ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সুচির ওপর আস্থা হারাচ্ছেন সহযোদ্ধারাও ;###;ঢল থামছে না;###;সীমান্তে এখন বিজিবি কড়া অবস্থানে

রোহিঙ্গা ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারের আন্তরিকতায় সংশয়

প্রকাশিত: ০৫:১১, ২০ অক্টোবর ২০১৭

রোহিঙ্গা ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারের আন্তরিকতায় সংশয়

হাসান নাসির/এইচএম এরশাদ ॥ রাখাইন থেকে রোহিঙ্গা বিতাড়নের অভিযান এর আগে চালানো হলেও এবারের মতো এতটা চাপের মুখে পড়েনি মিয়ানমার সরকার। জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশ এবং মানবাধিকার সংগঠন এ বিষয়ে কড়া বার্তার পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে চাপ সৃষ্টি করে চলেছে। এ চাপের মুখে মিয়ানমার নেত্রী আউং সান সুচির সরকার শোনাচ্ছে আশার বাণী। কিন্তু বাস্তবে এর কোন প্রতিফলন না মেলায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে দেশটির আন্তরিকতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে আছে। বিভিন্ন দেশ থেকে যাওয়া প্রতিনিধিদের সঙ্গে সে দেশের সরকারের কর্তাব্যক্তিরা আলোচনা করলেও তাদের নেয়া হচ্ছে না রাখাইন রাজ্যে, যা সেখানে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধমূলক কর্মকা-ের প্রমাণই বহন করে। সর্বশেষ সুচি ও সেনাপ্রধানের সঙ্গে জাতিসংঘ প্রতিনিধি দলের নিষ্ফল বৈঠক রোহিঙ্গা সঙ্কটকে দীর্ঘায়িত করার ইঙ্গিতই দিচ্ছে। মিয়ানমার এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম খবর দিয়েছে যে, জাতিসংঘের রাজনীতিবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি জেফ্রে ফেল্টম্যান তার পাঁচ দিনের সফর ও আলোচনায় সরকারের কাছ থেকে ইতিবাচক কোন আশ্বাস পাননি। এদিকে, ফিরিয়ে নেয়ার মৌখিক আশ্বাসের মধ্যে বাকি রোহিঙ্গারাও ধেয়ে আসছে বাংলাদেশের দিকে। তবে বাংলাদেশ সীমান্তে প্রায় দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে যে শৈথিল্য ছিল তা এখন খানিকটা কঠোর হয়েছে। সীমান্তে আসা হাজার হাজার রোহিঙ্গাকে এখন নোম্যান্স ল্যান্ডে থামিয়ে রেখেছে বিজিবি। রাখাইনে নির্যাতন বন্ধ হওয়ার পরও রোহিঙ্গাদের এ সীমান্ত পাড়ি দেয়ার প্রবণতা এখন অনেকেই মানতে পারছে না। উখিয়ার পালংখালীসহ কয়েকটি এলাকায় রোহিঙ্গাবিরোধী মিছিলও হয়েছে । ক্ষোভ এখন ধীরে ধীরে সংক্রমণ হচ্ছে টেকনাফ এবং উখিয়া উপজেলার স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে। তারা বলছে, এত রোহিঙ্গার চাপ বহন করতে আমরা সক্ষম নই। মিয়ানমার থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্যে জানা যায়, বর্তমানে রাখাইন প্রদেশে যে রোহিঙ্গারা অবস্থান করছে তাদের একটি বড় অংশ মোটামুটি সচ্ছল। সম্পদ থাকায় তাদের রয়েছে পিছুটান। এছাড়া অন্তত ৩০ হাজার রোহিঙ্গা রয়েছে, যারা মিয়ানমার সরকার ও সেনাবাহিনীর দালাল হিসেবে কাজ করে। তাছাড়া বিত্তবান অনেকে টাকা-পয়সা দিয়েও সেখানে থাকছে। কিন্তু এখন টাকা দিয়েও আগের মতো কাজ হচ্ছে না বলে অভিযোগ পাওয়া যায় এপারে আসা রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে। ফলে কিছু