ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

শেরপুরে হত্যা মামলায় দম্পতিসহ ৩ জনের যাবজ্জীবন

প্রকাশিত: ০৬:৩৩, ১৬ অক্টোবর ২০১৭

শেরপুরে হত্যা মামলায় দম্পতিসহ ৩ জনের যাবজ্জীবন

নিজস্ব সংবাদদাতা, শেরপুর, ১৫ অক্টোবর ॥ শেরপুরে চাঞ্চল্যকর রাসেল হত্যা মামলায় স্বামী-স্ত্রীসহ এক পরিবারের ৩ জনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদ- দিয়েছে আদালত। রবিবার বিকেলে আদালতে ওই রায় ঘোষণা করেন জেলা ও দায়রা জজ কিরণ শংকর হালদার। দ-িতরা হচ্ছে শ্রীবরদী উপজেলার রুপারপাড়া গ্রামের ইমান আলী, তার ছোট ভাই হোসাইন মিয়া ও হোসাইনের স্ত্রী আজেদা খাতুন। একই মামলায় আদালত একই এলাকার এমরান ও হাবিবুল্লাহকে ১০ বছর করে এবং ফেরদৌসকে ১ বছরের সশ্রম কারাদ- প্রদান করে। এদের মধ্যে আজেদা খাতুন পলাতক রয়েছে। অন্যদিকে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ওই মামলার অপর ৫ আসামিকে বেকুসুল খালাসের আদেশ দেন। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ৪ এপ্রিল বিকেলে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে শ্রীবরদী উপজেলার রুপারপাড়া গ্রামের ইমান আলী ও তাদের লোকজন স্থানীয় কৃষক মফিল উদ্দিনের বসত বাড়িতে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। তাদের বাধা দিতে গিয়ে মফিল উদ্দিন, তার ছেলে রাসেল মিয়া ও মেয়ে নূরজাহান গুরতর আহত হয়। দুই দিন পর ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় রাসেল মিয়া মারা গেলে মামলাটি হত্যা মামলায় রূপ নেয়। সুন্দরগঞ্জে ৩ জন নিজস্ব সংবাদদাতা গাইবান্ধা থেকে জনান, সুন্দরগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ শ্রীপুর গ্রামে ছোট বাচ্চা প্রস্রাব করাকে কেন্দ্র করে পারিবারিক দ্বন্দ্বে সাদেকুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তিকে হত্যার দায়ে ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। রবিবার বিকেলে জেলা ও দায়রা জজ রাশেদা সুলতানা ওই রায় প্রদান করেন। জানা গেছে, ২০১২ সালের ৬ মার্চ বাড়ির সামনে রেখে দেয়া শুকনো পাতায় ছোট বাচ্চা প্রস্রাব করাকে কেন্দ্র করে পারিবারিক দ্বন্দ্বে দক্ষিণ শ্রীপুর গ্রামের খাজা মিয়ার ছেলে সাদেকুল ইসলামকে পিটিয়ে আহত করে প্রতিপক্ষ বাচ্চু মিয়া, ছাইদার রহমান ও নাজমা বেগম। পরবর্তীতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৮ মার্চ রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সাদেকুল মারা যায়। সাক্ষ্য প্রমাণ এবং যুক্তিতর্ক গ্রহণ শেষে একই এলাকার আলিম উদ্দিনের ছেলে বাচ্চু মিয়া, ছাইদার রহমান ও বাচ্চু মিয়ার স্ত্রী নাজমা বেগমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ প্রদান করেন জেলা ও দায়রা জজ রাশেদা সুলতানা।
×