ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

পঞ্চম স্থান নির্ধারণী ম্যাচে চীনের প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ

সুপার ফোরের লাইনআপ চূড়ান্ত

প্রকাশিত: ০৫:৩১, ১৭ অক্টোবর ২০১৭

সুপার ফোরের লাইনআপ চূড়ান্ত

রুমেল খান ॥ এশিয়া কাপ হকির দশম আসরের ‘সুপার ফোর’-এর লাইনআপ চূড়ান্ত হয়ে গেছে। তবে এই পর্বে খেলতে পারবে না স্বাগতিক বাংলাদেশ। তাদের খেলতে হবে পঞ্চম থেকে অষ্টম স্থান নির্ধারণী ম্যাচে। সোমবার শেষ হয়েছে এই আসরের গ্রুপ পর্যায়ের খেলা। মওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়ামে এদিন অনুষ্ঠিত হয় ‘বি’ গ্রুপের দুটি ম্যাচ। দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচে চীনকে ৪-১ গোলে হারায় দক্ষিণ কোরিয়া। এর ফলে গ্রুপ রানার্সআপ হওয়ার পাশাপাশি ‘সুপার ফোর’-এও নাম লেখানো নিশ্চিত করে বিশ্ব হকির ত্রয়োদশ র‌্যাঙ্কিংধারীরা। পক্ষান্তরে পয়েন্ট টেবিলে চার দলের মধ্যে তৃতীয় হওয়ায় সুপার ফোরে খেলার স্বপ্ন ধূলিসাত হয় চীনের। সুপার ফোরের লাইনআপ হলো : মালয়েশিয়া, পাকিস্তান, ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়া। প্রথম দিনের সিডিউল হলো : মালয়েশিয়া বনাম পাকিস্তান (১৮ অক্টোবর, বিকেল ৩টায়), ভারত বনাম দক্ষিণ কোরিয়া (১৮ অক্টোবর, বিকেল সাড়ে ৫টায়)। আর পঞ্চম থেকে অষ্টম স্থান নির্ধারণী ম্যাচে খেলবে চার দল। তারা হলো বাংলাদেশ, ওমান, চীন ও জাপান। বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ চীনের বিরুদ্ধে (পঞ্চম স্থান নির্ধারণী ম্যাচ) আগামী ১৯ অক্টোবর, রাত ৮টায়। যদি ওই ম্যাচে বাংলাদেশ জেতে, তাহলে তাদের খেলতে হবে পঞ্চম স্থান অধিকার করার জন্য আরেকটি ম্যাচে। আর চীনের কাছে হারলে তাদের খেলতে হবে সপ্তম স্থানের জন্য। এদিকে সোমবার দিনের প্রথম ম্যাচে মালয়েশিয়া ওমানকে ৭-১ গোলে হারায়। দক্ষিণ কোরিয়া এই আসরের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন হলেও র‌্যাঙ্কিংয়ে তাদের চেয়ে একধাপ এগিয়ে মালয়েশিয়া (১২, কোরিয়া ১৩)। গত শনিবারের ম্যাচে মালয়েশিয়া দক্ষিণ কোরিয়াকে হারিয়ে গ্রুপ ‘বি’ থেকে সবার আগে সুপার ফোরে নাম লেখায়। সোমবার তাদের লক্ষ্য ছিল ড্র করে বা জিতে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়া। ড্র নয়, প্রতিপক্ষ ওমানকে নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলায় মেতে ওঠে অনায়াসেই জয় কুড়িয়ে নেয় তারা। ৩ ম্যাচের প্রতিটিতেই জিতে ৯ পয়েন্ট নিয়ে ‘বি’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হয় মালয়েশিয়া। পক্ষান্তরে সমান ম্যাচের সবগুলোতেই হেরে ওমানকে এখন খেলতে হবে পঞ্চম থেকে অষ্টম স্থান নির্ধারণী ম্যাচে। তারা এর আগে নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচে হারে যথাক্রমে হারে দক্ষিণ কোরিয়া ৭-২ এবং চীনের কাছে ২-১ গোলে। এছাড়া মালয়েশিয়া এর আগে নিজেদের প্রথম ম্যাচে চীনকে হারিয়েছিল ৭-১ গোলে। মজার ব্যাপারÑ মালয়েশিয়া নিজেদের প্রথম ম্যাচে যে ব্যবধানে জিতেছিল, শেষ গ্রুপ ম্যাচেও সেই একই ব্যবধানে জেতে। ‘এ’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন ভারতের মতো তারাও চলতি টুর্নামেন্টে এখনও কোন ম্যাচে হারের স্বাদ পায়নি তারা। তবে মোট দলীয় গোল করার ক্ষেত্রে ভারতকে টপকে গেছে তারা। ভারত যেখানে করেছে ১৫ গোল, সেখানে মালয়েশিয়ার গোল ১৬। মালয়েশিয়ার ফয়জাল সারি ম্যাচে জোড়া গোল করেন। এর মাধ্যমে তিনি এককভাবে চলতি আসরের সর্বোচ্চ গোলদাতায় পরিণত হলেন (৬টি)। টপকে গেলেন ৫ গোল করা ভারতের হারমানপ্রীত সিংকে। এখন দেখার বিষয়।
×