স্টাফ রিপোর্টার ॥ উচ্চ আদালতের নির্দেশনার পরও ১৩ মুক্তিযোদ্ধাকে নিয়মিত ভাতা না দেয়ায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে অবমাননার রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার ৩৬ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দফতরি কাম প্রহরী পদে নিয়োগ পরীক্ষা বাতিলে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এ ঘটনার ব্যাখ্যা দিতে আশাশুনি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শামসুন নাহারকে ৩১ অক্টোবর তলব করেছেন আদালত। রিড ফার্মার ভেজাল প্যারাসিটামল সিরাপ খেয়ে ২৮ শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় অদক্ষতা ও অযোগ্যতার কারণে বরখাস্তকৃত ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের এক কর্মকর্তা এখনও কিভাবে চাকরিতে আছেন- তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার হাইকোর্টেও সংশ্লিষ্ট বেঞ্চগুলো এ আদেশ প্রদান করেছেন।
উচ্চ আদালতের নির্দেশনার পরও ১৩ মুক্তিযোদ্ধাকে নিয়মিত ভাতা না দেয়ায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে অবমাননার রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এক আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। চার সপ্তাহের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের সচিব, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের মহাপরিচালক ও পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ), মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (আইন) ও উপসচিবকে (অর্থ) রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস ও সহকারী এ্যাটর্নি জেনারেল টাইটাস হিল্লোল রেমা। আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ড. মোঃ ইউনুছ আলী আকন্দ। পরে ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, ২০১৫ সালের ২ সেপ্টেম্বর সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের বয়স সর্বনিম্ন ১৩ বছর নির্ধারণ করে। কিন্তু রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁর ১৩ মুক্তিযোদ্ধার বয়স ১৩ এর নিচে থাকায় তাদের নিয়মিত ভাতা বন্ধ হয়ে যায়। এর মধ্যে তাদের এক আবেদনের পক্ষ থেকে চলতি বছরের ২১ মার্চ হাইকোর্ট তাদের নিয়মিত ভাতা দিতে নির্দেশ দেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত এ আদেশ পালন না করায় ১৩ জন আবার হাইকোর্টে আবেদন করেন।