ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মারুফ রায়হান

ঢাকার দিনরাত

প্রকাশিত: ০৪:৩৭, ১৭ অক্টোবর ২০১৭

ঢাকার দিনরাত

ঢাকা মহানগর এখন আন্তর্জাতিক একটি তালিকার তলানিতে এসে ঠেকেছে। গত শুক্রবার ছিল আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস। আর সেদিনই যুক্তরাজ্যের ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (ইআইইউ) বরাত দিয়ে খবর বেরুলো নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিবেচনায় ঢাকা এখন বিশ্বের সবচাইতে নিচে অবস্থান করছে। এর সরল অর্থ হলো বিশ্বে সবচেয়ে বেশি নিরাপত্তা ঝুঁকিতে রয়েছে ঢাকা। স্বাস্থ্য, অবকাঠামো, ব্যক্তিগত নিরাপত্তাসহ ৪৯টি সূচক বিশ্লেষণ করে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে ওই সংস্থা। দুই মাস আগে একই সংস্থা বলেছিল বিশ্বের ১৪০টি শহরের মধ্যে বাসযোগ্য শহর হিসেবে ঢাকার অবস্থান ১৩৭তম। বৈশ্বিক বসবাসযোগ্যতা শীর্ষক এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছিল। শহরগুলোর স্থিতিশীলতা, স্বাস্থ্যসেবা, সংস্কৃতি ও পরিবেশ, শিক্ষা এবং অবকাঠামোসহ ৩০টি বিষয় বিবেচনায় নিয়ে পরিচালিত এক জরিপের ভিত্তিতে বাসযোগ্যতার ওই তালিকা তৈরি করা হয়েছিল। শব্দদূষণের কবল থেকে রেহাই পেতে সিগন্যালে লাল বাতি দেখে থেমে যাওয়া বিবিধ গতির যানবাহন রেসের ঘোড়ার মতোই ছুট লাগায় সবুজ সংকেত পেয়ে। রীতিমতো গ-ারের মতো তেড়েফুঁড়ে আসতে থাকে মোটরসাইকেলগুলো। হর্ন বাজানোর কোন প্রয়োজন নেই। তবু প্রতিটি মোটর সাইকেলই হর্ন বাজাতে বাজাতে ছোটে। হাইড্রলিক হর্ন নিষিদ্ধ, তাহলে তাদের হর্নগুলো কী? আবার আবাসিক এলাকার ভেতরে গলিপথ দিয়ে আপনি হাঁটছেন। পেছন থেকে অযথাই প্রাইভেট কার তীব্র স্বরে হর্ন বাজাল। বাঁয়ে বা ডানে মোড় নেয়ার সময় পথচারীকে সতর্ক করার জন্য মৃদু হর্ন বাজানো যেতে পারে। অথচ পথচারীকে চমকে দিয়ে তার হৃদপি-কে যাতনা না দিয়ে তার শান্তি নেই! শব্দদূষণ হলো নীরব ঘাতক। যা শারীরিক ও মানসিক উভয় ধরনের ক্ষতি করে মানুষের। অথচ শব্দদূষণের প্রতিকারে তেমন কার্যকর উদ্যোগ চোখে পড়ে না। মাত্র ক’দিন আগে ‘আমরা হর্ন বাজাই না বন্ধু’ নামের একটি অনলাইনভিত্তিক সংগঠন রাস্তায় নেমেছে। তাদের মূলমন্ত্র ‘হর্নমুক্ত বাংলাদেশ, আরও সুস্থ বাংলাদেশ’। দুটো স্টিকার দেখলাম সংগঠনটির। তাতে লেখাÑ ‘আপনার দেওয়া হর্নে, ব্যথা পাই দুই কর্ণে’, ‘ভালো ড্রাইভার হর্ন দেয় না, বাপ! হর্নে দিস না চাপ’। কিছুটা রসময় বটে এমন মিহি আবেদন। তবে উপেক্ষা করার মতো নয়। সংগঠনটির বক্তব্য: ‘মানুষ সাধারণত উপদেশ পছন্দ করে না। তাই আমরা কাউকে জোর করে হর্ন বাজানো বন্ধ করার কথা বলি না, শুধু বিনীতভাবে মানুষের সামনে উপস্থাপন করতে চাই, ‘আমি হর্ন বাজাই না বন্ধু’। হর্নের ক্ষতিকর স্বাস্থ্যঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন করতে চাই। মানুষ যখন নিজে বুঝবে এটা ক্ষতিকর, তখন সে নিজেই সিদ্ধান্ত নেবে।’ শুধু কর্মসূচী নয়, তাঁরা সচেতন করতে নানা ধরনের উদ্যোগও নিয়েছেন। তৈরি করেছেন বাড়ির মূল ফটকে ঝুলিয়ে রাখার সচেতনতামূলক নোটিস। চালক বাড়ির ফটকে এসেই অনবরত হর্ন দিতে থাকেন, যেন দ্রুত খুলে দেওয়া হয়। তাঁরা বলছেন, ‘খুব অসুস্থ কিংবা জরুরী না হলে, গাড়ির কেন হর্ন বাজাবেন?’ সমাধানও বাতলে দিয়েছেন, প্রয়োজনে একটু সময় অপেক্ষা করতে, সময় গড়ালে নিজে নেমে গেট খুলতে কিংবা প্রহরীকে মুঠোফোনে ডাকতে। এই নোটিসের অন্য এক উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানালেন এক কর্তাব্যক্তি, ‘এটা কতটা কাজে দেবে জানি না, তবে ওই বাসার শিশুরা নোটিস দেখে কিন্তু ভাববে, সচেতন হবে। আমরা শিশুদের মাথাতেও এটা ঢুকিয়ে দিতে চাই।’ শব্দদূষণ রোধে এ জাতীয় কার্যক্রমকে সমর্থন ও সহযোগিতা প্রদানের বিষয়টি সচেতন নাগরিকরা নিশ্চয়ই এড়িয়ে যেতে পারেন না। সকালে কান না পাতলেও... ঢাকার আবাসিক এলাকার সকাল হয় হরেক রকম হকার আর ফেরিওয়ালার হাঁকডাকে। এসব ডাকাডাকি ঘুমকাতুরেদের বিরক্তি ঘটায়, অসুস্থ ব্যক্তিদের কানে কর্কশ লাগে; পরিবারের শুদ্ধতাবাদী সদস্যের কাছে চিৎকার-চেঁচামেচি বলে মনে হয়। তবে গৃহকর্ত্রী, গৃহকর্মী ও রাঁধুনীদের জন্য এসব বিকিকিনির আহ্বান যে নিত্যপ্রয়োজনীয়- তা স্বীকার করতেই হবে। তারা কান পেতে শোনেন বা বলতে পারি কান খোলা রাখেন। গ্রাম ও শহুরে নাগরিকদের ভেতর স্পষ্ট দু’ধরনের আবেদন ছড়ায় সকাল বেলার ওইসব আগন্তুক; গ্রামের পাড়ায় পাড়ায় সবজিওয়ালাদের গাড়ি আসে না। ঝাঁকি ভর্তি মাছ মাথায় করে ফেরি করতে আসে না ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী কিংবা একনিষ্ঠ নিকেরি- তাই গ্রামীণ যেসব অধিবাসী ইট-সিমেন্ট-ধুলো-ধোঁয়ার শহর ঢাকায় বসতি গড়েন তাদের কাছে ধীরে ধীরে সহনীয় হয়ে ওঠে হকার ফেরিওয়ালারা। আর অভিজাত শহুরেরা, যারা সামান্য টয়লেট পেপার কেনার জন্যও অভিজাত সুপার শপে ছোটেন, তাদের কাছে এরা এক মিশ্র অনুভূতির নাম। উদাসীন দু’চোখে তাদের উপস্থিতি উপেক্ষা করতে চাইলেও ঠেকায় পড়ে জ্যান্ত জিয়ল বা টাটকা টমেটো কিনতেই হয়। ঢাকা শহর যে এক অর্থে ‘অভিবাসীদের শহর’ তাতে কোন সন্দেহ নেই। ছিন্নমূল, নদী ভাঙ্গনের শিকার ও ভূমিহীন কৃষক এবং ক্ষেতমজুর বা মৎস্য চাষী হয়েও ক্রমশ কর্মহীন- এমন লোকের সংখ্যাই বেশি? নাকি ঢাকার আগন্তুক হিসেবে তারাই সংখ্যাগুরু যারা চাকরি সূত্রে কিংবা চাকরি সন্ধানে এই নগরের দ্বারস্থ হয়েছে? শিক্ষা গ্রহণের উদ্দেশ্যে ঢাকায় এসে শিক্ষা সমাপনের পর এখানেই থিঁতু হয়ে যাওয়া মানুষও তো লাখ লাখ! ঢাকায় স্বকর্মসংস্থানের সংগ্রামে নিয়োজিত ব্যক্তিরা ধীরে ধীরে কত বিচিত্র পেশাতেই না জড়িয়েছে। ঢাকার আদি বাসিন্দারা আছেন, আছে তাদের নিজস্বতাখচিত ভাষা। বরং গত অর্ধশতকের অতি নগরায়ন ও শহর সম্প্রসারণের ফলে তারাই হয়ে উঠেছেন সংখ্যালঘু। দেশের প্রতিটি জেলার মানুষ এই ঢাকাকে নিজের শহর করে নিয়েছে। বাংলাদেশ এমনই