ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

রাজধানীতে ৩০ হাজার ইয়াবার চালান আটক

প্রকাশিত: ০৫:৪৬, ১৪ অক্টোবর ২০১৭

রাজধানীতে ৩০ হাজার ইয়াবার চালান আটক

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীতে আবারও ৩০ হাজার ইয়াবার একটি বড় চালান ধরা পড়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে রাত দুটো পর্যন্ত চালানো এ অভিযানে হাতেনাতে আটক করা হয় ৩ জনকে। আটকরা হলো-মহীউদ্দিন, মোবারক হোসেন বাবু ও দুলাল চন্দ্র শীল। ঢাকা মেট্রো উপ-অঞ্চলের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের একটি চৌকস টিম এ অভিযান চালায়। আসামিদের আজ শনিবার আদালতে তুলে রিমান্ড চাওয়া হবে। ৮ ঘণ্টার এ অভিযানের সময় অল্পের জন্য ফসকে যায় এ চালানের গডফাদার কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন। এ বিষয়ে শুক্রবার বিকেলে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের সদর দফতরে এক সাংবাদিক সম্মেলন ডাকা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন মেট্রো অঞ্চলের উপ-পরিচালক মুকুল জ্যোতি চাকমা, উত্তর জোনের সহকারী পরিচালক খোরশেদ আলম ও দক্ষিণ জোনের সহকারী পরিচালক সামসুল আলম। সময় জানানো হয়, আগে থেকেই সোর্স নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম থেকে সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে বড় দুটো চালান ঢাকায় আসছে। তারপর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় যাত্রাবাড়ীর হানিফ ফ্লাইওভার শনির আখড়া প্রান্তে অভিযান চালিয়ে মহিউদ্দিনকে হাতেনাতে আটক করা হয়। মোটরসাইকেলযোগে ইয়াবার চালান হস্তান্তর করার সময় তাকে আটক করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে ৫ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। রাতে তাদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা স্বীকার করে বংশাল থানাধীন ১৬৭ এমএস মার্কেটে তৃতীয় তলার একটি গোডাউনে আরও একটি বড় চালান লুকানো রয়েছে। রাত ২টার সময় মাদকের ওই টিম সেখানে অভিযান চালায়। ওই দোকানে গিয়ে দেখা যায় বিপুল পরিমাণ ক্রোকারিজ আইটেম। সেগুলো প্রত্যেকটি আলাদা আলাদা তল্লাশি করা হয়। এ সময় টিফিন ক্যারিয়ারের ভেতর দেখা যায় ২৫ হাজার পিস ইয়াবা। গুদাম থেকে আটক করা হয় দুলাল চন্দ্র শীলকে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর দয়াগঞ্জ এলাকা থেকে আটক করা হয় মোবারক হোসেন বাবুকে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মুকুল জ্যোতি চাকমা বলেন, এর আগে এলিফ্যান্ট রোড থেকে ৫০ হাজার পিস ইয়াবার যে চালান আটক করা হয়েছিল-সেই একই গডফাদার নাসির উদ্দিনের দোকান থেকেই বৃহস্পতিবার রাতে এগুলো জব্দ করা হয়। নাসির উদ্দিনই অন্য এক বন্ধুর নামে এমএস মার্কেটের ৩ তলায় এই দোকানটি ভাড়া নেয়। সে চট্টগ্রাম থেকে সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে নিয়মিত ইয়াবার চালান এনে ঢাকায় বিভিন্ন ব্যবসার আড়ালে বাজারজাত করে। তাকে আটকের চেষ্টা চলছে। তার বাড়ি চট্টগ্রাম হলেও সে দীর্ঘদিন ধরেই রাজধানীতে গড়ে তুলেছে ইয়াবার বিশাল সিন্ডিকেট। এক সময় বিভিন্ন বস্তিতে রেখে ইয়াবার বিক্রি করা হলেও এখন সে বাহকের মাধ্যমে হোম সার্ভিস ডেলিভারি দিয়ে থাকে।
×