দালাল ছাড়া পর্যায়ক্রমে সব রোহিঙ্গাই বসবাসের জন্য বাংলাদেশকে নিরাপদ মনে করছে। তাছাড়া তাদের আত্মীয়স্বজন, প্রতিবেশী এবং পরিচিতদের বেশিরভাগই এখন কক্সবাজার জেলার টেকনাফ এবং উখিয়ায়। সব মিলিয়ে রোহিঙ্গাদের ঠিকানা এখন বাংলাদেশ। সমূহ বিপদের আশঙ্কায় উখিয়া এবং টেকনাফের অধিবাসীরা বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত বন্ধ করে দেয়ার পক্ষে। তবে অস্বস্তির মধ্যেও মানবিক দিকটি এখনও বিবেচনায় রয়েছে। সুচির ওপর আস্থা হারাচ্ছেন সহযোদ্ধারা ॥ দীর্ঘ সামরিক শাসনের জাঁতাকলে থাকা মিয়ানমারের গণতন্ত্র উদ্ধারে সংগ্রামী নেত্রী আউং সান সুচি রোহিঙ্গা ইস্যুতে যে অবস্থানে রয়েছেন তাতে হতাশ তারই অনেক সহযোদ্ধা। মিয়ানমারকে যারা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চান তারা এখন বিকল্প প্লাটফর্মের চিন্তাভাবনাও করছেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক খবর অনুযায়ী নতুন একটি রাজনৈতিক দল গঠন করতে যাচ্ছেন সুচির দীর্ঘদিনের সহযোদ্ধা কো কো জি। মিয়ানমারে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলন-সংগ্রামে পোড় খাওয়া এ নেতা প্রায় বিশ বছর কারাভোগ করেছেন। তিনি ছিলেন সুচিরই সহযোগী। রোহিঙ্গা নিয়ে যে সঙ্কট তার থেকে উত্তরণে সুচির ভূমিকায় হতাশ এ নেতা চলতি বছরের শেষ নাগাদ তারই নেতৃত্বে গঠিত একটি দলের নেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছেন। ২০১৫ সালের নির্বাচনে সুচির দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) থেকে প্রার্থী হতে পারেননি এ নেতা। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর পছন্দ নয় তাকে। নতুন দল গঠনের লক্ষ্যে তিনি ইতোমধ্যেই অনেক দূর এগিয়েছেন। টোকিওতে অবস্থানকারী নেতা কো কো জি সেখানকার মিয়ানমার নাগরিকদের সমর্থন আদায়ের তৎপরতা শুরু করেছেন। গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপদান এবং ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার মর্যাদার সঙ্গে বসবাসের উপযোগী একটি ব্যবস্থা গঠনই তার লক্ষ্য বলে তিনি জানিয়েছেন জাপানের সংবাদমাধ্যম এনএইচকে দেয়া সাক্ষাতকারে। সুচি ও সেনাপ্রধানের সঙ্গে জাতিসংঘ কর্মকর্তার নিষ্ফল বৈঠক আনান কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন এবং রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার বিষয়ে আউং সান সুচি ও তার মন্ত্রিপরিষদের সদস্যদের আশ্বাস বাণীর মধ্যেও নিষ্ফল হয়েছে জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেফ্রে ফেল্টম্যানের নেতৃত্বাধীন টিমের সফর। মিয়ানমারে পাঁচ দিনের এ সফরে তিনি বৈঠক করেছেন সুচি এবং সেনাপ্রধান মিন অং লাইংয়ের সঙ্গে। এছাড়া তিনি রাখাইন প্রদেশে সে দেশের সরকারেরই নির্ধারিত জায়গা পরিদর্শন করেছেন। সরাসরি নির্যাতিতদের সঙ্গে সাক্ষাত না হলেও তিনি ওপর থেকে দেখেছেন ব্যাপক ধংসযজ্ঞের আলামত। বৈঠকে তিনি এ বিষয়ে সরকার ও শীর্ষ সেনা কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেন। কিন্তু রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে কোন আন্তরিকতা ও আশাব্যঞ্জক প্রতিশ্রুতি তিনি পাননি। তিনি