একটি দেশ তার প্রতিটি জেলার মানুষের রয়েছে নিজস্ব আঞ্চলিক ভাষা, আর ভাষা থাকলে তার উচ্চারণ-বাচন স্বরভঙ্গিও পৃথক হবে। নগরের অলিগলির হকার-ফেরিওয়ালাদের খরিদ্দার শ্রুতি আকর্ষণকারী বয়ান থেকে তাদের শেকড় চিনে নেয়া এমন কঠিন কিছু নয়। এসব থেকে অবশ্য ব্যক্তির বৈশিষ্ট্যও প্রকাশিত হতে পারে। আমাদের গলিতে যে গুটিকতক মাছ বিক্রেতা আসেন তাদের একজন ধরে ধরে প্রতিটি মাছের নাম বলেন- যেমন ওই পাঙ্গাস মাছ, ওই কাতল মাছ, ওই চিংড়ি মাছ... গলার স্বর শুনে ভেবেছিলাম অল্পবয়সী কোন তরুণ হবে। পরে দেখি দাড়িওয়ালা এক বৃদ্ধ। তার কাঁধের দু’দিকে বৃত্তাকার বিরাট ডালার ভারে তার উচ্চতা ২৫ ভাগ হ্রাস পেয়েছে। মুরগি বিক্রেতারা সব কোথা গেল! এখন তাদের প্রায় দেখাই যায় না। বরং বাতিল ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রী সংগ্রহকারীদের সংখ্যা বাড়ছে। তবে গলির বাদশা হয়েই সবজি বিক্রেতারা সারাটা সকাল এ মাথা ও মাথাজুড়ে তাদেরই দাপট। টাকার দাম যে পড়ে যাচ্ছে তার ধারাবাহিক সাক্ষী তো এরাই। এক শ’ টাকার নোটে যে সবজি মেলে তাতে ছোট্ট সংসারের দু’বেলার চাহিদা মেটানো দায়। সে যাক, সবজির ভ্রাম্যমাণ দোকান ঘিরে মহিলাদের আড্ডা জমে ওঠে। শুধু নারী-চিত্রকর শুক্রবার শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে যেন নারী শিল্পীদের মেলা বসেছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের (অধুনা চারুকলা অনুষদ) ১৯৮৯ সালে শিক্ষা জীবন শুরু করা নারী শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘কালারস’। শিল্পকলা একাডেমির সঙ্গে যৌথ আয়োজনে ‘কালারস’-এর তৃতীয় প্রর্দশনী শুক্রবার সকালে শিল্পকলা একাডেমির জাতিয় চিত্রশালা গ্যালারি-২ এ উদ্বোধন হয়। পক্ষকালব্যাপী প্রদর্শনীটি উদ্বোধন করেন শিল্পী রফিকুন নবী। প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত উন্মুক্ত থাকছে প্রদর্শনী। এই ‘কালারস’ দলের বেশিরভাগ শিল্পী পেশা হিসেবে শিল্পচর্চার সঙ্গে যুক্ত নন। প্রাণের তাগিদেই ছবি আঁকেন। ফলে সারা বছর যে কয়টি ছবি আঁকা সম্ভব হয় সেখান থেকে দু-তিনটি দর্শককে দেখানোর আকাক্সক্ষা কাজ করে থাকে। এ ধরনের দলবদ্ধ প্রদর্শনীর ভেতর দিয়ে হলেও নারী-শিল্পীরা নতুন কিছু করার প্রেরণাটুকু পান। কালারস দেশের শিল্পকলায় নতুন রঙ যুক্ত করুক এই শুভকামনা জানাই। প্রদর্শনীতে যে ১৩ জন শিল্পী অংশ নিচ্ছেন তারা হলেন: ফারহানা আফরোজ বাপ্পী, ফারজানা ইসলাম মিল্কী, কানিজ সোহানি ইসলাম, মনিদীপা দাশগুপ্ত, মুক্তি ভৌমিক, মর্জিয়া বেগম, মনিরা সুলতানা মুক্তা, শায়লা আখতার, নিশাত চৌধুরী জুঁই, রেহানা ইয়াসমিন শীলা, রেবেকা সুলতানা, রিফাত জাহান কান্তা, সুকন্যা আইন। সর্বনাশা খেলা হঠাৎ করেই অনলাইনভিত্তিক গেম ‘ব্লু হোয়েল’ আলোচনায় চলে এসেছে। এই গেম খেলে আত্মহত্যা না করলেও এখন ঢাকায় আত্মহননের একাধিক ঘটনার পেছনে এই সর্বনাশা খেলাকেই দায়ী করার