ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ডাক্তারের ‘আনাড়িপনায়’ মৃত্যু ॥ আদ-দ্বীন ভাংচুর

প্রকাশিত: ০৪:১৯, ১৪ অক্টোবর ২০১৭

ডাক্তারের ‘আনাড়িপনায়’ মৃত্যু ॥ আদ-দ্বীন ভাংচুর

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ চিকিৎসাধীন মারা যাওয়া তবিবুর রহমান (৫৫) নামে এক ব্যক্তির স্বজনরা যশোর আদ-দ্বীন হাসপাতাল ভাংচুর করেছে। তাদের অভিযোগ, ডাক্তারের অনভিজ্ঞতা ও আনাড়িপনার কারণে তবিবুর মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। তবিবুরের বাড়ি যশোর শহরতলির রামনগর পিকনিক কর্নার এলাকায় । মাসদেড়েক আগে ইজিবাইক উল্টে তার একটি পা ভেঙ্গে যায়। স্ত্রী জোহরা বেগম ও ছেলে হাসান জানান, ভেঙ্গে যাওয়া পায়ের চিকিৎসার জন্য তবিবুরকে ৯ সেপ্টেম্বর যশোর রেল রোডের আদ-দ্বীন হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে ডাক্তার নজরুল ইসলাম তার পায়ে অস্ত্রোপচার করেন। ১৩ দিন একটানা চিকিৎসার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। গত বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে তবিবুরকে ডাক্তার নজরুল ইসলামের কাছে আনা হয় ফলোআপের জন্য। ১৭০ টাকা দিয়ে টিকেট কেটে সিরিয়ালের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। রাত সাড়ে ৮টার দিকে ডাক্তার নজরুল ইসলামের রুমে তবিবুরের ডাক পড়ে। চেম্বারে নেয়ার পর ডাক্তার ও তার ৪-৫ সহযোগী মিলে তবিবুরের পা সজোরে চেপে ধরেন। এ সময়ই মারা যান তবিবুর। ডাক্তারের লোকজন যদি এভাবে চেপে না ধরত তাহলে তবিবুর রহমানের মৃত্যু হতো না। তাকে হত্যা করা হয়েছে, কাঁদতে কাঁদতে বলছিলেন স্বামীহারা জোহরা। ঘটনার ব্যাপারে ডাক্তার নজরুল ইসলামের ফোনে কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। আদ-দ্বীন হাসপাতালে ডাক্তার শিলা পোদ্দার বলেন, এখানে তবিবুর রহমান নামে একব্যক্তি চিকিৎসাধীন মারা গেছেন। কীভাবে, কী কারণে তিনি মারা গেলেন তা একমাত্র ডাক্তার নজরুল ইসলামই বলতে পারবেন। আমার জানা নেই। আদ-দ্বীন শিশু হাসপাতালের ম্যানেজার মশিউর রহমান বলেন, তবিবুর রহমানের মৃত্যুর পর তার স্বজনরা হাসপাতালের চেয়ার, টেবিল ভাংচুর করেছে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। নজরুল ইসলাম একজন খুবই ভাল ডাক্তার। তার হাতে কী করে ওই ব্যক্তি মারা গেল, বুঝতে পারছি না। তবে ঘটনা যা-ই হোক, তা দুঃখজনক।
×