ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সিঙ্গাপুরে জেলখাটা জঙ্গী দৌলত ও সোহেল র‌্যাবের হাতে আটক

প্রকাশিত: ০৫:২০, ১৬ অক্টোবর ২০১৭

সিঙ্গাপুরে জেলখাটা জঙ্গী দৌলত ও সোহেল র‌্যাবের হাতে আটক

স্টাফ রিপোর্টার ॥ শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে গিয়ে সিঙ্গাপুরে গিয়ে জঙ্গীবাদে জড়িয়ে পড়ার পর সে দেশের পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছিল তারা দু’জন। দেড় বছর সেখানে কারাভোগের পর তাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠায় দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। দেশে ফিরে আবারও জঙ্গীবাদে সংগঠিত হওয়ার চেষ্টাকালে ওই দুই ‘জঙ্গী’কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ান (র‌্যাব)। গ্রেফতার হওয়া দুই যুবকের নাম দৌলত জামান ওরফে মোয়াজ আল বাঙালি (৩৫) ও সোহেল হাওলাদার ওরফে বেলাল হাফসী আল বাঙালি (২৭)। তাদের কাছ থেকে দু’টি পাসপোর্ট, নয়টি উগ্রবাদী বই, চারটি মোবাইল ফোন এবং সাতটি মেমোরি কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে। র‌্যাব-৩ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এমরানুল হাসান বলেন- দৌলত ২০০৪ সালে এবং সোহেল ২০০৯ সালে শ্রমিক হিসেবে সিঙ্গাপুর গিয়েছিল। কিন্তু ’১৫ সালে তারা মিজানুর রহমান নামে এক ব্যক্তির মাধ্যমে জঙ্গীবাদে জড়িয়ে পড়ে। প্রবাসে তারা সংগঠিত হয়ে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, বিচারক, নাস্তিক ও পীরগোষ্ঠীর ওপর হামলা চালানোর ছক কষছিল। বছর দেড়েক আগে সিঙ্গাপুর পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। দেড় বছর জেলে থাকার পর মুক্তি পেয়ে গত ২৬ সেপ্টেম্বর তারা দেশে ফিরে আসে। এরপর থেকেই তাদের নজরদারির মধ্যে রাখা হয়েছিল। দেশে ফিরেও তারা জঙ্গী কার্যক্রম চালানোর জন্য সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছিল।’ র‌্যাব সূত্র জানায়, ২০১৫ সাল থেকে সিঙ্গাপুর প্রবাসী মিজানুর রহমান নামে এক ব্যক্তি সেদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশী শ্রমিকদের মধ্যে গোপনে দাওয়াতি কার্যক্রমের মাধ্যমে জঙ্গীবাদে উদ্বুদ্ধ করছিল। এরই ধারাবাহিকতায় প্রায় অর্ধ শতাধিক বাংলাদেশী নাগরিককে দেশে ফেরত পাঠানো হয়। কিন্তু মিজানুরসহ ৮ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদ- দেয়া হয়। দ- শেষ হওয়ার পর দৌলত ও সোহেলকে দেশে ফেরত পাঠায় তারা। গ্রেফতারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে র‌্যাব কর্মকর্তারা জানান, সিঙ্গাপুরে তারা নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে কাজ করত। ২০১৬ সালে মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে ৮ প্রবাসী গোপন বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয় যে তারা বাংলাদেশে ফিরে জঙ্গীবাদ কার্যক্রম শুরু করবে। এ সময় স্বঘোষিত জঙ্গী নেতা মিজানুর রহমান দৌলতকে বাংলাদেশে জঙ্গী কার্যক্রমের পরিকল্পনা কাউন্সিলর হিসেবে এবং সোহেলকে মুহাজির বা যোদ্ধা হিসেবে মনোনীত করে। তবে গত বছরের এপ্রিলে সিঙ্গাপুর পুলিশ প্রথমে মিজানুর রহমানকে গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে দৌলত, সোহেলসহ তাদের আরও ৬ সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়। মিজানুরসহ অন্যরা এখনও সিঙ্গাপুরের জেলে রয়েছে। গ্রেফতার হওয়া দৌলত জামানের বাবা মরহুম সোলায়মান আলী। বাড়ি বগুড়ার গাবতলী থানার বালিয়াদীঘির মালিয়ানডাঙ্গায়। এ ছাড়া সোহেলের বাবার নাম ইসমাইল হোসেন হাওলাদার। বাড়ি নরসিংদীর পলাশ থানার বাগদী গ্রামে।
×