ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

যুদ্ধাপরাধী বিচার

সাক্ষী হাজির করতে সময় চাওয়ায় সতর্ক করল ট্রাইব্যুনাল

প্রকাশিত: ০৫:২২, ১৬ অক্টোবর ২০১৭

সাক্ষী হাজির করতে সময় চাওয়ায় সতর্ক করল ট্রাইব্যুনাল

স্টাফ রিপোর্টার ॥ একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে করা মামলা পরিচালনায় সময় চাওয়ার বিষয়ে সতর্ক করেছে ট্রাইব্যুনাল। এখন থেকে প্রসিকিউশনকে সাক্ষী হাজির করার জন্য আর সময় না চাওয়ার আহ্বান করা হয়েছে। এ সময় আদালত বলেন, ইতোপূর্বে আমরা অনেক সময় মঞ্জুর করেছি, এখন থেকে আর সময় চাওয়া যাবে না। নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার ছয়জনের বিরুদ্ধে রবিবার সাক্ষী হাজিরে সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মোঃ শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ নির্দেশনা দেয়। আদালতে আজ রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর মোখলেসুর রহমান বাদল ,সাবিনা ইয়াসমিন খান মুন্নি ও প্রসিকিউটর জাহিদ ইমাম। পরে মোখলেসুর রহমান বলেন, নেত্রকোনার মজিদসহ ছয়জনের মামলায় ৬ নম্বর সাক্ষী হাজিরের জন্য সময় চেয়েছিলাম। কারণ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান মারা যাওয়ার পর অনেক দিন আদালত বন্ধ ছিল। এরপর ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠিত হওয়ার পর গত বৃহস্পতিবার আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এ ছাড়া এ মামলায় ইতোপূর্বে পাঁচ সাক্ষীর জবানবন্দী শেষ হয়েছিল। এখন সাক্ষীরা নিজ এলাকায় কৃষিকাজসহ বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত । তারা আদালতে আসার জন্য প্রস্তুত ছিলেন না। তাই সার্বিক প্রস্তুতির জন্য সময় চেয়েছিলাম। আদালত এ মামলায় পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ১ নবেম্বর দিন ধার্য করেছেন। তিনি বলেন, এ সময় আদালত আমাকে এখন থেকে সব মামলায় সাক্ষী হাজিরের বিষয়ে প্রসিকিউশন যেন কোন ধরনের সময় আবেদন না করে, সেটি সবাইকে (প্রসিকিউটর) জানিয়ে দিতে বলেছেন। এর আগে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগের এ মামলায় নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার ছয়জনের বিরুদ্ধে ১৯ এপ্রিল অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন। গত বছরের ২২ মে এদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করেছিল প্রসিকিউশন। এ মামলার আসামিরা হলেন- শেখ মোঃ আব্দুল মজিদ ওরফে মজিদ মওলানা (৬৬), মোঃ আব্দুল খালেক তালুকদার (৬৭), মো. কবির খান (৭০), আব্দুর রহমান (৭০), আব্দুস সালাম বেগ (৬৮) ও নুরউদ্দিন ওরফে রদ্দিন (৭০)। ছয় আসামির মধ্যে গত বছরের ১২ আগস্ট গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছেন আব্দুর রহমান। বাকি পাঁচজন পলাতক। তাদের বিরুদ্ধে হত্যা-গণহত্যা, অপহরণ, নির্যাতন, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ, ধর্ষণসহ মানবতাবিরোধী সাতটি অভিযোগ আনা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে আটজন নিরীহ মানুষকে অপহরণের পর হত্যা, তিনটি বাড়ির মালামাল লুট, আটটি ঘরে অগ্নিসংযোগ ও একজনকে ধর্ষণের অভিযোগ।
×