ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

নাগিনীরা ফেলিতেছে বিষাক্ত নিশ্বাস

প্রকাশিত: ০৪:৪২, ১৬ অক্টোবর ২০১৭

নাগিনীরা ফেলিতেছে বিষাক্ত নিশ্বাস

ক্রান্তিকাল এসে জড়ো হয়েছে সর্বত্র। আর তাতে বেড়েই চলেছে জনজীবনে শঙ্কা। অবশ্য তা বাড়ারই কথা। ঘনীভূত হচ্ছে ক্রমশ আপদ-বিপদ। বিপথে চালিত হতে চায় স্বাভাবিকতাকে ডিঙ্গিয়ে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি। ষড়যন্ত্রগুলো কিলবিল করে উঠছে। অক্টোপাসের মতো গিলে নিতে চায় সবকিছু। পায়ে পায়ে এগিয়ে আসছে অন্ধকারাচ্ছন্ন বিপদেরা। শুধু এগিয়ে আসা নয়, সবকিছুকেই চায় করে দিতে পদদলিত ও নিষ্পেপিত। এমন পরিস্থিতি আসেনি কারো কল্পনায়। কিন্তু বাস্তবতা এমনই যে, প্রতিবেশীর নির্মমতা, নৃশংসতার মাত্রা এতই তীব্র যে, বিপদাপন্ন মানুষেরা সর্বস্বান্ত হয়ে করছে দেশত্যাগ। আর আশ্রয় নিচ্ছে জনসংখ্যার ভারে নিপতিত দেশে। এমন নিষ্ঠুর আচরণ প্রতিবেশীর পক্ষে মানায় না। কিন্তু দুঃশাসনের মধ্যে যাদের বিস্তার, তারা এমন আচরণই করতে পারে অবলীলায়। আজ বাংলাদেশ তার ওপর চাপিয়ে দেয়া যে সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় নিপতিত হয়েছে কাল তা অন্য দেশ, এমনকি বিশ্বকেও আরও গভীর সঙ্কটের দিকে যে ধাবিত করবেই, পরিস্থিতি তা স্পষ্ট করে। নিরাপত্তা যখন হতে থাকবে বিঘ্নিত, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন হবে শ্রম, তখন দুঃসহ অবস্থাগুলো মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে বাধ্য। প্রতিবেশীরা যখন মানুষকে হত্যা করছে অনায়াসে ধর্মের নামে, বর্ণের নামে, গোত্রের নামে, সম্পদ লুণ্ঠনের অভিপ্রায়ে, তখন প্রতিরোধের হাত দুর্বল হয়ে দেখা দিয়েছে। আর তাই নিপীড়নের মাত্রা হয়ে উঠেছে আরও ভয়ানক। চলছে অবিরাম নিধন। ভয়ার্ত আর অসহায় মুখের মানুষগুলোকে বাধ্য করা হচ্ছে দেশ ত্যাগে। বর্বরতার চূড়ান্ত এই নিদর্শন চলাকালে বিশ্ববিবেক নির্বিকার থাকা মানে গণহত্যাকে বৈধতা প্রদান। খুন, রক্তপাত, ধর্ষণ, বারুদের গন্ধ মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। মর্মঘাতী এই বিনাশ থামাতে বলিষ্ঠ, জোরালো ও সক্রিয়ভাবে যখন কেউ আসছে না এগিয়ে, তখন নিরাপরাধ মানুষগুলো ক্রমশ মৃত্যুমুখী হয়ে পড়ছে। আর নষ্ট হতে যাচ্ছে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা। দ্রুত এই সঙ্কটের সমাধান না করা গেলে অবস্থা আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করবেই। রোহিঙ্গা আগমনের এই স্রোত কবে থামবে, জানা নেই কারও। নাফ নদীর বানের মতো জনস্রোত দশ লাখের কাছাকাছি পৌঁছেছে। বিশাল এই জনগোষ্ঠীকে এক জায়গায় আবদ্ধ করে রাখার কাজটি হয়ে পড়বে দুরূহ। অতীতে আসা একই জনগোষ্ঠীর স্রোত আপদেই পরিণত হয়েছে দেশের জন্য। অনেকে মিশে গেছে জনজীবনে। নানা অপকর্ম, অপরাধে তারা পড়েছে জড়িয়ে। সমাজের ভারসাম্য বিনষ্টে তারা তৎপর। এই জনগোষ্ঠীকে কবে নাগাদ ফেরত পাঠানো যাবে, তার নিশ্চয়তা এখনও মিলছে না। বরং তারা দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ার পাশাপাশি বিদেশেও দিচ্ছে পাড়ি। এদের কেউ কেউ বিদেশে সশস্ত্র প্রশিক্ষণও