আক্রান্ত এলাকায় মানবিক সাহায্যকর্মীদের অবাধ প্রবেশ এবং পালিয়ে যাওয়াদের বাংলাদেশ থেকে ফিরিয়ে আনার জন্য মিয়ানমার সরকারকে বলেছেন। হতাশাজনক এ সফরের রিপোর্ট তিনি জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব গুতেরেসের কাছে। ফলহীন এ সফরে যা অর্জিত হয়েছে তা রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে সরকারের সঙ্গে চলমান আলোচনা মাত্র। উপজেলা চেয়ারম্যানের বাড়িতে আশ্রয় ৩১ রোহিঙ্গার ॥ টেকনাফ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা জাফর আহমেদের ঘরে অভিযান চালিয়ে আটক করা হয়েছে ৩১ রোহিঙ্গাকে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের পরিচালক (অপারেশন) সৈয়দ তৌফিক উদ্দিন আহমদের নেতৃত্বে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বুধবার বিকেল থেকে এ অভিযান পরিচালনা করেন। মূলত মাদকদ্রব্য উদ্ধারের জন্য এ অভিযান পরিচালিত হলেও চেয়ারম্যানের ঘরের একটি কক্ষ থেকে উদ্ধার করা হয় রোহিঙ্গাদের। এছাড়া হাজী সাইফুল করিম নামের এক মাদক ব্যবসায়ীর ঘর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ স্পিরিট। বিজিবি, র‌্যাব, পুলিশ, আনসার ও কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা এ অভিযানে অংশগ্রহণ করেন। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর সূত্র জানায়, সম্প্রতি মিয়ানমারের রাখাইন থেকে কয়েক লাখ রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশের সুযোগে দেশে ব্যাপকভাবে ইয়াবার চালান ঢুকে পড়ার তথ্য রয়েছে। সংবাদের ভিত্তিতে সরকারের নীতিনির্ধারক মহলের নির্দেশে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান পরিচালনায় নিয়োজিত নারকোটিক্স বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মোঃ নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন, বুধবার সন্ধ্যার পর থেকে টেকনাফ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাফর আহমদের ঘরে তল্লাশি চালানো হয়। তার বিরুদ্ধে ইয়াবাসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক ব্যবসার অভিযোগ রয়েছে। এদিকে, টেকনাফ উপজেলা চেয়ারম্যান জাফর আহমদ দাবি করেন, কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ এহসান মুরাদের নেতৃত্বে প্রশাসনের একটি টিম লেঙ্গুরবিল এলাকায় তার ভাড়াটিয়ার বাসায় এসেছিল। সেখান থেকে কোন রোহিঙ্গা উদ্ধার করা হয়নি। পরে স্থানীয় এমপি আবদুর রহমান বদির ছোট ভাই আবদুস শুকুর, হাজী সাইফুল করিম ও মারুফুল করিম বাবুর ঘরেও তল্লাশি চালানো হয়েছে। এ তিনজনই ইয়াবা ব্যবসায়ী হিসেবে তালিকাভুক্ত বলে তথ্য রয়েছে। সাতকানিয়ায় আটক ১৬৬ রোহিঙ্গা ॥ মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা শুধু উখিয়া এবং টেকনাফেই সীমিত হয়ে থাকছে না, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং প্রশাসনের চোখ এড়িয়ে তারা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ছে বিভিন্ন অঞ্চলে। সাতকানিয়া থানা পুলিশ এ পর্যন্ত ১৬৬ রোহিঙ্গাকে আটক করে উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্পে পাঠিয়েছে। থানার ওসি রফিকুল হোসেন জানান, সর্বশেষ বুধবার পাঠানো হয়েছে দুজনকে। তারা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে না গিয়ে চট্টগ্রাম শহরের দিকে চলে যাচ্ছিল। চেকপোস্টে ধরা পড়ার পর তাদের যথাস্থানে ফেরত পাঠানো হয়। দু’দিনে অনুপ্রবেশ ৩০ হাজার ॥ রাখাইন প্রদেশে সেনাবাহিনীর অত্যাচার-নির্যাতন আগের মতো না থাকলেও কৃত্রিম খাদ্য সঙ্কটে রোহিঙ্গাদের টিকে থাকা কষ্টকর হয়ে পড়েছে। অপরদিকে, বাংলাদেশে রয়েছে ত্রাণ এবং চিকিৎসা সহায়তাসহ নানান সুযোগ-সুবিধা। সে কারণে রাখাইনের অবশিষ্ট রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টায় রয়েছে। বুধ ও বৃহস্পতিবার উখিয়া সীমান্তে বাংলাদেশ অংশের আঞ্জুমানপাড়া সীমান্ত দিয়ে মংডু টাউনশিপের কমপক্ষে ৩০ হাজার রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বলছেন, এ সংখ্যা টেকনাফ-উখিয়া সীমান্তবর্তী স্থানীয় অধিবাসীদের চেয়ে অনেক বেশি। এখনও সীমান্তের জিরো লাইনে জড়ো হয়ে আছে অন্তত ৫০ হাজার রোহিঙ্গা। তবে রোহিঙ্গাদের এ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সতর্ক রয়েছেন বিজিবি সদস্যরা। প্রশাসন ও বিজিবি সূত্রে জানা যায়, সীমান্ত এখন আর আগের মতো শিথিল নয়। নতুন করে আরও অনুপ্রবেশ যেন না ঘটে সে বিষয়ে উচ্চপর্যায়ের নির্দেশনা রয়েছে। এলাকাবাসীর বিক্ষোভ ॥ একসঙ্গে এত রোহিঙ্গা এসে পড়ায় প্রচ- চাপ সৃষ্টি হয়েছে কক্সবাজারের টেকনাফ-উখিয়া এলাকায়। বিশেষ করে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছে সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষ। এতে তারা বিক্ষুব্ধ হয়ে পড়ছেন। বুধবার বিকেলে হঠাৎ বিক্ষোভ মিছিল বের হয় পালংখালী ইউনিয়নের আঞ্জুমানপাড়া এলাকায়। কেননা, এখন রোহিঙ্গাদের প্রবল একটি স্রোত বইছে এ এলাকার ওপর দিয়ে। হাজার হাজার রোহিঙ্গা ওই পথ মাড়িয়ে প্রবেশ করায় বিনষ্ট হচ্ছে তাদের ক্ষেতের ফসল। এর প্রতিবাদে তারা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। বিক্ষোভকারীরা রোহিঙ্গা ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এনজিওগুলোতে গ্রামের লোকদের নিয়োগ না দেয়ায়ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তাদের অভিযোগ, এনজিওগুলো তাদের দৈনিক কাজে রোহিঙ্গাদেরই নিয়োগ করছে। গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার ॥ নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম রেজু সীমান্ত থেকে নূর আহাম্মদ নামে এক রোহিঙ্গা যুবকের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার রাতে সীমান্তের ৪২ নম্বর পিলার এলাকায় লাশটি পাওয়া যায়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নাইক্ষ্যংছড়ি রেজু সীমান্তের ৪২ নম্বর পিলার এলাকা দিয়ে কাঁটাতারের বেড়া পেরিয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসার সময় মিয়ানমারের সেনাদের গুলিতে এক রোহিঙ্গা যুবকের মৃত্যু হয়। সে মিয়ানমারের নেমসি এলাকার বাসিন্দা নবী হোসেনের ছেলে। হত্যার পর রোহিঙ্গারা নোম্যান্স ল্যান্ড থেকে ওই যুবকের লাশ উদ্ধার করে উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্পে নিয়ে আসে।
×