ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

কন্যাশিশুদের অধিকার রক্ষায় সরকার সচেতন ॥ চুমকি

প্রকাশিত: ০৫:৫৬, ১৪ অক্টোবর ২০১৭

কন্যাশিশুদের অধিকার রক্ষায় সরকার সচেতন ॥ চুমকি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ কন্যাশিশুদের অধিকার রক্ষায় সরকার সচেতন। সরকার এ ধরনের সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছে, যেখানে ছেলে বা মেয়ে শিশুদের মধ্যে কোন মতভেদ থাকবে না বলে মন্তব্য করেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি। শুক্রবার ‘জাতীয় কন্যা শিশু দিবস-২০১৭’ উপলক্ষে আয়োজিত র‌্যালি, আলোচনা, পুরস্কার বিতরণী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন। বাংলাদেশ শিশু একাডেমি ও জাতীয় কন্যাশিশু এ্যাডভোকেসি ফোরাম যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এর আগে প্রতিমন্ত্রী সকাল ৯টায় রাজধানীর শাহবাগের জাতীয় জাদুঘর প্রাঙ্গণ থেকে র‌্যালির মাধ্যমে এ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। র‌্যালিটি শাহবাগ থেকে টিএসসি হয়ে শিশু একাডেমি চত্বরে এসে শেষ হয়। র‌্যালিতে মহিলা ও শিশুবিষয়ক সচিব নাছিমা বেগম এবং শিশু একাডেমি ও জাতীয় কন্যাশিশু এ্যাডভোকেসি ফোরামের নেতারা অংশ নেন। র‌্যালি উদ্বোধন করে প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ বলেন, সরকার কন্যাশিশুদের অধিকার নিশ্চিত করতে বাল্যবিবাহ বন্ধ আইন, কিশোরী ক্লাব গঠনসহ বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ করেছে। দেশকে মধ্যম আয়ের রাষ্ট্রে পরিণত করতে ছেলে বা মেয়ে সব শিশুকেই বিশ্বমানের যোগ্যতায় গড়ে তুলতে সরকার শিক্ষাসহ সর্বক্ষেত্রে সমান গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে চলেছে। এছাড়া শিশু একাডেমি মিলনায়তনে শুরু হয় আলোচনা, পুরস্কার বিতরণী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন একাডেমির চেয়ারম্যান কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন, সেভ দ্য চিলড্রেনের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্ক পিয়ার্স ও নারী মৈত্রীর নির্বাহী পরিচালক শাহিন আক্তার ডলি। শিশু একাডেমির পরিচালক আনজীর লিটনের সভাপতিত্বে দুই কিশোরী, আমরা করব জয় (এটিএন বাংলা)-এর তানজিলা আক্তার মীম ও অপরাজেয় বাংলাদেশের মিলি শরীফ মণি তাদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। সেলিনা হোসেন বলেন, কন্যাশিশু ও ছেলেশিশু এ বিভাজন করা ঠিক নয়। তারা সবাই মানব শিশু আর এ শিশুদের বঞ্চনা, লাঞ্ছনা দূর করে তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকা সরকারকেই এগিয়ে আসতে হবে। এক্ষেত্রে বর্তমান সরকারের ভূমিকা বেশ ইতিবাচক। একাডেমির চেয়ারম্যান বলেন, শিশুদের যোগ্য নাগরিক হয়ে ওঠার জায়গা তৈরি করে দিতে হবে। তাই সরকারের পাশাপাশি সমাজের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে রচনা ও চিত্রাঙ্কনসহ নানা প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়া বিজয়ী শিশুদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। তাদের প্রত্যেককে ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।
×