ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

‘আগামী নির্বাচন আমাদের জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ’

প্রকাশিত: ০৭:৫৪, ১৫ অক্টোবর ২০১৭

‘আগামী নির্বাচন আমাদের জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ’

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন গত দুই নির্বাচনের মতো সহজ হবে না। আমাদের জন্য এ নির্বাচন কঠিন চ্যালেঞ্জ। আশাকরি এই কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে সক্ষম হব। আগামী নির্বাচন যাতে অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়, সেটাই আমরা চাই। শনিবার সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ও উপদেষ্টা পরিষদের যৌথ সভায় রুদ্ধদ্বার বৈঠকে সভাপতির ভাষণে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন বলে দলের একাধিক সিনিয়র নেতা নিশ্চিত করেছেন। দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, নেতা সেজে বসে থাকলে চলবে না। নির্বাচনী এলাকায় মানুষের কাছে সরকারের উন্নয়নগুলো তুলে ধরতে হবে। এর আগে সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সূচনা বক্তব্যের পর শোক প্রস্তাব পাঠ করা হয়। এরপর বক্তব্য রাখেন, দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচটি ইমাম, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য কাজী আকরাম হোসেন, ফখরুল মুন্সি, সুলতানা শফি, ড. হোসেন মনসুর প্রমুখ। সূত্র জানায়, বৈঠকে আগামী ১৮ অক্টোবর নির্বাচন কমিশনের আমন্ত্রণে সংলাপে অংশ নিতে যাওয়ার এজেন্ডা নিয়ে আলোচনা হয়। এতে আওয়ামী লীগ সেনাবাহিনী মোতায়েন চাইবে না। ইসির ওপর ছেড়ে দেবে। ইসির প্রয়োজনবোধে সেনাবাহিনীকে মাঠে নামাতে পারবে। ই-ভোটিং চাইবে ক্ষমতাসীন দল এবং সীমানা নির্ধারণে আপত্তি জানানো হবে। তবে কোন কিছুই চূড়ান্ত হয়নি। আজ বরিবার আবার বৈঠক করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা রয়েছে। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলীয় নেতাকর্মী ও এমপিদের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, আপনারা এলাকায় বহর নিয়ে মহড়া দেবেন, এতে কাজ হবে না। কার কী জনপ্রিয়তা রয়েছে, আমার কাছে তার খবর আছে। আগামী নির্বাচন আমাদের জন্য সহজ হবে না। কঠিন নির্বাচন হবে। কারণ বিএনপি অংশগ্রহণ করবে। আগামীতে যাকে দিয়ে জয়লাভ করা সম্ভব হবে তাকেই প্রার্থী করা হবে। কেন্দ্রীয় নেতা ও এমপি-মন্ত্রীদের নিজ নিজ এলাকায় মানুষের ঘরে ঘরে যেতে হবে। ভোট বাড়াতে হবে। সভায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে বিশেষ আমন্ত্রণ জানিয়ে নিয়ে যাওয়া হলেও প্রধান বিচারপতির প্রসঙ্গে কোন কথা ওঠেনি। দলের একজন কেন্দ্রীয় নেতা প্রধান বিচারপতির প্রসঙ্গটি তুলতে চাইলে, প্রধানমন্ত্রী তাকে থামিয়ে দিয়ে বলেন, এখন আর কারও কোন কথা বলার দরকার নেই। কারণ ইতোমধ্যে সুপ্রীমকোর্ট একটি বিবৃতি দিয়েছে। এখন আর এ প্রসঙ্গ নিয়ে কেউ কথা বলবেন না। বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ডক্টর হোসেন মনসুর আমলাদের নির্বাচনে অংশ গ্রহণের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের নির্ধারিত বয়সসীমা কমানোর প্রস্তাব করে বলেন, এতে অনেক আসনে যোগ্য আমলারা প্রার্থী হতে পারবেন। এ সময় অধিকাংশ কেন্দ্রীয় নেতা বিরোধিতা করেন। প্রধানমন্ত্রী এতে একমত পোষণ করে বলেন, আরপিওতে যা আছে তাই থাকবে। বয়সসীমা কমানো হলে সচিবরা প্রশাসনিক কর্মকা-ের পরিবর্তে নিজ এলাকায় ব্যস্ত হয়ে পড়বেন। এটা কোনভাবেই কাম্য নয়।
×