নিচ্ছে। জনবহুল বাংলাদেশ রোহিঙ্গার চাপ বেশিদিন বইতে পারবে না। ফলে এরা অদূর ভবিষ্যতে ভয়াবহ ও বিপজ্জনক অবস্থার সৃষ্টি করবে। জীবন-জীবিকার তাগিদে স্থানীয়দের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়ানোর পাশাপাশি স্বার্থান্বেষী মহলের প্ররোচনায় নিপীড়িত, নির্যাতিত, শোষিত, নাগরিকত্বহীন এই জনগোষ্ঠী জঙ্গীবাদ, সন্ত্রাসবাদে অবলীলায় জড়িয়ে পড়বে। ইতোমধ্যে সেই প্রক্রিয়া শুরু করেছে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের দল জামায়াতে ইসলামী ও তাদের পৃষ্ঠপোষক পাকিস্তান। চট্টগ্রাম অঞ্চলে বহুদিন ধরেই রোহিঙ্গারা এসে আশ্রয় নিয়ে চলেছে। কিন্তু সম্প্রতি লাখ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে। এখনও আসছে। সেই সুযোগে বৃহত্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলে সক্রিয় বহু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা তথা এনজিও ত্রাণ বিলানোর নামে অসহায়, দুস্থ রোহিঙ্গাদের সংগঠিত করতে সচেষ্ট। এই এনজিওগুলোর মধ্যে কয়েকটি জামায়াত ও বিএনপির মদদপুষ্ট। ত্রাণ বিতরণের আড়ালে রোহিঙ্গাদের মধ্যে ধর্মীয় ভাবাবেগ জাগাতে নানা কৌশল অবলম্বন করছে। দীর্ঘদিন ধরে রোহিঙ্গাদের সশস্ত্র আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য জামায়াতে ইসলামীর মতো গণহত্যাকারী মৌলবাদী সংগঠন ও পাকিস্তানী গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই তৎপর। অর্থ সাহায্য এসেছে সৌদি আরব থেকে। আইএসআই নিয়মিত নির্দেশ দিয়ে চলেছে রোহিঙ্গা জঙ্গীদের। আরসা নামক সংগঠনটি তাদেরই গড়া এবং তাদেরই নির্দেশে চলছে। আগত অনুপ্রবেশকারী বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের মধ্যে জঙ্গীদের অবস্থান চিহ্নিত করা না গেলেও তার আশঙ্কা উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না। আরসার সদস্য বা সমর্থক কিছু জঙ্গী এই বাস্তুচ্যুতদের মধ্যে থাকতেই পারে। কারণ তাদের এদেশীয় পৃষ্ঠপোষক জামায়াতে ইসলামী ও হেফাজত এ বিষয়ে তৎপর এবং সক্রিয়। এই জঙ্গীরা মৌলবাদী শক্তিগুলো আশ্রয় শিবিরগুলোতে তৎপরতা চালাচ্ছে ধর্মীয় ভাবাবেগকে উস্কে দিয়ে। এরা যদি সংগঠিত হয়ে উঠতে পারে, তবে গোটা উপমহাদেশের ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। এমন প্রচার রয়েছে যে, রোহিঙ্গা সঙ্কটের কারণে এ অঞ্চলে জঙ্গীবাদ, সন্ত্রাসবাদের উত্থান হতে পারে। আরাকানকে মুসলিম নিয়ন্ত্রণাধীন স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আইএসআই গত শতকের পঞ্চাশের দশক থেকেই তৎপর। সামরিক জান্তা শাসক আইউব খান এই প্রক্রিয়া শুরু করেছিল। দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় আধিপত্য বিস্তার এবং এ অঞ্চলের স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করার লক্ষ্যে পাকিস্তানের পেছনে আন্তর্জাতিক শক্তিরও ইন্ধন রয়েছে। পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হক দিল্লীতে ভারতের সচিবের সঙ্গে বৈঠকে বলেছেনও, যেখানে এত বড় সংখ্যায় মানুষের স্থানান্তরের অবস্থা ঘটছে সেখানে মৌলবাদী তৎপরতা বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তবে