ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

মা-ইলিশ শিকারিদের হামলায় দুই মৎস্য কর্মকর্তা আহত

প্রকাশিত: ০৫:১৭, ১৯ অক্টোবর ২০১৭

মা-ইলিশ শিকারিদের হামলায় দুই মৎস্য কর্মকর্তা আহত

স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ ॥ পদ্মা নদীর মুন্সীগঞ্জের লৌহজং অংশে অভিযান চালাতে গিয়ে জেলেদের হামলায় আহত হয়েছেন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তারা। মা ইলিশ শিকার বন্ধে অভিযান পরিচালনা করতে গিয়ে বুধবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে এই হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় জেলেদের হামলায় আহত হন সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা কামরুল হাসান, সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা ইদ্রিস তালুকদার, সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রাসেল মোল্লা জেলেদের হামলায় আহত হয়। লৌহজং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আহতদের চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে। এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে মৎস্য বিভাগের মহাপরিচালক সৈয়দ আরিফ আজাদসহ উর্ধতন কর্মকর্তারা ছুটে আসেন। সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা ইদ্রিস তালুকদার জানান, রাত তিনটার দিকে পদ্মা নদীতে ট্রলার ও স্পিডবোটে করে অভিযান শুরু হয় উপজেলা মৎস্য অফিসের কর্মকর্তা, মাওয়া কোস্টগার্ড ও লৌহজংয়ের পুলিশ সদস্যদের নিয়ে। এ সময় পদ্মা নদীর একটি চরে আমরা ট্রলার থামিয়ে জেলেদের উপস্থিতি টের পেয়ে অভিযান চালনা করা হয়। মা ইলিশসহ ১০-১৫ জন জেলে সেখানে অবস্থান করছিল। মা ইলিশ ও জেলেদের আটক করার প্রস্তুতিকালে আশপাশে থেকে শতাধিক জেলে চড়াও হতে থাকে। এক পর্যায়ে সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার মাথায় আঘাত করে এবং ইট পাটকেল ছুড়তে থাকে। এসময় আমিসহ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রাসেল মোল্লা আহত হয়। এসময় পুলিশ সদস্যরা ফায়ারিং করলে জেলেরা পিছপা হয় এবং আমরা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করি। মানিকগঞ্জ নিজস্ব সংবাদদাতা মানিকগঞ্জ থেকে জানান, যমুনায় অবৈধ ইলিশ শিকারিদের হামলায় সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোকলেসুর রহমান আহত হয়েছেন। বুধবার সকাল ৭টার দিকে ঘটনাটি ঘটে দৌলতপুর উপজেলার বাঁচামারা ইউনিয়নের বাকসাইট্টা এলাকায়। মোকলেসুর রহমানকে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। জেলা মৎস্য কর্মকর্তা নুরতাজুল হক জানান, যমুনা নদীতে অবৈধ মৎস্য শিকারিদের বিরুদ্ধে দুটি ইঞ্জিনচালিত ট্রলার নিয়ে অভিযানে যান সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোকলেসুর রহমান, দৌলতপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা তাসলিমা আক্তার এবং চার অফিস সহকারী। সঙ্গে ছিল একজন এসআইসহ চার পুলিশ সদস্য। সামনে ট্রলারে ছিলেন মোকলেসুর রহমান ও মৎস্য বিভাগের চারজন। পিছনের ট্রলারে ছিল তাসলিমা আক্তারসহ পুলিশ সদস্যরা। বাকসাইট্টা এলাকায় অবৈধভাবে ইলিশ মাছ ধরতে দেখে মোকলেসুর রহমানের ট্রলার জেলেদের ট্রলারকে ধাওয়া করলে মাছ শিকারিরা একটি চরে কাশবনের ভেতর ঢুকে পড়ে। মোকলেসুর রহমানসহ মৎস্য বিভাগের লোকজন চরে নেমে এগিয়ে গেলে অস্ত্রসহ ৩০/৪০ জন তাদের হামলা করতে এগিয়ে আসে। পিছিয়ে আসার সময় মোকলেসুর রহমান পায়ে হামলাকারীদের ধারাল অস্ত্রের আঘত পান।
×