ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

গসিপ

প্রকাশিত: ০৭:০৫, ১৯ অক্টোবর ২০১৭

গসিপ

জিতেন্দ্রকেই বিয়ে করতে চলেছিলেন হেমা মালিনী! হেমা মালিনী ভারতের বিখ্যাত অভিনেত্রী, পরিচালক ও প্রযোজক। ১৯৬৮ সালে স্বপ্ন কা সওদাগর চলচ্চিত্রের মাধ্যমে রুপালি পর্দায় অভিষিক্ত হন। তিনি নায়ক ধর্মেন্দ্র ও রাজেশ খান্নার সঙ্গে জুটি হয়ে অনেক হিট চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। ১৯৭৭ সালে তিনি বিখ্যাত ড্রিম গার্ল চলচ্চিত্রে অভিনয়ে সুখ্যাতি অর্জন করে ড্রিম গার্ল উপাধি লাভ করেন। সর্বমোট ১১ বার ফিল্ম ফেয়ার পুরস্কারে সেরা অভিনেত্রী হিসেবে মনোনয়ন পান। ২০০০ সালে তিনি পদ্মশ্রী সম্মাননা লাভ করেন। ধর্মেন্দ্র-হেমা মালিনী জুটি শুধু রিল লাইফে নয়, রিয়েল লাইফেও জনপ্রিয়? কিন্তু বাস্তব জীবনে এই জুটি প্রায় তৈরিই হচ্ছিল না। মাঝে তৃতীয় পুরুষ হয়ে চলে এসেছিলেন আর এক নায়ক জিতেন্দ্র এবং সম্প্রতি জানা যাচ্ছে, ধর্মেন্দ্র নয়, জিতেন্দ্রর সঙ্গেই নাকি বিয়ে হতে চলেছিল হেমা মালিনীর। ধর্মেন্দ্রর প্রেমে যখন হেমা মশগুল, তখন তার ওপর কড়া নজরদারি চালাতেন হেমার মা জয়া। ফলে লুকিয়ে চুরিয়ে প্রেম করা ছাড়া গতি ছিল না। জয়া চাইতেন, জিতেন্দ্রর সঙ্গে বিয়ে হোক হেমার। সেই মতো মেয়েকে বোঝাতেন। এর মধ্যেই একদিন হাওয়া হয়ে যান হেমা। সারাদিন উধাও থাকার পর বাড়ি ফেরেন। পরিস্থিতি হাতের বাইরে যাচ্ছে, তা আঁচ করতে পারেন জয়া। এদিকে ধর্মেন্দ্রও জিতেন্দ্রর সঙ্গে হেমার ঘনিষ্ঠতা ভাল চোখে দেখতেন না। সে সময় দু’জনে পরপর বেশ কয়েকটা সিনেমা করছিল এই জুটি। একদিন এরকমই এক সিনেমার সেটে গিয়ে হাজির হন ধর্মেন্দ্র। জিতেন্দ্রকে হতবাক করে হেমাকে মেকাআপ রুমে টেনে নিয়ে যান। হেমার সঙ্গে জিতেন্দ্র ভাল বন্ধুত্বই ছিল। জিতেন্দ্রর প্রেমের কথাও জানতেন হেমা। কিন্তু, দু’জন দু’জনকে ভালবাসতেন, এমনটা নয়। ধর্মেন্দ্র বিবাহিত ছিলেন বলেই আপত্তি ছিল হেমার মা-বাবার। হেমার মা জোর করে তাকে জিতেন্দ্রর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে রাজি করেন। গররাজি হয়েও বাড?ির ইচ্ছেতেই জিতেন্দ্র সে সিদ্ধান্ত মেনে নেন। অনেকটা দেখাশোনা করেই বিয়ে হতে চলেছিল তাদের। প্রায় সব ঠিকঠাকও হয়ে যায়। সেইমতো মাদ্রাজে উড়ে যান জিতেন্দ্র ও হেমার পরিবারের লোকেরা বলিউডে কাজ করতে আগ্রহী ‘হাল্ক’ পর্দায় তিনি হাল্ক। অতিমাত্রায় রেগে গেলে মুহূর্তেই ব্রুস ব্যানার থেকে সবুজ দানবে পরিণত হন তিনি। থর চলচ্চিত্রের তৃতীয় কিস্তি ‘থর : রাগনারকে’ অভিনয় করতে দেখা যাবে তাকে। হাল্কখ্যাত হলিউড অভিনেতা মার্ক রাফালোর মনে একটা ইচ্ছে আছে। আর তা হলো বলিউডকেন্দ্রিক। এ অভিনেতা বলেছেন, তিনি বলিউডের সিনেমার মতো নাচ-গান পারেন না। তবে শুধু অভিনয়ের ক্ষেত্রে দক্ষতা দেখাতে বলিউডে কাজ করতে পারেন তিনি। সম্প্রতি ‘থর : রাগনারকে’ ছবির প্রচারণায় মুম্বাইয়ে এসে এ মন্তব্য করেন তিনি। তিন দশকের হলিউড ক্যারিয়ারে স্পটলাইট, শাটার আইল্যান্ডের মতো জনপ্রিয় সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। সুপার হিরো মুভি ছাড়াও সাম্প্রতিক সময়ে ‘নাউ ইউ ক্যান সি মি’ ছবিতে অভিনয় করে নজর কেড়েছেন তিনি। আগামী ৩ নবেম্বর ভারতে মুক্তি পাবে ‘থর : রাগনারকে’ ছবিটি। সেই উদ্দেশেই মুম্বাই আসেন এই অভিনেতা। বলিউড নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি বলিউডের একটি সিনেমা দেখেছি। এক ব্যক্তি কয়েকজনের সঙ্গে মারামারি করছে। অনেকটা সন্ত্রাসীদের কুপোকাত করার মতো। তিনি বলিউডে অভিনয় করবেন কিনা জানতে চাইলে বলেন, ‘ ‘কেন নয়? আমি নাচ-গানে পারদর্শী নই। তবে শুধু অভিনয় তো করতেই পারি।’ থরের নতুন এই ছবিতে থর ও হাল্ককে প্রথমবারের মতো লড়াই করতে দেখা যাবে। রাফেলো জানান, তিনি এই সময়ের জন্য ছয় বছর ধরে অপেক্ষা করছেন। তিনি বলেন, ‘তাকে ঘুষি মারার অভিজ্ঞতাটা দারুণ ছিল। আমি ছয় বছর ধরে এর অপেক্ষা করছি। সবাই থর এবং হাল্কের লড়াই দেখতে চেয়েছিল।’ সম্প্রতি এর অভিনেতা-অভিনেত্রীদের নিয়ে ছবিটির প্রিমিয়ার শো সম্পন্ন হয়। আর সেখানেই বিপত্তি বাধালেন মার্ক রাফেলো বা হাল্ক। দ্য হিন্দুস্থান টাইমসের খবরে প্রকাশ, ছবিটির প্রিমিয়ার চলা অবস্থায় ইনস্টাগ্রাম লাইভে এসেছিলেন মার্ক। কিন্তু মনের ভুলে লাইভ বন্ধ না করেই পকেটে মোবাইল ঢুকিয়ে ফেলেছেন তিনি। ফলে ছবিটির সংলাপ ও শব্দ বেশ স্পষ্টভাবেই শুনতে পেরেছে ভক্তরা। এ ঘটনার পর টুইটারে অসংখ্য ‘হাল্ক’ভক্ত বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। রাফেলো অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমার মধ্যে রয়েছে- বিগিন এগেইন, নরমাল হার্ট, জাস্ট লাইক হেভেন।
×