কলেজছাত্রীকে নেশা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে গণধর্ষণ

নিজস্ব সংবাদদাতা, ভালুকা, ময়মনসিংহ, ১৪ অক্টোবর ॥ ভালুকার খোলাবাড়ি গ্রামে আকাশমনি বনে এক কলেজ ছাত্রীকে নেশা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে গণধর্ষণ করে দুর্বৃত্তরা ফেলে রেখে গেছে। শনিবার সকালে ১নং উথুরা ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য শহিদুল হক তাকে উদ্ধার করে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য তাকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। জানা যায়, কলেজ ছাত্রীর বাবা আক্তারুজ্জামান সাভার এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে ঢাকার একটি ফ্যাক্টরিতে চাকরি করেন। তাদের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরের কালিনগরে। ধর্ষণের শিকার মেয়েটি রাজশাহীর একটি কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষে (এ্যাকাউন্টিং) অধ্যয়নরত এবং গাজীপুরের মাঝখোলা এলাকায় একটি ছাত্রীমেসে ভাড়া থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য কোচিং করতেন। শুক্রবার কোচিংয়ে পরীক্ষা দেয়ার পর তাদের সাভারের বাসায় যান। সেখান থেকে রাজশাহী যাওয়ার উদ্দেশে গাজীপুর রেলস্টেশনে এলে ট্রেনের আসন খালি না থাকায় রাজশাহী যাওয়া হয়নি। রেলস্টেশনে রাজশাহী যাওয়ার অপরিচিত বয়স্ক (আংকেল) যাত্রীর সঙ্গে পরিচয় হয়, তখন তার সঙ্গে এক যুবকও ছিল। তারা বলেন, চলো আমরা বাসে করে রাজশাহী যাই। সেখান থেকে তাকে নিয়ে একটি বাসে রওনা দিলে বাসের মধ্যে ঘুমিয়ে পড়েন। আনুমানিক দুই ঘণ্টা বাসটি চলার পর বাস থেকে তাকে নামিয়ে একটি সিএনজিতে তোলা হয়। এরপর মেয়েটির আর কিছুই মনে নেই। ১নং উথুরা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড খোলাবাড়ি ইউপি সদস্য শহিদুল হক জানান, শনিবার সকালে স্থানীয় লোকজন এসে খবর দেয় খোলাবাড়ি সরকারী গজারি বনের ভেতরে এক যুবতী অচেতন অবস্থায় পড়ে রয়েছে। মনে হয় ওখানে তাকে গণধর্ষণ করার পর অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে গজারি বনের ভেতরে ফেলে ধর্ষকরা চলে যায়। ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ সাইফুল্লাহ জানান, নেশা জাতীয় কিছু খাইয়ে একাধিক ব্যক্তি মেয়েটিকে ধর্ষণ করেছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ভালুকা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মামুন অর রশিদ জানান, মেয়েটি সুস্থ হলে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানা যাবে। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে, মেয়েটিকে ধর্ষণ করা হয়েছে।