ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

চীন বধে ভিডিও বিশ্লেষণ

প্রকাশিত: ০৬:৩৭, ১৯ অক্টোবর ২০১৭

চীন বধে ভিডিও বিশ্লেষণ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ১৯৮৫ সালে সর্বশেষ এশিয়া কাপ হকির আয়োজক হয়েছিল বাংলাদেশ। দীর্ঘ ৩২ বছর পর আবারও এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের এই আসরের আয়োজক লাল-সবুজের দেশটি। ঘরের মাঠের এই টুর্নামেন্টে স্বাভাবিকভাবেই সমর্থকদের প্রত্যাশার এই মাত্রাটা ছিল একটু বেশি। কিন্তু হতাশ করেছেন জিমি-চয়নরা। গ্রুপপর্বের প্রথম তিন ম্যাচের সবকটিতেই লজ্জাজনকভাবে হার মানে তারা। আট দলের এই টুর্নামেন্টে তারপরও বাংলাদেশের সুযোগ আছে ষষ্ঠ হওয়ার। এমনকি বাকি থাকা দুই ম্যাচের দুটিতেই জয় পেলে পঞ্চম হওয়ারও সুযোগ রয়েছে লাল-সবুজের জার্সিধারীদের। সেই পথে আজ বড় বাধা চীন। তবে এই ম্যাচে জয় পেতে দারুণ আশাবাদী বাংলাদেশের কোচ মাহবুব হারুন। এ প্রসঙ্গে ম্যাচের আগেরদিন তিনি বলেন, ‘আমাদের শুরু থেকেই লক্ষ্য ছিল স্থান নির্ধারণী ম্যাচ। কাল (আজ) থেকে সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নের কাজ শুরু। আমি আশাবাদী ছেলেরা আমার নির্দেশনা অনুযায়ী পারফর্মেন্স করতে পারলে চীনের বিপক্ষে জেতা সম্ভব। এতে আমাদের লক্ষ্য ষষ্ঠ স্থানও নিশ্চিত হবে। গত তিনদিন চীনকে নিয়ে কাজ করেছি। তাদের ম্যাচের ভিডিওগুলো বিশ্লেষণ করেছি। তারা ফুল প্রেসে খেলে। এই ফুল প্রেস কিভাবে মোকাবেলা করতে হবে তা ছেলেদের শেখানো হয়েছে। চীনের আক্রমণ করার পদ্ধতি নিয়েও বিশেষ কাজ হয়েছে।’ গ্রুপপর্বের প্রথম তিন ম্যাচে বাংলাদেশের অর্জন মাত্র ১ গোল। বিনিময়ে হজম করেছে ১৭ গোল। জিমি-চয়নদের শুরুটা হয়েছিল পাকিস্তানের কাছে ৭-০ গোলের বড় ব্যবধানে হেরে। দ্বিতীয় ম্যাচে প্রতিপক্ষ বদলেছিল ঠিকই কিন্তু অপরিবর্তিত ছিল ফলাফল। তবে শেষ ম্যাচে জাপানের কাছে পরাজয়ের ব্যবধানটা কমেছিল একটু (৩-১)। আর এখন পর্যন্ত জাপানের বিপক্ষে ম্যাচটাই লাল-সবুজ জার্সিধারীদের বড় সাফল্য। এই ম্যাচের অনুপ্রেরণায় হয়তো বাকি দুই ম্যাচে কাজে লাগাতে পারেন স্বাগতিকরা। কোচও অবশ্য তাতে বিশ্বাসী। তার মতে প্রথম তিন ম্যাচের ভুলগুলো থেকে শিক্ষা নিয়েই আজ মাঠে নামবে বাংলাদেশ। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘গত তিন ম্যাচে ভুল-মনোসংযোগের ব্যাঘাত ছিল। আগের তিন ম্যাচ ভুলে নতুন করে শুরু করতে হবে এই নির্দেশনাই দিয়েছি ছেলেদের। চীনকে হারাতে পারলে আগের সব ব্যর্থতা সবাই ভুলে যাবে। আমি আশাবাদী ইনশাআল্লাহ আমরা জিতব।’ গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচের আগে মাহাবুব হারুন সামনে আনছেন চার বছর আগে চীনকে হারানোর পুরনো স্মৃতিও। তাছাড়া সেই ম্যাচের তিন স্কোরার আছেন এখানেও। স্বাভাবিকভাবেই ওয়ার্ল্ড হকি লীগের সেই ম্যাচ থেকে অনুপ্রেরণা পাচ্ছেন জিমি-চয়নদের কোচ। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘২০১৩ সালে ওয়ার্ল্ড হকি রাউন্ড দুইয়ে ভারতে চীনকে হারিয়েছিলাম আমরা। চার বছর পর আবার চীনকে মোকাবেলা করব। দেশের মাটিতে খেলার সময় আগের জয়ের স্মৃতি মানসিকভাবে আমাদের কিছুটা প্রেরণা জোগাবে। ঐ ম্যাচের তিন স্কোরার মামুনুর রহমান চয়ন, মাইনুল ইসলাম কৌশিক ও পুস্কর ক্ষিসা মিমো এই দলেও রয়েছেন। এই ম্যাচে কিছুটা চাপ তো থাকবেই। কারণ আমাদের লক্ষ্য ষষ্ঠ স্থান। এই ম্যাচের ওপর নির্ভর করবে সেটি। সমর্থক, অফিসিয়াল সবার কাছেই চীনের ম্যাচে বাড়তি প্রত্যাশা। ভাল খেলার পরিকল্পনা আমরা সাজিয়েছি। এখন সেটা বাস্তবায়নের পালা। ছেলেদের প্রতি আমার বিশ্বাস আছে চীনের ম্যাচে তারা সেরাটা দিয়েই হকিপ্রেমীদের খুশি করতে পারবে।’
×