ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

অল্পের জন্য বাঁচল ব্লু হোয়েলে আসক্ত তরুণ

প্রকাশিত: ০৫:৪৭, ১৪ অক্টোবর ২০১৭

অল্পের জন্য বাঁচল ব্লু হোয়েলে আসক্ত তরুণ

সংবাদদাতা, ভূঞাপুর, টাঙ্গাইল, ১৩ অক্টোবর ॥ নিশ্চিত মৃত্যুর ফাঁদ ব্লু হোয়েল সুইসাইড গেম খেলতে গিয়ে অল্পের জন্য বেঁচে গেল হৃদয় (২০) নামে এক তরুণ। সে টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার বয়ড়াপাড়া আলমনগর গ্রামের সৌদি প্রবাসী আমজাদ আলীর ছেলে। সরেজমিনে জানা গেছে, হৃদয় গাজীপুরে একটা পেপার মিলে চাকরি করে। ফেসবুক ব্যবহার করতে করতে ব্লু হোয়েল সুইসাইড গেমে আসক্ত হয়ে পড়ে। একপর্যায়ে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে গত ১১ অক্টোবর তার ফেসবুক পেজে হাতে ব্লেড দিয়ে কেটে তিমি আঁকা একটি ছবি পোস্ট করে। ছবিটি ফেসবুকের মাধ্যমে হৃদয়ের মামা সৌদি প্রবাসী কবির হোসেনের নজরে আসে। কবির বিষয়টা সৌদি থেকে তার স্বজনদের জানালে পুরো গ্রামজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। গত বুধবার রাতে পরিবারের লোকজন হৃদয়কে গাজীপুর থেকে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসে। হৃদয় জানান, গত ২০ সেপ্টেম্বর মোবাইল ফোনে নেট অন করার সঙ্গে সঙ্গে মোবাইল স্কিনে একটা এ্যাপ ভাসতে থাকে। ব্লু হোয়েল সম্পর্কে আমি শুনেছি, তারপরও কৌতূহলবসত ন্যাপটি ওপেন করি। এরপর একটা কল আসে আমি রিসিব করলে একজন এডমিনের নির্দেশে শুরু হয় গেমস খেলা। আস্তে আস্তে কিছু মজার মজার ধাপ খেলতে খেলতে আসে চ্যালেঞ্জিং পর্ব। ২০ দিন ধরে গেমটির কত পর্ব খেলেছে বা কি কি কাজ করেছে এমন প্রশ্নের সুনির্দিষ্ট কোন জবাব দিতে পারেনি হৃদয়। সে জানায়, আমার তেমন কিছু মনে নেই, তবে গেমটি খেলতে খেলতে আমার হাতে তিমি মাছের ছবি আঁকতে বলা হয়েছিল। আমার হাত কেটে কিভাবে ছবি এঁকেছি আমি জানি না। রাতে কি করছি আমার কিছুই মনে পড়ছিল না। হৃদয়ের নানা আবদুল হামিদ বলেন, আমরা হৃদয়কে নিয়ে ভীষণ চিন্তিত হয়ে পড়েছি। তার মোবাইলসহ সিমকার্ড বন্ধ করে রাখা হয়েছে। এসব জীবনঘাতী গেম যেন ছেলে-মেয়েদের হাতে পৌঁছাতে না পারে সেই ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ করছি। হৃদয়ের মা হাজেরা বেগম ছেলের প্রাণ হারানোর ভয়ে ভেঙ্গে পড়েছেন। তারও দাবি এমন মরণ খেলা যেন সন্তানের কাছে না আসে। হৃদয়কে পারিবারিক কড়া নজরদারিতে রাখা হয়েছে। তার শারীরিক ও মানসিক অবস্থা এখন শঙ্কামুক্ত।
×