প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাতে সেন্ট্রাল রোডের বাসায় নিজের পড়ার কক্ষে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় অপূর্বা বর্মণ স্বর্ণা (১৩) নামে এক শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সে হলিক্রস স্কুলের অষ্টম শ্রেণীর মেধাবী শিক্ষার্থী ছিল। মিডিয়ায় সন্দেহ প্রকাশ করা হয় তার মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে। মেয়েটি নাকি ঢুকে পড়েছিল ইন্টারনেটভিত্তিক ডেথ গেম ব্লু হোয়েলে। তার লাশের পাশ থেকে (গেম কিউরেটরের নির্দেশ মতো লিখে যাওয়া?) একটি চিরকুটও উদ্ধার করা হয়। তা এখন পুলিশের হাতে। তাতে বড় করে লেখা, আমার আত্মহত্যার জন্য কেউ দায়ী নয়। লেখা শেষে গেমসের নির্দেশনা মতো একটি হাসির চিহ্নও নাকি আঁকা। শুক্রবার রাত ১০টার দিকে পুরান ঢাকার সদরঘাটের একটি বহুতল মার্কেটের ছাদ থেকে পড়ে রাকিবুল হাসান নামে এক তরুণের মৃত্যু হয়। লাশ উদ্ধারের সময় পুলিশ রাকিবের পকেটে দুটি চিরকুট পায়। একটিতে লেখা ছিলÑ জ+ঢ=১, মানি (মানে) একজন। আমার মিতুর (মৃত্যুর) জন্য কেই (কেউ) দাই (দায়ী) না। অতেব (অতএব) জুতি (যদি) কওকে (কাউ) দাই (দায়ী) করানে (করানো) হই (হয়)। তাহলে তার বিচার আল্লাহতালা (আল্লাহ) করবে।’ পুলিশের ধারণা, রাকিবুল আত্মহত্যা করেছে। অথচ স্থানীয়রা তার ছবি তুলে ও ভিডিও করে। অনেকেই সেগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ছেড়ে দেয়। কথা হচ্ছে, যে তরুণ শুদ্ধভাবে বাংলা ভাষাটাও জানে না তার পক্ষে ইংরেজি ভাষা অনুসরণ করে গেম খেলা কতখানি বাস্তবসম্মত? তবে ঢাকায় সন্দেহাতীতভাবে ওই সর্বনাশা খেলার শিকার এক নারীর দেখা পাওয়া গেছে সাভারের একটি হাসপাতালে। যিনি শ্যামলিতে চাকরি করেন। ত্রিশটিরও বেশি ধাপ অতিক্রম করেছিলেন তিনি খেলায় (তার নাম লিখছি না) এবং ফাঁদ থেকে মুক্তি পেতে হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ শুরু করেন। দুঃখজনক হলো অতি উৎসাহী মানুষের কৌতূহলী ভিড় হয়ে যায় হাসপাতালে। ফলে হাসপাতাল ত্যাগে তিনি বাধ্য হন। মারণখেলাকে মোকাবেলা করতে হলে সাধারণ নাগরিকদের সহমর্মী ভূমিকা জরুরি। ডিম দিবসে ঘোড়ার ডিম ডিম দিবসে প্রতিটি ডিম মাত্র তিন টাকায় বিক্রির আগাম ঘোষণা দেয়া হয়েছিল বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিলের পক্ষ থেকে। সহায়তায় ছিল সরকারের প্রাণীসম্পদ অধিদফতর। সস্তায় ডিম কেনার উদ্দেশে বিক্রয়স্থলে সকাল থেকেই হাজির হতে থাকে হাজার হাজার নারী-পুরুষ। একটি ডিমের বাজারমূল্য ৮ থেকে ৯ টাকা, আর সুযোগ এসেছিল মাত্র ৩ টাকায় কেনার। একসঙ্গে ৯০ টি পর্যন্ত কেনার সুযোগ। সে হিসাবে ৫০০ টাকার একখানা নোট বাঁচাতে পারতো হিসেবী সংসারী ক্রেতা। অথচ আন্ডা কিনতে যেয়ে মানুষ ডান্ডার বাড়ি খেয়েছে। শেষমেশ আয়োজনটি পন্ড হয়েছে। দেখা যাচ্ছে সস্তায় মুরগির ডিম কিনতে গিয়ে ঢাকাবাসী পেলেন ঘোড়ার ডিম! ১৫ অক্টোবর ২০১৭ [email protected]
×