ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

মাটিতে পড়বে ‘স্বর্গীয় প্রাসাদ’

প্রকাশিত: ০৫:৩৩, ১৭ অক্টোবর ২০১৭

মাটিতে পড়বে ‘স্বর্গীয় প্রাসাদ’

মহাকাশে থাকা একটি গবেষণাগার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পৃথিবীর দিকে ধাবিত হচ্ছে। আর শীঘ্রই এটি ও পৃথিবীর মধ্যে সংঘর্ষ হবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞানী জোনাথন ম্যাকডাওয়েল ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ানকে বলেন, এই চীনা মহাকাশ স্টেশনটি আমাদের দিকে দ্রুত এগিয়ে আসছে আর সামনের কয়েক মাসে এটি ভূ-পৃষ্ঠে আছড়ে পড়বে। এটি খুবই দ্রুত ছুটে আসছে আর এটি এখন থেকে কয়েক মাসের মধ্যে- ২০১৭ সালের শেষ বা ২০১৮ সালের শুরুতে ভূ-পৃষ্ঠে আছড়ে পড়বে। ২০১১ সালে তিয়ানগং-১ নামের এই স্টেশনটি উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। নিজেদের একটি বৈশ্বিক ক্ষমতাধর রাষ্ট্র হিসেবে দেখানোর পরিকল্পনার অংশ হিসেবে মহাকাশ নিয়ে চীনের বড় আশাগুলোর মধ্যে এটি ছিল একটি। দেশটির মহাকাশ সংস্থা এই স্টেশনকে ‘স্বর্গীয় প্রাসাদ’ হিসেবে আখ্যা দেয়। চীন এই স্টেশনে কয়েকটি অভিযানও চালায়, যার মধ্যে কিছু অভিযানে নভোচারীও ছিল। ২০১৬ সালে চীনের মহাকাশ সংস্থা সিএনএসএ’র বিজ্ঞানীরা বলেন, তারা এই গবেষণাগারের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছেন। আর এটি এখন পৃথিবীর দিকে ধাবিত হওয়া শুরু করবে। এরপর স্টেশনটি অদ্ভুত আচরণ করছে বলে জানান বিশেষজ্ঞরা, এরপর কয়েক মাস ধরে এটি নিয়ে কোন তথ্য প্রকাশ করা বন্ধ থাকে। এখন মহাকাশ থেকে ধাবিত হতে থাকা এই ধ্বংসাবশেষের পতন নিয়ে পৃথিবীর মানুষদের ঝুঁকি থাকতে পারে বলেও উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। এখন পর্যন্ত এই গবেষণাগার সাগরে পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ কারণে কেউ এই দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার শঙ্কা কম। কিন্তু তারপরও মানুষ আছে এমন কোন স্থানের কাছাকাছি এসেও দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। প্রকৌশলীরা এর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলায় এটি কোথায় পড়বে তা নিয়ে অনুমান প্রকাশ করা কঠিন। নিচে নেমে আসলে এটি বাতাসের ধাক্কায় উড়ে চলে যেতে পারে, এমনকি বাতাসের ছোট একটি ধাক্কা এটিকে এক মহাদেশ থেকে অন্য মহাদেশে নিয়ে যেতে পারে। নিচে পড়ার পথে এর অধিকাংশ ধ্বংসাবশেষই পৃথিবীর বায়ুম-লে পুড়ে যাবে। কিন্তু শত কেজির মতো ভরের অংশগুলো আকাশ থেকে নিচে পড়বে, বলেন ম্যাকডাওয়েল। অতীতে মহাকাশের এসব আবর্জনা পড়ে মানুষের আঘাত পাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।-গার্ডিয়ান অনলাইন
×