙ্গে নড়িয়া উপজেলার রাজনগর ইউনিয়নের কাজিকান্দি গ্রামের সংযোগ ব্রিজটি গত বন্যায় ভেঙ্গে পড়েছে। ব্রিজের এক পাশের রাস্তাও ভেঙ্গে পড়েছে খালে। উপজেলা সদরসহ জেলা সদরের সঙ্গে গ্রামবাসীর যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম ভেঙ্গে পড়া এই ব্রিজটি দীর্ঘদিনেও মেরামত বা নতুন কোন ব্রিজ নির্মাণ না করায় প্রায় ২০ হাজার গ্রামবাসীর ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে। শরীয়তপুর-মাওয়া সড়কের পাশে ব্রিজটি ভেঙ্গে পড়ে থাকলেও কারও মাথাব্যথা নেই। অথচ জেলার বিভিন্ন গ্রামে দেখা গেছে, এক একটি বাড়ির জন্যও একটি ব্রিজ নির্মাণ করেছে স্থানীয় এলজিইডি কর্র্র্তৃপক্ষসহ অন্যান্য সংস্থা। স্থানীয়রা জানান, প্রতিদিন গ্রামবাসীসহ শত শত শিক্ষার্থী এই রাস্তায় যাতায়াত করে। ব্রিজটি ভেঙ্গে পড়ে থাকায় ভোগান্তির শিকার হচ্ছে তারা।
×