মানবিক কারণে শরণার্থীদের জায়গা দেয়া হলেও, বাংলাদেশের মাটিকে রোহিঙ্গা জঙ্গীরা যাতে সন্ত্রাসের কাজে ব্যবহার না করতে পারে, সেদিকে কড়া নজর রাখছে সরকারী প্রশাসন। তবে বর্তমান পরিস্থিতির দ্রুত পরিবর্তন না হলে আগামী দিনে জঙ্গী তৎপরতা বাড়ার আশঙ্কায় উদ্বিগ্ন উভয় দেশ। তাই রোহিঙ্গাসন্ত্রাস রুখতে তথ্য আদান প্রদানের জন্য দুটি দেশ নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছে। যা আস্থা তৈরি করতে পারে এ অঞ্চলের জনজীবনে। বাংলাদেশ একই এলাকায় আশ্রয় শিবির করতে চায়। যাতে শিবিরে জঙ্গীরা এসে বস্তুচ্যুতদের তাদের সংগঠনে নিয়োগ করতে না পারে। একই এলাকায় শিবির হলে নজরদারিতে সুবিধা হবে। কিন্তু জাতিসংঘ তা চায় না। যুক্তি দেখাচ্ছে যে, একই এলাকায় পাশাপাশি শিবির গড়লে রোগ সংক্রমণের সম্ভাবনা প্রবল হবে। ভারতের আশঙ্কা সে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে রোহিঙ্গাদের যোগাযোগ তৈরি হতে পারে। যদি তা হয়, তবে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হতে বাধ্য। বিচ্ছিন্নতাবাদীরা আবার সহিংস হয়ে উঠতে পারে। বাংলাদেশও সতর্ক, যাতে রোহিঙ্গারা চট্টগ্রাম অঞ্চল থেকে অন্য কোথাও চলে যেতে না পারে। কিন্তু জামায়াত ছলে বলে কৌশলে তাদের সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে তৎপর শুধু নয়, এদের অনেককে পাকিস্তানে পাঠাতে চায়। আর সেখানে যাওয়া মানেই জঙ্গী প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষিত হওয়া। রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিভিন্ন জঙ্গী ও সন্ত্রাসবাদী সংগঠন নতুন করে সুযোগ নেয়ার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। দেশী-বিদেশী বিভিন্ন ধর্মভিত্তিক সংগঠন রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে আরাকানকে স্বাধীন মুসলিম রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠার জন্য আইএসআইএর প্রচেষ্টাকে সমর্থন দিয়ে আসছে। তারা চায় রোহিঙ্গারা যেন ফিরে যেতে না পারে। তাদের প্ররোচিতও করা হচ্ছে। জামায়াত ইতোপূর্বে আসা রোহিঙ্গাদের বিদেশে পাচারের প্রক্রিয়ায় জড়িত ছিল। মিথ্যা তথ্য দিয়ে দেশের বিভিন্ন পাসপোর্ট অফিস থেকে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট সংগ্রহ করে দিয়েছে। এবারও তাই করছে। যেখানে ক্যাম্পের বাইরে যাওয়া নিষিদ্ধ, সেখানে রোহিঙ্গারা সারাদেশে ছড়িয়ে পড়তে পারার নেপথ্যে রয়েছে জামায়াত। এরা প্রশাসনকে কব্জা করে নির্বিঘেœই অপকর্ম চালাচ্ছে। এরা বিদেশে তথা পাকিস্তান, সৌদি আরবে গিয়ে সশস্ত্র প্রশিক্ষণ নিয়ে জঙ্গী হয়ে ফিরে এলে অবস্থা ভয়াবহ হতে বাধ্য। রোহিঙ্গাদের দারিদ্র্য ও অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে জামায়াত এবং তাদের সহযোগীরা ত্রাণ সাহায্যের নামে বিভিন্ন জঙ্গীবাদী ইসলামী এনজিওর মাধ্যমে রোহিঙ্গা যুবকদের বাছাই করছে। তাদের জঙ্গী মৌলবাদী সন্ত্রাসী বলয়ে যুক্ত করার জন্য সর্বশক্তি প্রয়োগ করছে। যুদ্ধাপরাধী সাজাপ্রাপ্ত জামায়াতী দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর পুত্র এনজিওর নামে সেখানে ত্রাণ তৎপরতার আড়ালে যুবকদের বাছাই করছে। এমনকি নারীদেরও আত্মঘাতী স্কোয়াড গড়া হবে তাদের নিয়ে। মওদুদীবাদের সমর্থক জামায়াতের ভারতীয় অংশ জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের নেতারা কুতুপালং ক্যাম্পে নানাবিধ তৎপরতা চালাচ্ছে। সংগঠনের মহাসচিব সাইয়্যিদ মাহমুদ আসআদ মাদানি নিজে শিবিরগুলোয় প্রচুর পরিমাণে ত্রাণ বিতরণ করেছেন। বাংলাদেশে তাদের অনুসারীদের আগেই নির্দেশ দিয়ে রেখেছেন রোহিঙ্গাদের উদ্বুদ্ধ করার জন্য। শুধু ত্রাণ বিতরণ নয়, স্থায়ী আবাসনের প্রক্রিয়াও শুরু করেছে ভারতীয় মৌলবাদী সংগঠনটি। তিনি শিবিরে দীর্ঘমেয়াদী নানামুখী উদ্যোগ ও পরিকল্পনা চালু করেন। সে মিশন বাস্তবায়নে কুতুপালংয়ে স্থায়ী অফিস চালু করেছে। ইসলাহুল মুসলিমীন নামে একটি এনজিওর ব্যানারে তারা টেকনাফ-উখিয়া এলাকায় তাদের অনুসারীদের নিয়োজিত করেছেন। ইতোমধ্যে তারা কয়েকটি মসজিদ নির্মাণ করেছেন। প্রতিটি পাহাড়ে নলকূপ স্থাপন, শিশু-কিশোরদের জন্য মক্তব, মহিলাদের জন্য পৃথক স্নানাগার নির্মাণ করছে। প্রাথমিকভাবে তারা এক হাজার পরিবারের ঘর নির্মাণ ও ভরণপোষণের দায়িত্ব নিয়েছে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ। এছাড়া প্রতিদিন নগদ অর্থ ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণ চলছে। জঙ্গীবাদে উৎসাহিত করার অভিপ্রায়ে নিয়োজিত তিনটি এনজিওকে সরকার ইতোমধ্যে সেখানে কার্যক্রম চালাতে নিষিদ্ধ করলেও জানা গেছে তারা ভিন্ন নামে কার্যক্রম চালাচ্ছে। প্রশাসনের নাকের ডগায় জামায়াত ও জঙ্গীপন্থীরা এভাবে তৎপরতা অব্যাহত রাখলে তার মাসুল বাংলাদেশকে দিতে হবে। এরা চায় না রোহিঙ্গারা জন্মভূমিতে ফিরে যাক। না যাবার জন্য তাই উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। এর বাইরেও আইএসআই-এর অর্থায়নে কয়েকটি সংগঠন কাজ চালাচ্ছে। এসব তথ্যাদি চোখের সামনে একটাই দৃশ্য তুলে ধরে যে, বাংলাদেশকে জঙ্গীবাদী রাষ্ট্রে পরিণত করে একাত্তরের পরাজয়ের প্রতিশোধ গ্রহণ। তাই জামায়াত দেশজুড়ে সংগঠিত হচ্ছে। তারা বর্তমান সরকারকে উৎখাত করার জন্য নানামুখী পরিকল্পনা নিয়েছে। সারাদেশে অরাজকতা, অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির জন্য জামায়াত সর্বশক্তি প্রয়োগ যে করবে, তা স্পষ্ট। গোপনে থাকা জামায়াত রোহিঙ্গা ইস্যুতে আবারও প্রকাশ্য হয়েছে। তারা প্রাণ ফিরে পেয়েছে দেশজুড়ে ধংসাত্মক কাজ চালানোর জন্য। শুধু প্রশাসন নয়, রাজনৈতিক দলগুলো সক্রিয় না হলে এসব ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করা যাবে না। বাংলাদেশকে কেন্দ্র করে আন্তর্জাতিক জঙ্গীবাদের সমর্থকরা সক্রিয় এখন। রোহিঙ্গা ইস্যু এক্ষেত্রে তাদের জন্য সহায়ক হয়ে ওঠেছে। রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের সঙ্গে যুদ্ধ বাধাতে উস্কানি দিয়েছিল মিয়ানমার। জামায়াত-বিএনপিও যুদ্ধ বাধানোর জন্য গলা হাঁকাচ্ছে। সরকার ও সরকারী দল যদি গা ঝাড়া দিয়ে জেগে না ওঠে, তবে সামনে ভয়াবহ বিপর্যয় এসে আঘাত হানবে। তখন প্রত্যাঘাতের পথ খুঁজে পাওয়া যাবে না। তাই পরিকল্পিতভাবে ষড়যন্ত্রকারীদের প্রতিহত করার উদ্যোগ এখনই নিতে হবে।
×