ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

পটুয়াখালী-ঢাকা লঞ্চ চলাচলে রোটেশন ॥ যাত্রী ভোগান্তি

প্রকাশিত: ০৬:২৬, ১৬ অক্টোবর ২০১৭

পটুয়াখালী-ঢাকা লঞ্চ চলাচলে রোটেশন ॥ যাত্রী ভোগান্তি

নিজস্ব সংবাদদাতা, পটুয়াখালী, ১৫ অক্টোবর ॥ পটুয়াখালী-ঢাকা নৌপথে রোটেশন পদ্ধতিতে যাত্রীবাহী লঞ্চ চালাচল শুরু করেছে। প্রতিদিন অন্তত চারটি করে লঞ্চ চলাচল করার কথা থাকলেও এখন চলছে দুটি করে। হঠাৎ করে ১ অক্টোবর থেকে এই রোটেশন পদ্ধতি চালু হওয়ায় ভোগান্তির শিকার হচ্ছে কয়েক হাজার যাত্রী। জানা গেছে, পটুয়াখালী-ঢাকা নদীপথে মোট নয়টি লঞ্চ চলাচলের অনুমতি রয়েছে। অর্থাৎ প্রতিদিন নয়টি লঞ্চ ঢাকা থেকে পটুয়াখালী এবং পটুয়াখালী থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার কথা। সেক্ষেত্রে এত দিন চারটি করে এবং একদিন পাঁচটি করে মোট নয়টি লঞ্চ এই নদীপথে চলাচল করে আসছিল। কিন্তু ১ অক্টোবর থেকে পটুয়াখালী-ঢাকা নদীপথে পর্যায়ক্রমে দুটি করে মোট চারটি লঞ্চ চলাচল করতে শুরু করেছে। ফলে এই পথে চলাচলকারী যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। ঢাকার যাত্রী আবুল হোসেন মিয়া জানান তিনি জানতেন না যে দুটো মাত্র লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। তিনি এসে কোন লঞ্চেই কেবিন সংগ্রহ করতে পারেননি। তাই বাধ্য হয়ে কষ্ট করে নিচে ঠাসাঠাসি করে ঢাকা যেতে হবে তাকে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই লঞ্চ দুটির একাধিক কর্মচারী জানান, যাত্রীর সংখ্যা কমে যাওয়ায় লঞ্চ চালাতে গিয়ে মালিকদের লোকসান হচ্ছিল। তাই পটুয়াখালী-ঢাকা নদীপথে চলাচলকারী যাত্রীবাহী লঞ্চের মালিকরা রোটেশন পদ্ধতির মাধ্যমে দুটি করে মোট চারটি লঞ্চ চালানোর সিদ্ধান্ত নেন। এ প্রসঙ্গে পটুয়াখালী নদী বন্দরের দায়িত্বে থাকা পরিবহন পরিদর্শক মাহাতাব উদ্দিন শেখ বলেন, রোটেশন পদ্ধতিতে লঞ্চ চলাচলের বিষয়টি মালিক পক্ষ থেকে জানানো হয়নি। হঠাৎ ১ অক্টোবর থেকে এই ব্যবস্থা। লঞ্চের সংখ্যা কমিয়ে দিলে যাত্রী ভোগান্তি তো বাড়বেই। লঞ্চ মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন (যা-প) সংস্থার জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি বদিউজ্জামান বাদল বলেন, নদীপথে চলাচলে যাত্রীদের যেন কোন ধরনের অসুবিধা না হয় বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হবে।
×