ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ওয়ার্নারের কাছে এ্যাশেজ মানে যুদ্ধ!

প্রকাশিত: ০৫:৪৪, ১৮ অক্টোবর ২০১৭

ওয়ার্নারের কাছে এ্যাশেজ মানে যুদ্ধ!

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ এ্যাশেজের ইতিহাস টেস্ট ক্রিকেটের সমান দীর্ঘ। কুলীন দুই পরাশক্তি ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার ঐতিহ্যের এ দ্বৈরথকে যুদ্ধের সঙ্গে তুলনা করেছেন ডেভিড ওয়ার্নার। উপমহাদেশে দুটি ব্যর্থ সফরের (বাংলাদেশ ও ভারত) পর এবার ঘরের মাটিতে সেই যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত অসি তারকা ওপেনার। ‘মাঠে নামার পর এ্যাশেজ কিন্তু যুদ্ধ। আপনি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই যুদ্ধে অংশ নেয়ার চেষ্টা করবেন। আমি বিপক্ষের খেলোয়াড়দের চোখের দিকে তাকিয়ে ওদের ঘৃণা করার কথাই ভাবি! জয় ছাড়া আর কোন ভাবনা আমার মধ্যে থাকে না। ভেতরে এই স্ফুলিঙ্গ না থাকলে আপনি ওদের চ্যালেঞ্জ করতে পারবেন না।’ সংবাদ মাধ্যমকে বলেন ওয়ার্নার। ব্রিসবেনে ২২ নবেম্বর শুরু পাঁচ ম্যাচ এ্যাশেজের প্রথম টেস্ট। এ্যাশেজে মাঠে নামার আগে দু-দলের খেলোয়াড়দের কথার লড়াইয়ের ইতিহাসটাও বেশ পুরনো। এবার স্বাগতিক উইলোবাজ ওয়ার্নার সেটাই শুরু করে দিলেন। উপমহাদেশ সফরটা ভাল হয়নি অস্ট্রেলিয়ার। বাংলাদেশে দুই টেস্টের সিরিজ জেতা হয়নি। চট্টগ্রামে জিতলেও হারতে হয়েছে ঢাকায়। বাংলাদেশ থেকে ভারতে গিয়েও সীমিত ওভারের সিরিজে ব্যর্থতার বৃত্তেই আটকে ছিল তারা। হারতে হয়েছে ওয়ানডে সিরিজ। টি২০ সিরিজটা ১-১ ড্র করাটাই যা সান্ত¡না অস্ট্রেলিয়ার। সামনেই এ্যাশেজ। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মর্যাদার লড়াই। উপমহাদেশ থেকে ব্যর্থ হয়ে দেশে ফিরে সেটাতেই পাখির চোখ অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটারদের। ওয়ার্নার একধাপ এগিয়ে রীতিমতো যুদ্ধের ডাকই দিয়ে দিলেন। অস্ট্রেলিয়ায় ২০১৩-১৪ এ্যাশেজেও কথার লড়াইয়ে নেমেছিলেন ওয়ার্নার। সেবার ইংলিশদের ৫-০-তে হারিয়ে আতিথেয়তা দিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। এবারও তেমন কিছুর প্রত্যাশা। তবে প্রতিপক্ষের বিচারে ইংল্যান্ড এখন অনেক শক্তিশালী হলেও অস্ট্রেলিয়া ‘যুদ্ধ যুদ্ধ’ ভাবটা বজায় রাখতেই চায়। ওয়ার্নার মনে করেন, এই সিরিজে ইংলিশদের প্রতি ‘ঘৃণা’ থাকাটা খুব জরুরী। সিরিজটিও তার কাছে যুদ্ধই। ২০১৩-১৪ সালের সেই সিরিজে ব্রিসবেন টেস্টের আগে ইংলিশদের ‘ভয়ার্ত চোখ’ দেখেছিলেন ওয়ার্নার। মিশেল জনসনের আগুনে বোলিংয়ে ম্যাচ জিতেছিলেন অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক। দ্বিতীয় ইনিংসে ইংলিশ ব্যাটসম্যান জোনাথন ট্রটের আউটকে ‘দুর্বল’ ও ‘দৃষ্টিকটু’ বলেছিলেন ওয়ার্নার। পরে অবশ্য ক্ষমা চেয়েছিলেন। এবারও মাঠে মুখ খুলবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। ইংলিশ ক্রিকেটাররা নাকি বুঝবেন, ওয়ার্নার নিজে কতটা ভদ্র (!)। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জিততে হলে অস্ট্রেলীয়রা মরিয়া হয়েই নামেÑ এটা ওয়ার্নারের কথাতেই স্পষ্ট। ঘরের মাটিতে মিচেল স্টার্ক ও প্যাট কামিন্সকে সামলতে জো রুটদের গলদঘর্ম হতে হবে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি, ‘জন্মভূমিতে স্টার্ক-কামিন্স কতটা ভয়ঙ্কর ওরা এবার সেটা হারে হারে টের পাবে। মনে আছে আগেরবার এক মিচেল জনসনকেই সামলতে পারেনি!’ ওয়ার্নার সময়ের অন্যতম সফল ব্যাটসম্যান। ওয়ানডে, টেস্ট কি টি২০Ñ তিন ফরমেটেই দুর্দান্ত ব্যাটিং করছেন। দক্ষিণ আফ্রিকায় ওয়ানডে সিরিজে দল খারাপ করলেও ব্যাট হাতে তিনি নিজে ছিলেন নিজেরই মতো। যদিও সবশেষ ভারত সফরে সুবিধা করতে পারেননি। ঘরের মাটিতে এবার ঐতিহ্যের এ্যাশেজে ইংল্যান্ড বোলারদের কাঁদিয়েই সেটা পুশিয়ে নিতে চান ওয়ার্নার। দেখা যাক, তার এই হুমকির জবাবে ইংলিশদের তরফ কী জবাব আসে!
×