ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ও ওয়ানডে লীগের অনুমোদন

প্রকাশিত: ০৬:২৩, ১৪ অক্টোবর ২০১৭

টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ও ওয়ানডে লীগের অনুমোদন

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বহুল আলোচিত টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ও স্ট্যাটাসপ্রাপ্ত দলগুলোর মধ্যে ওয়ানডে লীগ চালুর পক্ষে চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি (ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল)। অকল্যান্ডে বোর্ড সভার শেষ দিন শুক্রবার এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। আইসিসির নির্বাহী প্রধান ডেভিড রিচার্ডসন জানিয়েছেন, এর ফলে টেস্ট এবং ওয়ানডে ক্রিকেট আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ও আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে। এতদিন র‌্যাঙ্কিংয়ের ভিত্তিতে একটি নির্দিষ্ট সময়ে শীর্ষে থাকা দলকে টেস্ট শ্রেষ্ঠত্বের স্বীকৃতি ও আর্থিক পুরস্কার দেয়া হতো। নতুন পদ্ধতি চালু হলে হোম এ্যান্ড এ্যাওয়েভিত্তিক দ্বিপক্ষীয় সিরিজের পয়েন্টের ভিত্তিতে শীর্ষ দু-দলকে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য মুখোমুখি হতে হবে (ইংল্যান্ডে ২০১১ সালে)। অকল্যান্ডের সভা থেকে জানানো হয়েছে, ওয়ানডেতেও লীগ পদ্ধতির পাশাপাশি কিছুদিন আগে টেস্টের মর্যাদা পাওয়া আয়ারল্যান্ড ঘরের মাটিতে সাদা পোশাকে তাদের প্রথম ম্যাচটি খেলবে পাকিস্তানের বিপক্ষে। স্বীকৃতি মিলবে বছরের শেষে দক্ষিণ আফ্রিকা-জিম্বাবুইয়ের মধ্যকার চার দিনের ‘বক্সিং ডে’ টেস্টেরও। ২০১৯ বিশ্বকাপের পর থেকে দেখা যাবে দুই বছর মেয়াদী টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ। অংশ নেবে র‌্যাঙ্কিংয়ের সেরা নয় দল। প্রতিটি দল দুই বছরের মধ্যে ছয়টি সিরিজ খেলবে। তিনটি ঘরে, তিনটি প্রতিপক্ষের মাঠে। সিরিজে ম্যাচ থাকবে কমপক্ষে দুটি। এ্যাশেজের মতো সর্বোচ্চ পাঁচ ম্যাচও হতে বাধা নেই। ২০২১ সালের এপ্রিলে শীর্ষে থাকা দুই দল জুনে ইংল্যান্ডে চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের প্লে-অফ খেলবে আর ওয়ানডে লীগ শুরু হবে ২০২০ সালে। খেলবে ১৩টি দল। আইসিসির পূর্ণ সদস্য (টেস্ট খেলুড়ে) ১২ দলের সঙ্গে যোগ দেবে ওয়ার্ল্ড ক্রিকেট লীগ চ্যাম্পিয়নশিপের জয়ী দল। তিন বছরের লীগে রূপান্তর হওয়ার আগে ২০২৩ বিশ্বকাপকে সামনে রেখে এটি দুই বছর ধরে চলবে। এই সময়ে প্রতিটি দল আটটি করে সিরিজ খেলবে। সিরিজে ম্যাচ থাকবে তিনটি করে। তবে পয়েন্ট পদ্ধতি কী হবে কিংবা প্রতি সপ্তাহের ভবিষ্যত সফর পরিকল্পনা (এফটিপি) কেমন হবে, এ নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। অকল্যান্ডের সভায় পরীক্ষামূলকভাবে দ্বিপাক্ষিক সিরিজে চার দিনের টেস্ট ম্যাচ আয়োজনের ব্যাপারেও অনুমোদন দিয়েছে আইসিসি। ডিসেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়ের মধ্যকার ‘বক্সিং ডে’ টেস্ট দিয়ে শুরু হবে এই প্রক্রিয়া। উল্লেখ্য, গত জুনে ১১ ও ১২তম দেশ হিসেবে আয়ারল্যান্ড ও আফগানিস্তান একই সঙ্গে টেস্টের মর্যাদা পায়। আয়ারল্যান্ড তাদের প্রথম টেস্ট প্রতিপক্ষ হিসেবে পাচ্ছে পাকিস্তানকে। আইসিসির সভায় এ খবর নিশ্চিত করা হলেও দিনক্ষণ ও ভেন্যু ঠিক হয়নি। তবে ম্যাচটি যে আয়ারল্যান্ড ঘরের মাঠে খেলবে এবং আগামী বছরের মে মাসে হবে সেটা হয়েছে চূড়ান্ত। ‘আগামী বছর আমাদের উদ্বোধনী টেস্টে পাকিস্তানকে আয়ারল্যান্ডে স্বাগত জানাতে পেরে আমরা রোমাঞ্চিত।’ বলেন আইরিশ ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাহী প্রধান ডিউট্রোম। পাকিস্তানের মতো বড় দলের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেকে খুশি ডিউট্রোম আরও যোগ করেন, ‘টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার এক বছরের মধ্যে দেশের দর্শকদের সামনে অভিষেক ম্যাচ খেলার ইচ্ছা ছিল, সেটাও আবার বড় দলের বিপক্ষে। তাই আমি আনন্দিত।’ উচ্ছ্বসিত অধিনায়ক উইলিয়াম পোর্টারফিল্ডও, ‘আইরিশ ক্রিকেটের জন্য এটা চমৎকার খবর। এটা বিশেষ কিছু হতে যাচ্ছে আর ইতিহাসের অংশীদার হতে পারাটা সবসময়ই দারুণ। পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে মাঠে নামতে আমি অধীর হয়ে আছি।’
×