ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪, ১৬ চৈত্র ১৪৩০

এক মাসের মধ্যেই প্রথম ধাপের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি

সরকারী প্রাইমারীতে শীঘ্রই ২৬ হাজারের বেশি শিক্ষক নিয়োগ

প্রকাশিত: ০৫:১৬, ১৮ অক্টোবর ২০১৭

সরকারী প্রাইমারীতে শীঘ্রই ২৬ হাজারের বেশি শিক্ষক নিয়োগ

বিভাষ বাড়ৈ ॥ দেশের সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের শূন্যপদ পূরণে বড় নিয়োগ আসছে। শীঘ্রই ২৬ হাজারেরও বেশি শিক্ষক নিয়োগের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এ নিয়োগ হতে পারে দুই ধাপে। আগামী এক মাসের মধ্যেই প্রথম ধাপে শিক্ষক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেয়া হচ্ছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের কর্মকর্তারা বলছেন, যে ২৬ হাজার বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ হয়েছে তার প্রত্যেকটির জন্য আরও একজন করে সহকারী শিক্ষকের পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে প্রতিটি স্কুলেই একজন করে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে। এদিকে একটি বড় নিয়োগের পরও খালি থাকবে হাজার হাজার শিক্ষকের পদ। জানা গেছে, এই মুহূর্তে দেশের সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে প্রায় ৫৪ হাজার শিক্ষকের পদ খালি রয়েছে। এর মধ্যে ২১ হাজারই প্রধান শিক্ষকের। আর বাকিগুলো সহকারী শিক্ষকের পদ। শিক্ষক নিয়োগের উদ্যোগের কথা জানিয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এফএম মনজুর কাদির জনকণ্ঠকে বলেছেন, নিয়োগের বিষয়টি দেখছে অধিদফতর, তাই তারাই সর্বশেষ অবস্থা ভাল বলতে পারবে। তবে হ্যাঁ শিক্ষক নিয়োগের উদ্যোগ আমাদের আছে। এখন তো মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নিয়োগের একটি উদ্যোগ চলমানই আছে। এর বাইরে নতুন যেসব বেসরকারী প্রতিষ্ঠান সরকারী হয়েছে সেখানেও পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। সেখানে ধাপে ধাপে শিক্ষক নিয়োগ হবে। এজন্য কাজ চলছে। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর শূন্যপদের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা বলেছেন, ইতোমধ্যে জাতীয়করণ হওয়া ২৬ হাজার বিদ্যালয়ের দুটি ধাপে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। তৃতীয় ধাপে শিক্ষকদের গেজেট প্রকাশের কাজও প্রায় শেষ। এ ধাপে বিভিন্ন জেলার ৫৭০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চারজন করে শিক্ষক রয়েছেন। তৃতীয় ধাপের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ইউএনডিপির আওতাভুক্ত তিন পার্বত্য জেলার ৩১০ বিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও। মাধ্যমিকের প্রধান শিক্ষকের শূন্যপদ পূরণের উদ্যোগ দেশের সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোর প্রধান শিক্ষকদের শূন্য পদের চাহিদা পূরণের উদ্যোগ নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ফলে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে প্রতিষ্ঠান চালানোর দিন শেষ হতে যাচ্ছে বলে আশা প্রকাশ করছেন সংশ্লিষ্টরা। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, শিক্ষকরা শুধু রাজধানীসহ ভাল মানের স্কুলগুলোতে বদলির তদ্বির করেন। দূরবর্তী জেলাগুলোতে যেতে আগ্রহী হন না। এ কারণে জেলা শহরে মাধ্যমিক স্কুলে শিক্ষক শূন্য হয়ে পড়ছে। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়েই প্রতিষ্ঠান চলছে। দায়সারাভাবে চলছে এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এসব স্কুলে শিক্ষার মান খারাপ হয়ে যাচ্ছে। তাই দ্রুত এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
×