ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

কানিজ ফাতেমা অনিষা

সর্বনাশা থাবা

প্রকাশিত: ০৫:০১, ১৯ অক্টোবর ২০১৭

সর্বনাশা থাবা

গেম-অর্থ খেলা। ছোট শিশু-কিশোররা খেলবে এটাই তো স্বাভাবিক। প্রকৃতির নির্মল আবহাওয়ায় কত শিশুই না খেলছে। কিন্তু এই নির্মল আবহাওয়ার ছায়া ছেড়ে যখন একটি শিশু ইংরেজী নামের ওই গেমে বেশি আসক্ত হয়ে পড়ে তখন তা বৈরী আবহাওয়ায় রূপ নেয়। পৃথিবীতে এখন গেমের আসক্তি রয়েছে অনেক শিশু-কিশোরের মাঝে। কিন্তু কম যাদের রয়েছে তাদের জীবনে দুশ্চিন্তাও কম। গেমে অত্যধিক আসক্তিপূর্ণ ছেলেমেয়েরা জীবনের একটা পর্যায়ে প্রকৃতির ছন্দ হারিয়ে ফেলে। বাঁচতে শুরু করে এক যান্ত্রিক, ঝুঁকিপূর্ণ জীবন নিয়ে। এখানেই কিন্তু শেষ নয়। কিছু ভাল গেম আছে যা শিশুদের সুন্দর একটা বৈচিত্র্যের মধ্যে রাখে। আবার খারাপ গেম আছে যা শিশুদের বিপদের দিকে ঠেলেতো দিচ্ছেই বরং পৃথিবীর মায়া কাটাতেও বাধ্য করছে। সম্প্রতি এমনই এক গেমের কথা শোনা যাচ্ছে যা কিনা ‘ব্লু হোয়েল’ নামে পরিচিত। এই গেমের এডমিনরা নাকি গেমে জয়েন করা শিশু-কিশোরদের আত্মহত্যা করতে বাধ্য করছে। মানে নীল তিমির কবলে পড়ে মর। আমার ছোট্ট বোনটা ক্লাস সেভেনে পড়ে। সে ব্লু হোয়েলের কথা শুনেই আমাকে বলছে- ‘আপু আমাকে একটু নেটে সার্চ দিয়ে দেখাও তো ব্লুু হোয়েল কোথায় পাওয়া যাবে।’ আমি তো অবাক! বললাম-‘তুমি জানো না ওটা খেললে কী হয়?’ আমার বোন বলল-‘হ্যাঁ জানি, তার পরও দেখতে ইচ্ছা করছে।’ এ রকম অনেক শিশু আছে যারা জানা সত্ত্বেও কৌতুহলবশত ঝুঁকিপূর্ণ গেম খেলতে চাইবে। কেউবা গোপনে খেলবেও। অনেকে একটু দেখি দেখি করে এই মরণফাঁদে পা দেবে। আমি আমার বোনকে স্নেহ দিয়ে অনেক ভালভাবে বুঝিয়ে এই গেমের প্রবল থাবার হাত থেকে বাঁচিয়েছি। সকল অভিভাবকের জন্য পরামর্শ শুধু এতটুকুই যে আপনাদের সন্তানদের স্নেহ- ভালবাসা দিয়ে ভালভাবে বুঝিয়ে গেমের প্রবল থাবার হাত থেকে বাঁচান। গেম মানে-খেলা। এই খেলা যেন একটি বাচ্চার জীবনে সুন্দর বৈচিত্র্য নিয়ে আসে, ভয়ঙ্কর ছায়া নয়। মিরপুর, ঢাকা থেকে
×